somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"সিটি প্যালেস - জয়পুর" অনবদ্য রাজকীয় কীর্তি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ১০)

১৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এদিন আমাদের প্রথম গন্তব্য "হাওয়া মহল" থেকে আমরা চলে গেলাম সোজা রাজস্থানের অন্যতম এবং জয়পুরের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ "সিটি প্যালেস" দেখতে। বর্তমানের ভারতের রাজাস্থান মূলত ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে অনেকগুলো পৃথক পৃথক রাজপুতানা রাজ্য ছিলো, ছিলো প্রতিটির আলাদা রাজা, আলাদা শাসন ব্যবস্থা। ১৯৪৮ সালে বানসারা, বুন্দি, দুংগাপুর, ঝালাওয়ার, কিষানগড়, কোটা, প্রতাপগড়, সফুরা এবং টঙ্ক ভারতীয় Indian union এ যুক্ত হয়ে রাজাস্থান রাজ্যের সূচনা করে। পরবর্তীতে দুই বছরের মধ্যে একে একে উদয়পুর, বিকানের, যোধপুর, জয়সালমের এবং জয়পুরের মত বৃহৎ এবং শক্তিশালী রাজ্যগুলোও ভারতবর্ষের মানচিত্রে নিজেদের বন্দী করে আজকের রাজাস্থান রাজ্য তৈরী করে যা ভারতের সর্ববৃহৎ রাজ্য যা প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, বাংলাদেশের প্রায় আড়াই গুণ বড়।

এখানে বলে রাখা ভালো, সিপাহী বিদ্রোহের সময় তৎকালীন জয়পুরের মহারাজা রাম সিং ব্রিটিশদের পাশে দাঁড়ান। তাঁরই আমলে শহরের সব কিছু স্থাপত্য গোলাপি (পিঙ্ক) রং করা হয়। প্রিন্স অব ওয়েলসের (পরবর্তী কালে রাজা সপ্তম এডোয়ার্ড) সফরের সময় এই রং-প্রকল্প রূপায়িত হয়। তখন থেকেই জয়পুর ‘পিঙ্ক সিটি’ নামে পরিচিত। মহারাজা দ্বিতীয় মধু সিং এর পালক পুত্র দ্বিতীয় মান সিং ছিলেন জয়পুরের সর্বশেষ মহারাজা যিনি চন্দ্রমহল প্যালেসে থেকে জয়পুর শাসন করেছিলেন। পরবর্তীতে জয়পুরের রাজ পরিবারের আবাসিক ভবন হিসেবে এই প্রাসাদ ব্যবহৃত হতে থাকে। ১৯৪৯ সালে রাজাস্থানের অন্যান্য রাজ্য যোধপুর, জয়সালমের, বিকানের এর মত জয়পুরও স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয়। তৎকালীন রাজা দ্বিতীয় মান সিং’কে বর্তমানের রাজ্য গভর্নরের সমমর্যাদার “রাজাপ্রমুখ” উপাধি দেয়া হয়ে এবং পরবর্তীতে উনাকে স্পেনের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়েছিলো।

সিটি প্যালেস জয়পুর এর মূল নির্মাতা ছিলেন কাচওয়াহা রাজপুত বংশের মহারাজা দ্বিতীয় সওয়াই জয় সিং যিনি ১৬৯৯ থেকে ১৭৪৪ সাল পর্যন্ত জয়পুর শাসন করেন। প্রথমদিকে তিনি মূল জয়পুর শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে ‘আম্বার’ নামক স্থানে রাজধানী স্থাপন করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং পানির সংকটের কারণে সেখান থেকে রাজধানী সরিয়ে জয়পুরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। জয়পুর সিটি প্যালেস সহ শহরের নগর বিন্যাস এবং এর কাঠামোর পরিকল্পনার দায়িত্ব দেয়া হয় তৎকালীন প্রখ্যাত দুই স্থপতি, রাজ-কোষাগারের দায়িত্বে বঙ্গদেশের নৈহাটির মানুষ বিদ্যাধর ভট্টাচার্য, যিনি পরবর্তীতে স্থপতি হয়েছিলেন এবং তার সাথে স্যার স্যামুয়েল সুইন্টন জ্যাকব’কে। এই দুই স্থপতি ভারতীয় শিল্পশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রের নীতিগুলি বিশ্বের বিশিষ্ট স্থাপত্য শৈলীর সাথে যুক্ত করে নকশা প্রণয়ন করেছিলেন জয়পুর শহর এবং অতি অবশ্যই এক জয়পুর সিটি প্যালেস এর। মোটামুটি সিটি প্যালেস তৈরী হয়ে গেলে ১৭২৭ সালের দিকে জয়পুরের রাজধানী আম্বার বা আমের (বর্তমানে আম্বার ফোর্ট বা আমের ফোর্ট যে জায়গায়) থেকে সরিয়ে সিটি প্যালেসে নিয়ে আসেন।


মুবারক মহল

সিটি প্যালেস জয়পুরের তিনটি প্রধান গেট রয়েছে – ত্রিপোলিয়া গেট, বীরেন্দ্র পোল এবং উদাই পোল। এর মধ্যে জনসাধারণ বীরেন্দ্র পোল ও উদয় পোল দিয়ে ঢুকতে পারেন। উদয় পোল দিয়ে ঢুকলে পৌঁছে যাওয়া যায় দেওয়ান-ই-আম-এ। দেওয়ান-ই-আম মানে জনদরবার। আর বীরেন্দ্র পোল দিয়ে আপনি চলে যাবেন মুবারক মহল চত্বরে। যেটি আবার রাজেন্দ্র পোলের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে ‘সর্বতো ভদ্র’ তথা দেওয়ান-ই-খাস-এ। দেওয়ান-ই-খাস অর্থাৎ রাজদরবার।

এছাড়া অভ্যন্তরে রয়েছে ময়ূর বা মোর গেট যা শরৎকালকে উপস্থাপন করে, পদ্মদ্বার যা গ্রীষ্মকালকে উপস্থাপন করে, গোলাপ গেট যা শীত মৌসুমকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং লেহেরিয়া গেট যা বসন্ত ঋতুকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই সিটি প্যালেসের মূল প্রাসাদ কমপ্লেক্সের অন্যতম প্রাচীন ভবনটি সাত তলা বিশিষ্ট যার প্রত্যেকটির একটি নির্দিষ্ট নাম রয়েছে। ময়ূর বা মোর গেট দিয়ে ঢুকে সাততলা বিশিষ্ট চন্দ্র মহল। প্রাসাদচত্বরের পশ্চিমে অবস্থিত এই প্রাসাদ। এক একটা তলার এক একটা নাম – রঙ্গ মন্দির, সুখ নিবাস, মুকুট-মহল, প্রিতম নিবাস, শ্রী নিবাস, ছবি নিবাস ও শোভা নিবাস। এই চন্দ্র মহলই হল রাজপরিবারের আবাস।


সুখ নিবাস


প্রিতম নিবাস


সভ্রত ভদ্রা


চন্দ্রমহল


ছবি নিবাস


শোভা নিবাস

সিটি প্যালেস জয়পুরে অতিথিদের গ্রহণের জন্য রিসেপশন হল হিসেবে মোবারক মহল ডিজাইন করা হয়েছিল। এই ভবনটি এখন জাদুঘর হিসেবে কাজ করে, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম তলায় অফিস এবং একটি লাইব্রেরি এবং নিচতলায় একটি টেক্সটাইল গ্যালারি। সিটি প্যালেস জয়পুর জাদুঘরে রাজপরিবারের নিদর্শন, অস্ত্রশস্ত্র এবং রাজকীয় পোশাকও প্রদর্শিত হয়। একটি খোদাই করা মার্বেল গেট এবং ভারী পিতলের দরজা এই ভবনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এছাড়া সিটি প্যালেস জয়পুরের কমপ্লেক্সে বিখ্যাত গোবিন্দ দেব জি মন্দিরও রয়েছে, যা ভগবান কৃষ্ণ এবং তার সহধর্মিনী রাধাকে উৎসর্গ করা হয়েছে। মহারাজা জয় সিংহ দ্বিতীয় বৃন্দাবন থেকে মন্দিরের দেবতাদের নিয়ে এসেছিলেন। হাজার হাজার ভক্তরা প্রতিদিন যেসব আরতি হয় তার সাক্ষী হতে এই স্থানটি পরিদর্শন করে।

বাগি খানা সিটি প্যালেস জয়পুর কমপ্লেক্সের একটি প্রধান আকর্ষণ এবং এর মধ্যে রয়েছে রথ এবং পরিবহন কোচগুলির সংগ্রহ যা একসময় রাজপরিবারের সদস্যদের বহন করত। বিশেষ করে, 1876 সালে রাণী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক মহারাজা সাওয়াই রাম সিং দ্বিতীয়কে দেয়া উপহার রাজকীয় রথ এবং ইউরোপীয় ক্যাব দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

কমপ্লেক্সের মহারানি প্রাসাদটি রাজ পরিবারের রানীদের জন্য নির্মিত হয়েছিল। এই জায়গার একটি দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্য হল ফ্রেসকো সিলিং, সোনায় খোদাই করা। একটি ঘোড়ার জীবন-আকারের কাঠামোও রয়েছে যা পুরো শরীরের বর্ম পরা। আজ, স্থানটি একটি অস্ত্রাগার যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে যেখানে রাজপুতদের প্রদর্শিত অস্ত্রের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এলাকাটি আনন্দ মহল সিলেহ খানা নামেও পরিচিত।

মার্বেল স্তম্ভ সম্বলিত একটি প্লাটফর্মে নির্মিত, সর্বতো ভাদ্র বা দিওয়ান-ই-খাস হল একতলা, উন্মুক্ত হল, যাতে রাজ্যের দরবারী ও রাজন্যবর্গের সমন্বয়ে একটি ব্যক্তিগত দর্শক রাখা হয়। এটি হল প্রাইভেট অডিয়েন্স হিসেবেও পরিচিত। হলের একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল 'তখত-ই-রাওয়াল' বা রাজকীয় সিংহাসন এবং সিলিং সোনার ও লাল রঙে আঁকা।

দিওয়ান-ই-আম হল জনসাধারণের দর্শকদের ধারণের জন্য উন্মুক্ত হল। মুঘল স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি, স্থানটি মার্বেল স্তম্ভ, মার্বেল মেঝে এবং একটি আঁকা প্লাস্টার সিলিং দিয়ে জটিলভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। একটি কাচের ক্ষেত্রে একটি বিশাল রথের চাকা লাগানো আছে।

সিটি প্যালেসের একাংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে মহারাজা সোয়াই মান সিং দ্বিতীয় মিউজিয়াম। দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-আম, মুবারক মহল, বগ্গি খানা, সিলে খানা, পেন্টিং অ্যান্ড ফোটোগ্রাফি গ্যালারি, পোথিখানা নিয়ে এই মিউজিয়াম। মুবারক মহলে রয়েছে টেক্সটাইল গ্যালারি। এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে ঐতিহ্যশালী রাজকীয় পোশাকআশাক। রয়েছে মহারাজদের পোলো ও বিলিয়ার্ড খেলার পোশাক। শাল আর কার্পেটের বিশাল সম্ভার রয়েছে এখানে। বগ্গি খানা হল ট্রান্সপোর্ট গ্যালারি। মধ্যযুগের বিভিন্ন যান প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে – ঘোড়ার গাড়ি, পালকি, মিয়ানা, রথ, উটের গাড়ি ইত্যাদি। সিলে খানা হল অস্ত্রাগার। নানা ধরনের অস্ত্র প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে।

পেন্টিং অ্যান্ড ফোটোগ্রাফি গ্যালারিতে আঠারো শতক থেকে বিশ শতকের মধ্যে আঁকা ও তোলা ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে। এখানে ৩ হাজার আঁকা ছবি ও ৬০৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। পোথিখানা অর্থাৎ পুথিখানায় রক্ষিত আছে হাতে লেখা ৭৮৬৬টি পুথি ও খসড়া। খসড়াগুলি সংস্কৃত, হিন্দি, রাজস্থানি, উর্দু এবং পার্সি ভাষায় লেখা। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুথিখানা এটি।


ক্লক টাওয়ার সিটি প্যালেস

সিটি প্যালেস এর ভেতরের অংশ







আমাদের দলের সবাই এখানে প্রবেশ করলো না, তারা বাহিরে নগর পরিভ্রমণে ব্যস্ত হয়ে গেলে আমি, আর দলের দুই সিনিয়র দম্পতি যুগল চারজনকে নিয়ে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখলাম পুরো সিটি প্যালেস। জয়পুর ভ্রমণে আসলে অতি অবশ্যই সিটি প্যালেস ভ্রমণ করতে ভুলবেন না। এই সিটি প্যালেসে প্রচুর সিনেমা, নাটক, বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং হয়। আমরা যখন ভ্রমণে ছিলাম তখনও দেখলাম সেখানে একটা বিজ্ঞাপনের ফটোশ্যুট চলছে। আসুন কিছু ছবি দেখা যাক জয়পুর সিটি প্যালেস এরঃ







































ছবি কৃতজ্ঞতাঃ
পোষ্টের শুরুর ফুল ওয়াইড পিকচার ছাড়া বাকি সকল ফুল ওয়াইড পিকচার উইকিপিডিয়া এবং উইকিকমন্স হতে নেয়া।
পোষ্টের শেষের সকল ছবি বোকা মানুষের তোলা, Xiaomi Redmi Note 3 মোবাইল দিয়ে তোলা।

তথ্য এবং লেখনী (আংশিক) কৃতজ্ঞতাঃ
উইকি পিডিয়া
হাউজিং ডট কম
ভ্রমণ অনলাইন ডট কম

উৎসর্গঃ আমার ভারত ভ্রমণের এই সিরিজটি ব্লগার "কামরুন নাহার বীথি" আপাকে উৎসর্গ করছি। উনি আমার এই ট্যুরে ট্যুরমেট ছিলেন। গত পহেলা জানুয়ারী রাত এগারো ঘটিকায় বীথি আপা আল্লাহ্‌র ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। আল্লাহ্‌ তার শোকার্ত পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দাণ করুন। আর আপাকে পরপারে আল্লাহ্‌ সকল গুনাহ (যদি থাকে) মাফ করে তার কবরে আজাব মাফ করুন এবং আখেরাতে বেহেশত নসীব করুন।


প্রথম পর্ব থেকে বীথি আপার এই ট্যুরে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটা আবার তুলে ধরলামঃ
ঈদের কয়েকদিন আগে আমি কোন একটা কাজে নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো, কল রিসিভ করতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠস্বর। আমাদের দলের সাথে যুক্ত হতে চায় এই ট্রিপে। “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এ তখন পর্যন্ত আমার পূর্বপরিচিত কেউ ছাড়া আর কারো সাথে পরিচয় ছিলো না। “সাদা মনের মানুষ” খ্যাত কামাল ভাই এর সাথে পরিচয় ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে। সেই কামাল ভাই এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন দিয়ে প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপা। উনি এবং ভাইয়া যুক্ত হতে চাচ্ছেন আমাদের সাথে। আমি একদিন সময় নিয়ে উনাকে কনফার্ম করলাম উনাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা। এরপর উনাদের এয়ার টিকেট এর ব্যবস্থা করা হলো। দল গিয়ে দাড়ালো দশজনের। সিদ্ধান্ত হল চারজনের একটা দল ঈদের দিন রাতে রওনা হয়ে যাবো কলকাতার উদ্দেশ্যে। একদিন পরে বাকী ছয়জন রওনা হবে, যেহেতু কোরবানী ঈদের ছুটি, তাই অনেকেই সারাদিনের কোরবানীর হ্যাপা পোহানোর পর সেদিন রাতেই রওনা হতে রাজী হলো না। ফলে আমরা যে চারজন আগে রওনা হবো, তারা একরাত কলকাতা থেকে পরেরদিন সরাসরি বিমানবন্দর চলে যাবো। অপর দলও সরাসরি বেনাপোল বর্ডার হতে দমদম বিমানবন্দর চলে আসবে। এরপর ঢাকা থেকে সকলের কলকাতার বাসের টিকেট এবং আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষার পালা চলতে লাগলো….

ভ্রমণকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর, ২০১৬ এর সকল পর্বঃ
* যাত্রা শুরুর আগের গল্প (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০১)
* কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
* ফ্লাইট মিসড তো ট্যুর ক্যান্সেলড... টেনশনিত অপেক্ষার শেষে (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৩)
* আগ্রার পাণে যাত্রা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৪)
* আগ্রার ঘাগড়ায়, দেখা হলো না নয়ন জুড়িয়া (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৫)
* তাজমহলে পদধূলি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৬)
* আগ্রা ফোর্ট - বহু ইতিহাসের সাক্ষী (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৭)
* কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা "ফাতেহপুর সিকরি" ভ্রমণ (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৮)
* পিঙ্ক সিটি জয়পুর ভ্রমণে চলে এলাম "হাওয়া মহল" - (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৯)
* "সিটি প্যালেস - জয়পুর" অনবদ্য রাজকীয় কীর্তি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ১০)


এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:১২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×