বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার চাঁদগাজী
বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার ডঃ এম এ আলী
বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার আহমেদ জী এস
কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্লগার জুল ভার্ন
ব্লগার চাঁদগাজী ভাই, ব্লগার ডঃ এম এ আলী ভাই ও ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইকে নিয়ে ব্লগে নতুন করে কিছু বলার বা লেখার নেই, তাঁদের কাছে আমি নিতান্ত শিশু ও অখ্যাত একজন ব্লগার মাত্র। ব্লগে এ তিনজন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করছেন তার প্রমাণ পাই এই তিনজনের কোনো একজন যদি কোনো কারণে ৫-৭ দিন অনুপস্থিত থাকেন ব্লগ যেনো পানসে হয়ে পরে। তাদের উপস্থিতিতে ব্লগ মেতে উঠে - ব্লগ নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। এছাড়া ব্লগে আমাদের সাথে আছেন অসম সাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জুল ভার্ন ভাই।
ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের এক একটি মন্তব্য আস্ত একটি পোষ্টের দাবীদার ও এক একটি মন্তব্যে নতুন করে ভাবতে হয় “কি বলেছেন এর ব্যখ্যা আর এর মূল্য”। ব্লগার চাঁদগাজী ভাইয়ের কাছে রেহায় পান না বর্তমান বিশ্বে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি, তাজ উদ্দিন সাহেব, এমন কি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব কেও ছেড়ে কথা বলার মানুষ নন তিনি। ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়ের লেখায় উঠে আসে বাংলাদেশের অন্তর্নিহিত সমস্যা, জীবনের রুপরেখা, সমাজের রুপরেখা, ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়ের জীবনে মানুষের কতো রঙ হতে পারে তা তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। ব্লগার জুল ভার্ন ভাই কি এক অসম দুর্বার শক্তিতে কিশোর বয়ষে যুদ্ধে গিয়েছিলেন তা আমাদের গল্পের রুপকথাকেও হার মানায় কিন্তু সত্যি আর বাস্তব হচ্ছে বাংলাদেশে ১৯৭১ এর পটভূমিতে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ছিলো তারা যুদ্ধের মাঠে অসম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং দুর্বার সাহসিকতায় শহীদ ও হয়েছেন। ৭১ এর বীরদের সামহোয়্যারইন ব্লগে লেখনীতে বারংবার একটি কথাই মনে হয় কি পরিমান দেশপ্রেম, কি পরিমান জীবনের উপর অভিজ্ঞতা থাকলে তাঁরা দেশের জন্য সমাজের জন্য এভাবে লিখতে পারেন। ব্লগিং কি - ব্লগিং কাকে বলে তা জানতে হলে অবস্যই ব্লগার ডঃ এম এ আলী, ব্লগার চাঁদগাজী ও ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইয়ের পোষ্ট পড়তে হবে। প্রতিটি মন্তব্যর উত্তর কিভাবে দিতে হয় তা তাদের সাজানো গোছানো, যেমন থাকে প্রথম শ্রেণীর একটি লাইব্রেরীর বই তাকে তাকে সাজানো গোছানো।
অত্যন্ত গর্বের সাথে জানাচ্ছি এ চারজন ব্লগার সামহোয়্যারইন ব্লগের অত্যন্ত সম্মানিত ব্লগার ও ১৯৭১ সনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা ছিলেন বলে আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। তাঁরা ছিলেন বলে আজ আমরা খোলা আকাশের নিচে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারি। তাঁরা ছিলেন বলে আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি গান গাই, কবিতা প্রবন্ধ গল্প উপন্যাস লিখি। তাঁরা ছিলেন বলে আজ আমরা বিসিএস কর্মকর্তা হতে পারি নয়তো পূর্ব পাকিস্তানের কোনো সরকারি দপ্তরে হয়তো পিয়ন হয়ে ফাইলের বোঝা টেনে আর চায়ের কাপ পিরিচে জীবন পার করে দিতে হতো। তাঁরা ছিলেন বলে স্বাধীন দেশে নিজের নামে লাইসেন্স করে মাথা উঁচু করে ব্যবসা করি বিদেশ ভ্রমণ করি। সুখে দুঃখে হাসি কাঁদি আনন্দ করি। নয়তো পূর্ব পাকিস্তানে আজও আমাদের বোবার জীবন যাপন করতে হতো।
আজ অত্যন্ত গর্বের সাথে সামহোয়্যারইন ব্লগে উল্লেখ করছি ব্লগার চাঁদগাজী ভাই ও ব্লগার ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের লেখা পোষ্ট এ ফোর পেপারে প্রিন্ট হয়ে দেশের সরকারি মহলের সর্বোচ্চ স্থানে তাঁদের জরুরী ফাইলে গিয়ে আলোচিত হয়। সম্প্রতি সে সকল আলোচিত বিষয়ের অন্যতম বিষয় “কোরবানির পশুর চামড়া, রোহিঙ্গা মেয়ে রাহী আক্তার খুশী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তা বেষ্টনী সহ নিরাপত্তা চৌকি জোড়দার”।
আজ আমরা তিনবেলা পেট পুরে খাই, বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম আমাদের গায়েও লাগেনা। অত্যন্ত কষ্ট ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সোনার সন্তানরা দিনের পর দিন না খেয়ে থেকেছেন, এমন নয় তারা গরিবের সন্তান - না খেয়ে তারা অভ্যস্ত ! তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান নিজেদের ঘরের গরু মহিষের দুধ দই ঘি আর নিজেদেরে পুকুর বিলের মাছ খেয়ে বড় হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে দিনের পর দিন একমুঠো চিড়া মুড়ি কখনো শুধু টিউবওয়েলের পানি হয়েছে তাদের সারা দিনের আহার। অত্যন্ত দুঃখের সাথে গর্ব নিয়ে বলছি সেসব সোনার সন্তানরা গায়ে পুরোনো ছেড়া ধুলি ধুসরিত জামা পেন্ট, ছেড়া জুতা, খালি পায়ে মাঠে খালে বিলে দৌড়েছেন শরীরের শক্তিতে নয় - মনের শক্তিতে, দেশপ্রেমের শক্তিতে। তাদের রক্তে রঞ্জিত লাল সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ।
আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে আমাদের সামনে চারজন মহান মুক্তিযোদ্ধা জনাব ডঃ এম এ আলী সাহেব, মুক্তিযোদ্ধা জনাব চাঁদগাজী সাহেব ও মুক্তিযোদ্ধা জনাব আহমেদ জী এস সাহেব ও কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জুল ভার্ন ভাইকে জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। তাঁরা দেশের জন্য যেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ব্যস্ত থাকুন আর আমাদের সাথে থাকুন। আমরা আপনাদের কাছে চিরো কৃতজ্ঞ, আমরা আপনাদের কাছে চিরো ঋণী।
অনুরোধ: - ব্লগে সকল ব্লগারদের প্রতি অনুরোধ সামহোয়্যারইন ব্লগে যারা যারা মুক্তিযোদ্ধা আছেন তাদের তালিকা দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করুন, তাদের লেখার সাথে আমরা সবাই যুক্ত হতে চাই। যেভাবেই হোক তাদের লেখায় আমরা অনুপ্রেরণা হতে চাই।
উপসংহার: - আমি মুক্তিযোদ্ধা নই। ৮-৯ বছরের একটি বালকের পক্ষে একটি রক্তাত্ব যুদ্ধে যাওয়ার মতো সাহসিকতা আর মন মানসিকতা থাকেনা। আমারও ছিলোনা, তবে আমি যুদ্ধকালীন সাক্ষী। ১৯৭১ এর রক্তাত্ব ভয়ঙ্কর যুদ্ধের করাল সাক্ষী। - সে গল্প হয়তো হবে কোনো একদিন।
কৃতজ্ঞতা:- সামহোয়্যাইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোস্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৭