আমি ব্রুকলীনের বাংগালী পাড়ার মুল এলাকার রাস্তার মোড়ে ( চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডের কোণায় ) গ্রীনলাইটের অপেক্ষা করছি; অন্য পাশ থেকে মসজিদের সভাপতি হাশেম সাহেব আমার নাম ধরে ডাক দিলেন; আমি উনার পাশ্বেই যাচ্ছিলাম। গ্রীনলাইটে সেপারে যাবার হওয়ার পর, হাশেম সাহেব ৪/৫ জন মানুষের ( বাংগালী ) সাথে পরিচয় করায়ে দিলেন। সবাই ইন্জিনিয়ার, ১জন ব্যবসায়ী, উনারা আটলান্টা থেকে এসেছেন, মসজিদে থাকবেন কয়েকদিন। এদের মাঝে ১ জন, বয়স ৩০ বছরের নীচে, দেখতে বেশ স্বাস্হ্যবান, ভালো কাপড়চোপড় পরা, ORACLE কর্পরেশনের ডেভেলপার; নিজের সম্পর্কে ২/৪ লাইন বলার পর, আমার হাত ধরে বললেন,
-ভাই, আমাদের সবাইকে তো একদিন মরতে হবে; এজন্য আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে!
আমি উনাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম,
-আপনার স্বাস্হ্যগত কোন সমস্যা হচ্ছে?
না, আমি আল্লাহের রহমতে ভালো আছি!
-তা'হলে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি কেন?
লোকটি থতমত খেয়ে গেলেন। আমি বললাম,
-আমার কাজ আছে, আমি যাই।
-কিছু কথা বলতে চেয়েছিলাম, লোকটি বললেন।
-আমার মৃত্যু কাছে আসুক, তখন কথা হবে।
আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির একজন প্রাক্তন লেকচারার'এর ব্যবসায়িক অফিসে যাচ্ছিলাম, সেদিক চলে গেলাম। আমি জানি হাশেম সাহেব একটু অপ্রস্তুত হয়েছেন; তবে, উনি আমাকে অনেকদিন থেকেই চেনেন।
ব্লগে যখন কবিতা মবিতায় মৃত্যু নিয়ে কথা থাকে আমি ওসব ম্যাঁওপ্যাঁও পড়ি না; পড়লে ভয়ানক বিরক্ত হই। আমি কখনো মৃত্যু নিয়ে চিন্তুিত নই; মানুষের মৃত্যু হয়, এটা আমার জানা আছে; কিন্তু ইহা নিয়ে আলাপের কোন কারণ দেখি না। মৃত্যু নিয়ে রবি ঠাকুরের একাধিক কবিতা আছে মনে হয়, অনেকে সেগুলো থেকে ২/১ লাইন বলে, মৃত্যুকে গুরুত্বপুর্ণ বিয়য়ে পরিণত করতে চায়; আমি ইহাতে বিরক্ত হই মাত্র।