এখন থেকে ৫/১০ বছর পর, গ্রামের সরকারী অনেক প্রাইমারী স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা খুবই কম আসবে; শিশুদেরকে তাদের পরিবার মাদ্রাসার প্রাইমারীতে পড়াবে। যেসব অন্চলের লোকজন মিডল ইষ্ট, মালয়েশিয়া ও ইউরোপে থাকে, তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পড়ানোর সম্ভাবনা আছে। এই ব্যাপারে আপনার ধারণা কি রকম?
প্রাইমারীগুলোর আশেপাশে নতুন নতুন মাদ্রাসা গড়ে উঠছে প্রতিদিন; যারা মাদ্রাসা করছে, এরা নিজেরা ছাত্র সংগ্রহ করে; কিন্তু সরকারী প্রাইমারীর শিক্ষকেরা কখনো ছাত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেনি। আসলে, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকেরা নিজ এলাকার মানুষের সাথে পড়ালেখা নিয়ে কোন সময় আলোচনা করে না। অপরদিকে, মাদ্রাসার লোকেরা মসজিদ থেকে শুরু করে, বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করে।
আমাদের এলাকায়, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা আরব ও অন্য দেশে চাকুরীরত পরিবারগুলোকে টার্গেট করে; স্বামী প্রবাসে থাকার ফলে, বাচ্চাদের পড়ালেখার ব্যাপারে গ্রামের অশিক্ষিত মাতা কোন ধরণের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না; এই অবস্হায় মাদ্রাসা থেকে যখন কেহ এসে দ্বীনের কথা বলে, আদবকায়দা শেখানোর কথা বলে, ও মা-বাবার বেহেশত লাভের লোভ দেখায়, মায়েরা সেইদিকে চলে যায়।
সম্প্রতি দেশের মাদক সমস্যা মাদ্রাসার জন্য একটা সুযোগ করে দিচ্ছে; শহরের স্কুলগুলোতে কিছু সস্তা মাদক প্রবেশ করেছে; সেগুলো মিডিয়াতে আসার কারণে মানুষজন ভীত হচ্ছে। যারা বাচ্ছার ভবিষ্যত পড়ালেখা সম্পর্কে ১ পয়সারও জ্ঞান রাখে না, তারা চায় যে, বাচ্চা যেন মাদকে না যায়; স্কুলের বাচ্ছারা মাদ্রাসার বাচ্চাদের চেয়ে কিছুটা স্বাধীন হওয়ায় অশিক্ষিত মা-বাবা ভীত থাকে।
মাদ্রাসা আজকাল যেই পরিমাণ অনুদান পাচ্ছে, ইহা কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা; দেশে যত ঘুষখোর, ভুমিদস্যু, মুনাফাখোর, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ আছে, তারা মাদ্রাসায় দান করছে। একা নিউইয়র্ক শহরের লোকজন নিজ এলাকায় যেই পরিমাণ টাকা দান করে, ইহা বিশাল ব্যাপার।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮