১ম দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব অফিস থেকে ফিরছিলেন।
-স্যার, পাঁচটা ট্যাকা দেন।
রফিক সাহেব চেয়ে দেখেন আঠার-বিশ বছরের এক সুস্থ স্বাভাবিক তাগড়া জোয়ান, গায়ে মলিন কাপড়।
-মাফ কর।
রফিক সাহেব বাসার পথ ধরেন।
২য় দিন।
একই সময়, একই স্থান। রফিক সাহেব আজও অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন।
-স্যার, দুইটা ট্যাকা দেন।
রফিক সাহেব চেয়ে দেখেন গতকালকের জোয়ান ছেলেটাই।
-যা ভাগ, খেকিয়ে ওঠেন রফিক সাহেব।
৩য় দিন।
সন্ধ্যাবেলা। রফিক সাহেব বাসায় ফিরছেন। তাড়াহুড়ায় খেয়াল করেননি গলিটা গত দুইদিনের তুলনায় একটু বেশিই নির্জন।
-যা আছে, সব দিয়া দে।
রফিক সাহেব গালি দিতে গিয়েও থেমে যান। দুটো ছেলে, দুজনের হাতেই ধারাল চাকু।নীরবে মানিব্যাগ, মোবাইল, ঘড়ি-সবই দিয়ে দেন। সব বুঝে নিয়ে ছেলেদুটো অন্ধকারে হারিয়ে যায়। যাওয়ার আগে রফিক সাহেবের পেটে চাকুর পোচ দিয়ে যায়।
রফিক সাহেব পেট চেপে ধরে বসে পড়েন। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে গত দুইদিনে দেখা ভিখারী ছেলেটাকে আসতে দেখা যায়।
রফিক সাহেব সর্বশক্তি দিয়ে সাহায্যের জন্য ছেলেটিকে ডাকতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তার কন্ঠ দিয়ে কোন শব্দ বের হয় না।
জ্ঞান হারানোর আগে রফিক সাহেব দেখতে পান ছেলেটা তার দিকে এগিয়ে আসছে। নাকি আসছে না? জ্ঞান হারানোর আগে হ্যালুসিনেশন হচ্ছে?
গল্পঃ প্রতিদিন
-আমি তুমি আমরা
১৪.০৮.২০২০
-কিরে মোটু, মন খারাপ কেন?
-বাদ দে।
-বাদ দিব কেন? বল।
-তোরা সারাক্ষণ ‘মোটু,মোটু’ করিস, সেজন্যই মন খারাপ থাকে।
-আজব। মোটাকে মোটা বলব নাতো কি বলব? এযুগে কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন হয় না।
-তাই নাকি? তা তোকে কি ডাকব? কাল্লু মামা? নাকি কালাইয়া?
-দেখ, মুখ সামলিয়ে কথা বলবি।
-আমার মুখ সামলানোর কি দরকার? আমিতো ব্যায়াম আর ডায়েট করে চিকন হয়ে যেতে পারব। তুই কি করবি? ময়দা মাখবি?
-ছিহ, তুই এমন রেসিস্ট?
গল্পঃ রেসিস্ট
-আমি তুমি আমরা
১৪.০৮.২০২০
===============================================================
সিরিজের আগের পর্বসমূহঃ
পরমাণু গল্পসমগ্র-১
পরমাণু গল্পসমগ্র-২
পরমাণু গল্পসমগ্র-৩
পরমাণু গল্পসমগ্র-৪
পরমাণু গল্পসমগ্র-৫
পরমাণু গল্পসমগ্র-৬
পরমাণু গল্পসমগ্র-৭
পরমাণু গল্পসমগ্র-৮
পরমাণু গল্পসমগ্র-৯
পরমাণু গল্পসমগ্র-১০
পরমাণু গল্পসমগ্র-১১
পরমাণু গল্পসমগ্র-১২
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯