এখন কোন শিক্ষিত মানুষের সন্দেহ নেই যে, জীব জগতে মানুষই সবচয়ে জ্ঞানী ও শক্তিশালী। মানব জাতি কোনকালে, অন্য কোন জীবকে তার চেয়ে জ্ঞানী ভাবতো কিনা, সেটা জানার উপায় নেই। আদিকালের মানুষ রূপকথা রচনা করেছে, যেখানে তারা নিজেরাই অতিমানব, দেবতা, সুপারম্যান, অদৃশ্যমান চরিত্রের সৃষ্টি করেছিলো, যাদেরকে মানুষ থেকে শক্তিশালী হিসেবে দেখানো হয়েছিলো; আজকেও অনেকই সেই ধরণের রূপকথার চরিত্র সৃষ্টি করে যাচ্ছে, কেহ তাকে সাহিত্য হিসেবে নিচ্ছে, কিছু মানুষ উহাকে বাস্তব হিসেবেও নিচ্ছে।
মহাবিশ্বের ক্রমাগত পরিবর্তন ও আমাদের গ্রহের প্রাকৃতিক শক্তির বিবর্তনে প্রানের উদ্ভব ঘটেছে; সেই প্রাণ থেকে জীব জগত সৃষ্টি হয়েছে; এদের মাঝে মনুষ্য জাতিই সবচেয়ে জ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; সেটার পেছনে কাজ করেছে তাদের শারীরিক গঠন, মানসিক উন্নয়ন এবং চিন্তাশক্তি। লজিক্যাল ভাবনাশক্তি মানুষের জ্ঞানকে রিফাইন করে যাচ্ছে ক্রমাগতভাবে; ফলে, মানুষের ভুল ধারণাগুলো ক্রমেই কমে আসছে, মানব সমাজ জ্ঞানভিত্তিক সমাজে পরিণত হচ্ছে।
মানব সমাজ তাদের লব্ধজ্ঞানকে সন্চিত করে রাখার জন্য ও পরবর্তি জেনারেশনকে দেয়ার জন্য মাধ্যম আবিস্কার করেছেন; তার শুরুটা ছিলো শিক্ষালয় ও বই'এর মাধ্যমে; এখন ইহা ভার্চুয়াল শিক্ষালয় ও ডিজিটেল মাধ্যম অবধি চলে গেছে।
বিশ্বের সব এলাকার মানুষের যাতে করে জ্ঞান আহরণ, জ্ঞানচর্চা করতে পারে, মানুষের সন্চিত লব্ধজ্ঞান পরবর্তি জেনারশনের কাছে হস্তান্তরিত করা যায়, সেজন্য মানুষ শিক্ষালয় প্রতিষ্টা করেছেন, লাইব্রেরী ও তথ্যভান্ডারের সৃষ্টি করেছেন।
মানুষ পৃথিবীময় ছড়িয়ে থাকার ফলে, মানবজাতি বিবিধ গোত্রে বিভক্ত হয়েছে; তারা ভাষা, সংস্কৃতি ও সম্পদের দিক থেকে সমস্তরে নেই; ফলে, তাদের জীবন প্রণালী, পদ্ধতি একমুখী হয়নি, এক লেভেলে থাকেনি। ইহা বেশ সমস্যার সৃষ্টি করেছে, অনেক এলাকার লোকজন পিছিয়ে গেছে; আজকের বিশ্ব এই সমস্যার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে; সময়ের সাথে, মানুষ এই সমস্যার সমাধানও বের করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭