ইমরান খানকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের আইনশৃংখলা বাহিনী; তার দলের লোকেরা, যারা আসলেই জংগী ব্যতিত আর কিছু নয়, এখন দেশে তান্ডব চালাচ্ছে। ইমরান খানকে ক্ষমতায় এনেছে সেনাবাহিনী, তাকে সরায়েছে সেনাবাহিনী; মানুষ সেনাবাহিনীর আঁকা ছকের ভেতরে ঘুরছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী শুধু নিজ দেশ চালায়েছে তা'নয়, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল অবধি বাংলাদেশও চালায়েছে; '৯০ দশক থেকে তালেবানদের চালচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বলয় থেকে বাংলাদেশকে সাময়িকভাবে মুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পর, তারা আবার আমাদের দেশে বন্ধু খুঁজতে আসবে।
ইমরান খান ও মিলিটারী, ইহা একটি ভালো ইউনিয়ন ছিলো; সেনাবাহিনী তাদের প্রয়োজন মতো ও দেশের মানুষের দুর্বলতার দিককে ( ক্রিকেট ) কাজে লাগিয়ে ইমরানকে দিয়ে কিছু সময় দেশকে কন্ট্রোলে রেখেছিলো। কিন্তু ইমরান ক্ষমতা হাতে পেয়ে রাজা হবুচন্দ্র হয়ে, নিজের খুঁটিকে ( মিলিটারীকে ) ভুলে গিয়ে কিছু পাগলামী করছিলো; মিলিটারীর পোষায়নি।
আইয়ুব খান পাকিস্তানের মানুষের মন জয় করেছিলো; পাকিস্তানী সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে থাকলেও, তারা চায় যে, পাকিস্তান সরকার প্রতিদিন যেন ভারত-বিরোধী কিছু বলে, বর্ডারে ও কাশ্মীরে কিছু গোলাগুলি হয়; আইয়ুব খান প্রতিদিনই এই খেলাটি চালু রেখেছিলো। আইয়ুব মরে গেছে, কিন্তু মিলিটারী ক্ষমতায় রয়ে গেছে।
ইমরান খান ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড়, পাকিস্তানীরা মিলিটারীকে ভালোবাসে, ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ভালোবাসে; এখন পাকিস্তানী মিলিটারী ভারতীয় বাহিনীর সাথে আর যুদ্ধ করতে পারে না; কিন্তু ক্রিকেটে জয়ী এখনো হয়; তাই ইমরান খানও বড় বড় জেনারেলদের মতোই জনপ্রিয়। কিন্তু ইমরান একই সাথে হবুচন্দ্র, সেখানেই সমস্যা।
ইমরান পাকিস্তানী মানুষের সমস্যা বুঝার কথা নয়; তবুও তরুণ পাকিস্তানীরা মনে করে যে, সে অনেক কিছু জানে; তাই তরুণ জেনারেশন ওর পেছনে দৌড়ছে; ওরা আসলে সেনাবাহিনীর জালের মাঝেই আছে, ইমরান একটা মরীচিকা মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২৩ ভোর ৫:২০