হামাস জিম্মি/বন্দি বিমিয়মে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে: তারা নেতানিয়াহুর সামরিক নিষ্ঠুরতা ও গণহত্যা, অসফলতা ও বিশ্বের চাপকে কাজে লাগিয়ে, জিম্মি বিনিময়ের কন্ট্রোল নিজের হাতে রেখেছিলো। তারা জিম্মিদের ছাড়ার সময়, বিশ্বে এমন একটি পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যে, হামাস খুবই মানবিক! কিন্তু ইহা দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে, স্বভাব তো বদলানোর কথা নয়।
হামাস যদি ঘোষণা দিয়ে "সন্ত্রাস" ত্যাগ করে ও ইসরায়েলকে স্বীকার করে নেয়, আমেরিকা তাকে গ্রহন করতে পারে; তবে, ইহুদীরা ওদেকে বিশ্বাস করবে না ও সময়ের সাথে হামাসের এই স্বল্পকালীন সুনামকে বিতর্কিত করে দিতে চেষ্টা চালাবে।
১৫০০০ মানুষের মৃ্ত্যু যাতে বিফলে না'যায় সেটার জন্য ১টি ভালো পথ হলো, হামাসের গাজা ত্যাগ। হামাস গাজা ত্যাগ করলে ইসরায়েল কোন রকম বিতর্কের সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে না; এতে, ইউরোপ ও বিশ্ব ২ দেশ সমাধানকে স হজে সামনে নিয়ে আসতে সমর্থ হবে। এখন যেই পরিবেশ করছে, হামাস গাজা ছাড়ার প্রস্তাব দিলে আমেরিকা তা মেনে নিতে পারে।
হামাসের ভুল পদক্ষেপের কারণে যে, ১৫০০০ মানুষ প্রাণ হারায়েছে ও গাজা মাটিতে মিশে গেছে, এতে কারো দ্বিমত নেই। ফিলিস্তিন স্বাধীন হলেও এই অপরাধের কথা যাবে না। ফলে, এখন হামাসের প্রস্হান ফিলিস্তিনকে সাহায্য করবে।
ইসরায়েলও চাইবে যে, হামাস সরে যাক। এখন সেই সুযোগ আছে, হামাস না'থাকলে যুদ্ধ এখানেই শেষ হবে। সবাই যুদ্ধের অবসান চাচ্ছে; ইসরায়েলকে চাপ দিয়ে যুদ্ধ থামানো হলে, এরপর যদি কোনভাবে হামাস থেকে আক্রমণ আসে, মানুষের সহানুভুতি হারিয়ে যাব। এখন সুযোগ আছে, হামাস কেক্সটে পড়লে, ফিলিস্তিনীরাই বেশী উপকৃত হবে।