কিস্তি-১৩
নাইট গার্ড লেকের এমাথা থেকে ওমাথা চষে বেড়াচ্ছে। দায়িত্ব পালন করছে সে। কিছুক্ষণ পর পর গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে ওঠছে- ছাইরা ব, ছাইরা ব।
তার এ কথায় ভাল কাজ হচ্ছে। কারণ মাঝে-মধ্যেই কপোত-কপোতীরা বেপরোয়া ও বেসামাল হতে চাইছে। নাইট গার্ডের চিৎকার শুনে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
কিছুক্ষণ কথা বন্ধ ছিল আঁকা ও নিপুণের। তারা আবার নতুন করে শুরম্ন করলো। আঁকা বললো-
কিন্তু তুমি তো আমাকে পাবে না নিপুণ।
কেন, পাবো না কেন?
না পাবার কারণ তুমি নিজেই।
কেমন?
নারীর রোজগারের টাকা তুমি খাবে না। আবার ইতালিও যেতে চাও না। তাহলে আমাকে পাবে কিভাবে?
আমি চেষ্টার ত্রম্নটি করছি না। এ পর্যনত্ম ৭০-৮০টা ইন্টারভিউ দিয়েছি। কিন্তু...
শুধু চেষ্টা করলে হবে না। ইচ্ছাও থাকতে হবে।
কি বলছো এসব! আমার ইচ্ছে নেই।
না, নেই।
এমন একটা কথা তুমি বলতে পারলে...।
হ্যাঁ পারলাম। কারণ তোমার মতো একটা ছেলে ইচ্ছা করলেই মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। চাকরির পেছনে ছুটতে হয় না।
ব্যবসার কথা বলছো? সেটা করতে পুঁজি লাগে।
পুঁজি তোমার যথেষ্ট আছে। এখন শুধু ইচ্ছার সমন্বয় হলেই হয়।
কিভাবে, খুলে বলো।
তোমার মতো একটা ছেলে টিউশনি করলেও মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আসবে।
কথাটা শুনে কিছুক্ষণ থমকে রইলো নিপুণ। কোন কথা নেই মুখে। আঁকার কাছ থেকে একটু দূরে সরে গেছে। তাকে চুপচাপ দেখে আঁকা বললো-
তুমি কি আমার কথায় কষ্ট পেলে?
না, ভাবছি।
কি ভাবছো।
কথাটা মন্দ বলো নি।
এবার আঁকা কিছুটা সরে এলো। ঘনিষ্ঠ হয়ে বসলো নিপুণের সঙ্গে। ওর হাতে হাত রেখে বললো-
আমিও তোমাকে ছাড়া বাঁচবো নিপুণ। আবার এটাও ঠিক- আমি চাইনা তুমি আমার ওপর নির্ভর করো। নিজের পায়ে দাঁড়াও এটা মনে-প্রাণে চাই আমি। তোমাকে নিয়ে তুমি যতটা ভেঙে পড়েছো, আমি মোটেও সে রকম ভাবি না। তোমাকে নিয়ে আমার মনে কোন টেনশন কাজ করে না। কারণ আমি জানি- তোমার ভেতর যে মানুষটা বাস করছে, যে সত্ত্বাটা ঘুমিয়ে আছে তাকে শুধু জাগাতে পারলেই হলো।
আমি তো ভেবেছিলাম- টিউশনি করলে তুমি কি মনে করো...। শেষে যদি বলো...।
নিপুণের মুখ চেপে ধরলো আঁকা। কথাটা শেষ করতে দিল না। সে বললো-
কথাটা আমি শেষ করছি। পৃথিবীতে যত পেশা আছে- আমি মনে করি শিক্ষকতার চেয়ে মহৎ ও গর্বের কোন পেশা নেই। কাজেই তুমি একদম হীনমন্যতায় ভুগবে না। কোন টেনশন করবে না। কাল থেকে কাজে লেগে যাও। আমি তোমাকে দায়িত্বশীল পুরুষ হিসেবে দেখতে চাই।
দু’জন বেশ ঘনিষ্ঠ এখন। নিপুণের কাঁধে মাথা রেখেছে আঁকা। নিপুণ তার চিবুক ধরে মুখটাকে উপরে তোলে। কপালে চুমু খায়।
নিপুণকে সাহায্য করে আঁকা। সে একধাপ এগিয়ে যায়। নিপুণের ঠোঁটে ঠোঁট ছোয়ায়। জড়িয়ে থাকে গাঢ় আলিঙ্গনে।
এ সময় সেই নাইট গার্ডের হুঙ্কার- ওই ছাইরা ব, ছাইরা ব।
কি যন্ত্রণায় পড়লাম রে বাবা। ব্যাটার জন্য তো প্রাণ খুলে একটু...
মহা বিরক্ত নিপুণ। আঁকা হাসছে।
নিপুণ বলে- তুমি হাসছো, রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে।
আমার খুব ভাল লাগছে। চলো এবার উঠি। রাত ন’টা বাজে। বাসায় যেতে যেতে দশটা হয়ে যাবে। আম্মা বাসায় একা।
ভাল কথা। খালাম্মার শরীর এখন কেমন?
খালাম্মা বলছো কেন? শাশুড়ি বলতে লজ্জা লাগছে...
সরি, সরি, শাশুড়ি আম্মা কেমন আছেন।
ভাল।
একসঙ্গে হো হো করে হেসে ওঠে দু’জন। তারপর হাত ধরাধরি করে লেকের পাড় থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। রাস্তা কেমন যেন ফাঁকা। গাড়ি কম। প্রচুর লোকজন দাঁড়িয়ে আছে বাসের অপেক্ষায়। একটা রিকশা এলে একসঙ্গে পাঁচ-সাতজন ‘যাইবা যাইবা’ বলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাদের সঙ্গে নিপুণও। রিকশাওয়ালা প্রত্যেককেই বলে দেয়- না, যামু না।
আঁকা এগিয়ে বলে যাবেন?
রিকশাওয়ালা রাজি হয়। তারা রিকশায় উঠে বসে। রিকশা এগিয়ে চলে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে এলিফ্যান্ট রোড দিয়ে। শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে আসতেই পুলিশ বাধা দেয়- এদিকে যাওয়া যাবে না। সামনে গন্ডগোল। বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্ক হয়েছে এক ভদ্রলোকের। কন্ডাক্টর দুই টাকার ভাড়া তিন টাকা দাবি করে। ভদ্রলোক দুই টাকার বেশি দেবেন না। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ভদ্রলোককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে কন্ডাক্টর। ভদ্রলোক এক্কেবারে চাকার নিচে। স্পট ডেড। লোকটি বারডেম হাসপাতালের স্টাফ। এ নিয়ে বিশাল গেঞ্জাম। ফলে- রাস্তায় ব্যারিকেড। গাড়ি বন্ধ।
রিকশাওয়ালা কাঁটাবন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা ধরে এগোয়। আঁকা ও নিপুণ নিরব। কেউ-ই কথা বলছে না। নিরবতা ভাঙলো আঁকা। বললো-
তোমার কাছে একটা আবদার আছে আমার।
কি?
আগে বলো রাখবে।
বলো না।
না, আগে কথা দিতে হবে।
রাখার মতো হলে অবশ্যই রাখবো।
কাল থেকে তুমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে। বলো পড়বে?
এই কথা!
হ্যাঁ, বলো পড়বে।
কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলো নিপুণ। তারপর বললো-
আচ্ছা ঠিক আছে পড়বো।
এত সহজে রাজি হয়ে যাবে ভাবেনি আঁকা। সে খুব খুশি হলো। আনন্দে জড়িয়ে ধরলো নিপুণকে। মৃদু হাসলো নিপুণ। বহুদিন থেকে মা তাকে নামাজ পড়তে বলছেন। অথচ সে পড়ছে না। যখনই মা নামাজের কথা বলেন- নিপুণ এড়িয়ে যায়। কিংবা দেখি বলে শেষ করে। আজ আঁকার আবদারে এককথায় রাজি হয়ে গেল।
প্রেমিকা ইচ্ছে করলে যে কোন ছেলেকেই সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারে এটা তার প্রমাণ। ছেলে যতই বখাটে কিংবা উচ্ছৃঙ্খল হোক।
বঙ্গবাজার চৌরাস্তা দিয়ে নাজিরাবাজার রোডে ঢুকতেই আঁকাকে নিপুণ বললো- আজ তোমাকে একটা জিনিস খাওয়াবো। খুব নামকরা জিনিস।
কি জিনিস? জানতে চাইলো আঁকা।
হাজীর বিরিয়ানি। যদিও ওটা বিরিয়ানি নয়। তেহারী। হাজীর তেহারী না বলে কেন যে লোকে বিরিয়ানি বলে বুঝি না।
বিরিয়ানি খাওয়াবে টাকা পাবে কোথায়?
তোমার কাছ থেকে ধার নেবো। ভেবোনা- টিউশনির বেতন পেলে শোধ করে দিবো।
আঁকা ও নিপুণ একসঙ্গে হেসে উঠলো।
তবে তোমাকে তিনজনের টাকা দিতে হবে। নিপুণ বলে।
তিনজন পেলে কোথায়?
রিকশাওয়ালাকেও খাওয়াবো। ওর রিকশায় চড়ে অনেকেই নিশ্চয়ই এখানে বিরিয়ানি খেতে আসে। কিন্তু আমি নিশ্চিত ও কোনদিন হাজীর বিরিয়ানি খায় নি।
রিকশাওয়ালা ভাই হাজীর বিরিয়ানির দোকান চেনো? নিপুণ জানতে চায়।
হাসি দিয়ে রিকশাওয়ালা বলে- কন কি? এত নামকরা বিরিয়ানি- চিনমু না!
কোনদিন খেয়েছো?
না। এত ট্যাকা পামু কই। যে ট্যাকা দিয়া বিরানি খামু, ওই ট্যাকায় পুরা সংসার চলে।
ঠিক আছে তুমি হাজীর বিরিয়ানির দোকানের সামনে যাও।
আইচ্ছা। কিন্তু এহন তো বিরানি পাইবেন না স্যার।
কেন?
কয়টা বাজে?
দশটার কাছাকাছি।
আটটার পরে পাওয়া যায় না স্যার।
আরে না না পাওয়া যাবে। তুমি যাও।
রিকশা হাজীর দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। ওরা দেখে স্টাফরা সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছে। বিরিয়ানি শেষ।
আঁকাকে এমন নামকরা একটা জিনিস খাওয়াতে না পেরে মনটা খারাপ হয়ে গেল নিপুণের।
লক্ষ্মীবাজারে পৌঁছালে ওরা রিকশা থেকে নামলো। রিকশাওয়ালার ভাল আচরণ এবং নিয়ম কানুন মেনে চালানোর কারণে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে পাঁচ টাকা বেশি দিল আঁকা।
রিকশাওয়ালারা সাধারণত উচ্ছৃঙ্খল হয়। সারাক্ষণ উত্তেজিত থাকে। ঘাড়ের রগ ত্যাড়া। ভদ্রভাবে কথা বলা তাদের অভিধানে নেই। সিগন্যাল কিংবা জ্যামে পড়লে ব্রেক ধরে না। সজোরে সামনের রিকশায় ধাক্কা মারে। আবার পেছন থেকে তাকে কেউ ধাক্কা দিলে- ওই খানকির পোলা বেরেক নাই?
ডানে-বামে মোড় নেয়ার সময় সিগন্যাল না দিয়েই ঘুরিয়ে ফেলে।
এ রকম এক ঘটনায় রিকশা থেকে একবার পড়ে গিয়েছিল আঁকা। এক সপ্তাহ বিছানায় পড়েছিল। বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিল। এখনও আমাবশ্যা পূর্ণিমায় ওই ব্যথা তাকে ভীষণ ভোগায়। তারপর থেকে রিকশায় উঠলে সে খুব সাবধানে থাকে। সারাক্ষণ মনে আতঙ্ক কাজ করে। আঁকা দেখলো এই রিকশাওয়ালাটা ওই রকম নয়। কয়েকবার জ্যামে পড়লেও সামনের রিকশাকে ধাক্কা দেয়নি। ডানে-বামে ঘুরানোর সময় হাত দিয়ে সিগন্যাল দেয়ার পরও উচ্চস্বরে চিৎকার করে ওঠে- ওই ডাইনে যাইবো ডাইনে। এ জন্য রিকশাওয়ালার ওপর সন্তুষ্ট আঁকা।
আঁকাকে বাসার সামনে পৌঁছে দিয়ে বিদায় নিলো নিপুণ। বাসায় ফেরার পর সামি বললো- ভাইয়া আমি একটা অঙ্ক বুঝিনা, একটু বুঝিয়ে দেবে?
অহনাই সাধারণত পড়ায় সামিকে। আজ ওর মাথা ধরেছে। শুয়ে আছে। সামির কথা শুনে একটু হাসলো নিপুণ। তারপর বললো- ওকে নো প্রবলেম। তোকে দিয়েই শুরু হোক আমার নতুন পথচলা।
সামি তাকিয়ে রইলো নিপুণের দিকে। ভাইয়ের কথা সে কিছু বুঝলো না। তাই আবারও বললো- দাও না ভাইয়া। সকালে আমার পরীক্ষা।
নিপুণ বললো- তুই যা আমি আসছি।
বিছানায় শুয়ে মাথা ব্যথায় কাতরাচ্ছে অহনা। এর ওপর মাথায় চিন্তা সকালে সামির পরীক্ষা। ওকে অঙ্কটা বুঝিয়ে দেয়া দরকার। সে উঠে এলো। এসে দেখে নিপুণ অঙ্ক বোঝাচ্ছে সামিকে। সে তার রুমে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর একটা ৫০ টাকার নোট হাতে নিয়ে ফিরে এলো। নিপুণকে বললো- পরশু রাতে টাকা চেয়েছিলি- এই নে।
নিপুণ বললো- লাগবে না।
কেন লাগবে না কেন? নে ধর।
সামিকে পড়াচ্ছি বলে খুশি হয়ে টাকাটা দিচ্ছিস তাই না?
তা কেন হবে? তোর দরকার তাই...
দরকারটা ছিল পরশু। দেয়ার ইচ্ছা থাকলে কালও দিতে পারতি। আজ আর লাগবে না।
কিছুতেই টাকা নিল না নিপুণ। টাকা নিয়ে ফিরে গেল অহনা।
ঘরের এক কোণায় একা বসে আছেন জাফর সাহেব। তার হাতে এক গ্লাস পানি। মুখের সামনে নিয়েও তিনি পানিতে চুমুক দিচ্ছেন না। টেবিলে নামিয়ে রাখছেন। বার কয়েক এভাবে করার পর খুব ধীরে চুমুক দিলেন পানিতে। যেন তিনি পানি খাচ্ছেন না। গরম চা খাচ্ছেন। চায়ে ভুল করে কেউ চিনি দিয়ে দিয়েছে। তার ডায়াবেটিস। তিনি চা খান চিনিছাড়া।
আজ সেভ করেননি জাফর সাহেব। তার মুখে খোঁচা খোঁচা পাকা দাড়ি। চোখে মোটা কাঁচের চশমা। চশমা ঠিক জায়গায় নেই। নাকের ডগার কাছাকাছি চলে এসেছে। মনে হচ্ছে চশমাটি নাকের ওপর বসে থাক এটি চাইছেন না জাফর সাহেব। ওটি জোর করে চেপে বসে আছে। এ কারণে তিনি বিরক্ত।
নিপুণ বাবাকে কিছু বলার জন্য রুমে উঁকি দিয়েও ফিরে এলো। এই মুহূর্তে জাফর সাহেবকে তার বাবার মতো লাগছে না। মনে হচ্ছে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার। ছোটবেলা সে যে প্রাইমারি স্কুলে পড়তো সেখানে এই লেবাসের একজন মাস্টার ছিলেন। সব সময় হাতে বেত নিয়ে কাসে ঢুকতেন। বেত ছাড়া তাকে কোনদিন কাসে ঢুকতে দেখা যায়নি। তবে কোনদিন কোন ছাত্রকে বেত্রাঘাত করতে দেখেনি নিপুণ। তবে বড্ড রাগী স্বভাবের ছিলেন। পড়া না পারলে কান ধরিয়ে বেঞ্চের ওপর দাঁড় করিয়ে রাখতেন। স্কুল ছুটির পর ডেকে নিতেন লাইব্রেরিতে। ওখানে দাঁড় করিয়ে পড়া মুখস্ত করাতেন। তারপর ছুটি মিলতো।
নিপুণের বাবাও বেজায় রাগী। তবে ইদানীং কিছুটা নুয়ে পড়েছেন। নানা রকম রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। আগের মতো ঝাঁঝ নেই। চোখ রাঙিয়ে তাকান না। তার চোখ রাঙানিকে খুব ভয় পেত নিপুণ।
সামির অঙ্ক শেষ। সে চলে গেছে। নিপুণ চেয়ারে বসে কি যেন ভাবলো কিছুক্ষণ। তারপর কাগজ কলম নিয়ে বিজ্ঞাপন লিখতে শুরম্ন করলো। সে লিখলো-
পড়াতে চাই
পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল বিষয়ে A+ পাওয়ার নিশ্চয়তা সহকারে পড়াতে চাই।
বেশ কিছু বিজ্ঞাপন লিখে ঘুমাতে গেল নিপুণ। সকালে উঠে এগুলো সকালে এলাকার দেয়ালে সেঁটে দিতে হবে।
চলবে
ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা কিস্তি-১
ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা কিস্তি-২
ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা কিস্তি-৩
নগ্নবেলা কিস্তি-৪
নগ্নবেলা-৫
নগ্নবেলা-৬
নগ্নবেলা-৭
নগ্নবেলা-৮
নগ্নবেলা-৯
নগ্নবেলা-১০
নগ্নবেলা-১১
নগ্নবেলা-১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





