somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীঘ্রই সরকারী প্রাইমারী স্কুলগুলোতে ছাত্র বেশ কমে আসবে।

১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এখন থেকে ৫/১০ বছর পর, গ্রামের সরকারী অনেক প্রাইমারী স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা খুবই কম আসবে; শিশুদেরকে তাদের পরিবার মাদ্রাসার প্রাইমারীতে পড়াবে। যেসব অন্চলের লোকজন মিডল ইষ্ট, মালয়েশিয়া ও ইউরোপে থাকে, তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পড়ানোর সম্ভাবনা আছে। এই ব্যাপারে আপনার ধারণা কি রকম?

প্রাইমারীগুলোর আশেপাশে নতুন নতুন মাদ্রাসা গড়ে উঠছে প্রতিদিন; যারা মাদ্রাসা করছে, এরা নিজেরা ছাত্র সংগ্রহ করে; কিন্তু সরকারী প্রাইমারীর শিক্ষকেরা কখনো ছাত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেনি। আসলে, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকেরা নিজ এলাকার মানুষের সাথে পড়ালেখা নিয়ে কোন সময় আলোচনা করে না। অপরদিকে, মাদ্রাসার লোকেরা মসজিদ থেকে শুরু করে, বাড়ী বাড়ী গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করে।

আমাদের এলাকায়, মাদ্রাসার শিক্ষকেরা আরব ও অন্য দেশে চাকুরীরত পরিবারগুলোকে টার্গেট করে; স্বামী প্রবাসে থাকার ফলে, বাচ্চাদের পড়ালেখার ব্যাপারে গ্রামের অশিক্ষিত মাতা কোন ধরণের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না; এই অবস্হায় মাদ্রাসা থেকে যখন কেহ এসে দ্বীনের কথা বলে, আদবকায়দা শেখানোর কথা বলে, ও মা-বাবার বেহেশত লাভের লোভ দেখায়, মায়েরা সেইদিকে চলে যায়।

সম্প্রতি দেশের মাদক সমস্যা মাদ্রাসার জন্য একটা সুযোগ করে দিচ্ছে; শহরের স্কুলগুলোতে কিছু সস্তা মাদক প্রবেশ করেছে; সেগুলো মিডিয়াতে আসার কারণে মানুষজন ভীত হচ্ছে। যারা বাচ্ছার ভবিষ্যত পড়ালেখা সম্পর্কে ১ পয়সারও জ্ঞান রাখে না, তারা চায় যে, বাচ্চা যেন মাদকে না যায়; স্কুলের বাচ্ছারা মাদ্রাসার বাচ্চাদের চেয়ে কিছুটা স্বাধীন হওয়ায় অশিক্ষিত মা-বাবা ভীত থাকে।

মাদ্রাসা আজকাল যেই পরিমাণ অনুদান পাচ্ছে, ইহা কয়েক বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা; দেশে যত ঘুষখোর, ভুমিদস্যু, মুনাফাখোর, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ আছে, তারা মাদ্রাসায় দান করছে। একা নিউইয়র্ক শহরের লোকজন নিজ এলাকায় যেই পরিমাণ টাকা দান করে, ইহা বিশাল ব্যাপার।

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রতিযোগিতার জন্যঃ মনে গাঁথা শৈশবের কিছু স্থায়ী স্মৃতিকথা

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫১

(আমার এ স্মৃতিকথাগুলো কিছু নতুন সংযোজনসহ মূলতঃ ইতোপূর্বে এ ব্লগে প্রকাশিত কয়েকটি স্মৃতিকথামূল পোস্ট সম্পাদনা ও সংকলন করে আজ প্রকাশিত হলো। দ্বিরুক্তি পাঠকদের বিরক্তির কারণ হলে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)

জন্মক্ষণঃ
চট্টগ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শৈশবের স্মৃতি

লিখেছেন দেয়ালিকা বিপাশা, ০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৫৫




ছবি: দেয়ালিকা বিপাশা

শৈশবের একটা স্মৃতি এখনো বেশ মনে পড়ে! যতবার মনে পড়ে ততবারই যেন চোখের সামনে স্মৃতিগুলো সব জীবন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচারিক প্যানেল নির্বাচন নিয়ে একটি ভজঘট লেখা।

লিখেছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা, ০৬ ই জুন, ২০২৩ ভোর ৪:৩৯

ব্লগারদের 'বিচারক' নির্বাচন করতে অনুরোধ করেছিলাম। ব্লগাররা যাদের নাম সাজেস্ট করছেন, তাঁরা কেউই নানা ধরনের সমস্যার কারণে বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে চাইছেন না। ভালো একটা বিপদ হলো!


আমরা... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটা প্রস্তাবনা

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ০৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০০



ব্লগে এখন একটা প্রতিযোগিতার আমেজ চলছে। এমন আমেজ অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমার একটা প্রস্তাবনা আছে।

দীর্ঘ প্রায় এক দশকের ব্লগীয় আভিজ্ঞতা থেকে আমি দেখেছি, ব্লগারগণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ আমার বড় কন্যার জন্মদিন

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৬ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪



আজ আমাদের বড় কন্যা পরীর জন্মদিন।
আমার দুই মেয়ে। ছোট কন্যার নাম ফারাজা তাবাসসুম। ফারাজা চালাক চতুর। কিন্তু বড় মেয়েটা সহজ সরল। দুটা মেয়েই আমার কলিজার টুকরা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×