somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছেড়া পাতার গল্পকথা অথবা আমার লেখা গল্পগুলো (২০০৯-২০১১)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গল্প নিয়ে একটা গল্পঃ

আমি সর্বপ্রথম গল্প লিখি ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের দিকে। আমার লেখা প্রথম গল্পটি ছিল একটি ঘর পালানো এক মেয়ের গল্প। গল্পটির নাম ছিল নিতু। গল্পটি ব্লগে প্রকাশ করা হয়েছিল তবে সেটা অনেকটা অপ্রকাশিত ভাবে তারপরের গল্পটির নাম রুদ্রা সেটা আমার এক বন্ধুর জীবন কাহিনী সেটাও প্রায় আমি একরকম আমি অপ্রকাশিত ভাবে রেখেছি তারপরের গল্পটির নাম ভালোবাসার শ্রাবণ এই গল্পটি অনেকটা সিনেমাটিক মনে হয় তাই এই ব্লগে প্রকাশ করেও আমি শেষ পর্যন্ত সেটা অর্ধ প্রকাশিত তালিকায় রেখেছি।

আমি একটু ব্যাতিক্রম ভাবে লিখতে পছন্দ করি আর সে জন্যই হয়তো অনেকেই আমার গল্পগুলোকে এড়িয়ে যায় তবে আমার গল্পগুলোকে স্বার্থক গল্পের তালিকায় ফেলা খুব মুস্কিল। ছোট গল্পের সজ্ঞা কি হবে? এই নিয়ে অনেক বির্তক আছে তাই স্বার্থক গল্প জন্ম দেবার বৃথা চেষ্টা এখন আর করিনা।
রবীন্দ্রনাথের মতো করে লিখতে পারিনা বলে তো আর লেখা থামিয়ে দিলে চলে না তবুও লিখি নিজের ইচ্ছে গুলো দিয়ে সাজাই নিজের ইচ্ছে পাতা। আমার লেখায় নিজস্ব একটা ধারা আছে, সে ধারাটাকে অনেকেই আবেগ অনেকেই কাব্যে নিয়ে দাড় করিয়েছে আমার লেখার স্টাইলটা অনেকটা সেরকমই।

গত ২০০৯ সাল থেকে এই ২০১১ সাল পর্যন্ত রোমান্টিক প্রেমের গল্পই আমি বেশি লিখেছি, এছাড়া বাকী যে গল্প গুলো আছে তাতে চেয়েছি কিছুটা নতুনত্ব আনতে। আমার গল্প সবার কাছে ভালো লাগে না। সব শ্রেণীর পাঠক প্রিয়তা অর্জন করা সহজ কথা নয় আর সেটা সম্ভব করতে হলে অনেক পড়তে হয়, লিখতে হয় আর যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো ভাষার ব্যাবহার, সেটা সবাই পারেনা। গল্প অনেকেই লিখতে পারে রোমান্টিক, ভৌতিক, রহস্য,রম্য বিভিন্ন রকমের তবে যারা গতানুগতিক ভাবে পুরোনো কথাসাহিত্যিকদের ষ্টাইলে গল্প লিখেন তাদের গল্পই পাঠক বেশি পছন্দ করে কিন্তু আমি মনে করি সেই পুরোনো ষ্টাইল ফেলে দিয়ে নতুন ভাবে গল্প লেখার চেষ্টা করা উচিৎ।
সামু ব্লগে আমি প্রথম অবাক হয়েছিলাম নির্ঝর দা’র (নৈঝর নৈঃশব্দ) গল্প পড়ে তার ষ্টাইল আলাদা লেখার বুনন আলাদা তবে সব শ্রেণীর পাঠক হয়তো তার গল্প পছন্দ করেন না। তারপর আমার ভালো লেগেছে মাভেরিক এর গল্পগুলো তিনি অন্যরকম সব গল্প লিখেন তবে গতানুগতিক গল্প লেখার মধ্যে ইমন জুবায়ের এর গল্প গুলো অসাধারণ। আরেকজন আছেন হাসান মাহবুব তিনি প্রতিটি গল্পেই ভিন্নতা আনতে পারেন আর এই জন্যই তিনি পাঠকের কাছে সমাদৃত। আরো ক’জন গল্পে ভিন্নতা বা নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেন তারা হলেন আরিশ ময়ুখ রিশাদ, অন্ধ আগন্তুক, রোডায়া।
সামুতে একজন গল্পকার আছে তিনি ব্লগে এত পরিচিত নন কিন্তু ভালো গল্প লিখেন তার নাম লীলা চক্রবর্ত্তী তার গল্প পড়লে মনে হয় কলকাতার লেখিকাদের গল্প পড়ছি। বর্তমান সময়ে যারা গল্প লিখছে তাদের মধ্যে (আমি যাদের লেখা পড়েছি) জুন, শায়মা, ডেইফ, সরলতা, ত্রিনিত্রি, ত্রাতুল, রিয়েল ডোমেন, ভুত, সায়েম মুন, মাহীফ্লোরা, একুয়া রেজিয়া, শামীম শরীফ সুষম, নিরব০০৭, নষ্টকবি, সুপান্ত সুরাহী, ইসতিয়াক আহমদ আদনান, রাত্রী২০১০, সহ আরো বেশ ক’জন।

গল্প নিয়ে গল্পামি

সামুতেই আমার প্রায় ৩০টি গল্প রয়েছে। আমি এ যাবত কাল ধরে এগুলো লিখেছি। আমি আগেই বলেছি এখনও বলছি আমার লেখা সবাই পছন্দ করেনা তবে কিছু ব্লগার আমার লেখা পছন্দ করে। যারা আমার লেখা আগে কখনো পড়েনি তাদের জন্য এই পোষ্ট সেই সাথে যারা আমার এ যাবত পর্যন্ত লেখার মধ্যে সবগুলো লেখা পড়েনি তাদের জন্যই এই পোষ্ট যেখানে আমার সব গুলোর গল্পের লিংক দেয়া আছে।

কিছু গল্পের অংশ বিশেষ ঃ


“যে হাতে তুই একদিন কলম তুলে দিয়েছিলি সে হাতে আজ সে সিগারেট টানে ঘন্টার পর ঘন্টা; সে হাতে আজ নেশার বোতল ঘুড়ে বেড়ায় ক্ষণে ক্ষণে; তোর সে নীল নিশ্বাসে নিশ্বাসে তোর আচলের গন্ধ শুকে না সে গন্ধ শুকে বেড়ায় গাজার আড্ডায় । আজ সে ধোয়া উড়ায় পথে পথে; তোর সে প্রিয় পায়েস মুখে তোলে না বোতলের পর বোতল ঢালে হুইস্কি,ভদকা আর সোডা। কতদিন তোর হাতের সেই ভাত খাওয়া হয়নি তার বদলে তেলাপোকা মেশানো ডাল চলে রাতদুপুর।”
- ভালোবাসার নীল নেশায়


শালার বাঙ্গাল !!
পেছন থেকে বলে উঠলো এক পাকিস্থানী বুড়ো। জোব্বা পড়া। দাঁতওয়ালা । দোক্তায় মুখ ভর্তি। হাসছে।
ইচ্ছে করছে টুটি চেপে ধরি।
এহনি সব কয়ডা গুলি খাইবো, যাইবি তুই সোয়ানা ছেমরি আমার লগে নাকি গুলি খাইবি। তাজা রক্তে গুলি খাইলে আনন্দ বাড়ে।

-রক্তে আকা বর্ণমালায় মিশে যাচ্ছি ক্রমশই


হাসির শব্দটা দেয়াল ছাপিয়ে যাচ্ছে!!
শঙ্খ খোলের শাড়ি পরে গালে টোল ফেলে হাসছে সুদন্তী; হাত দু খানা মেহেদী মাখানো। আজ শীত নেই মরে গেছে ফাগুনের আগন ঝরা দিনের কাছে হার মেনেছে।
আমি আর সুদন্তী।
সুদন্তী মানে জানো? জানো না , তুমি বোকা কিংবা হাঁদারাম হতে পারে দু টোই।

-নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশতো বড়


গ্রীনরুম থেকে দীপা এসে বললো; আজ তো যেতে পারবো না রে - সুদিপ দু’টোয় একটা শো আছে; তুই চলে যা !! একটা তো মাত্র দিন .......আয়না কোথাও ঘুরি ?
না দীপা এলোনা।
দুপুরের সূর্য মাথার উপর উঠে গেছে। হাটছি একা।
পার্ক ভর্তি জুটি। আজ ভ্যালেন্টাইন। শুধু আমি একা গাছপালা গুলো ব্যঙ্গ করছে !!!
একটা পাগল হাসছে.......পড়নে চট। সামনে দাড়াল। এই দশটা টাকা দে? বলে হাতটা বাড়ালো পাগলটা; বললাম কেন?
দশটাহার ভালবাসা দিমু তরে !! দেহছ্না চাইরদিগে কত্থো ভালবাসা আইজ !!!
টাকায় ভালবাসা পাওয়া যায় কি?

-চোখ খুললাম হাত ভরতি বকুল নেই

দুপুরের রোদে ফুল গুলো মিইয়ে গেছে।
ছেড়া ছেড়া পাপড়ি গুলো পড়ে পড়ে পিচঢালা পথটার কতকটা স্থান দখল করে নিয়েছে; হালকা বাতাসে দু’একটা পাপড়ি হয়তো পড়ে গিয়ে থাকবে কোথাও।
সন্ধ্যে নামতে বসেছে।
অনির্বান এখনো বসে আছে। এখনো মনে ক্ষীণ আশার দ্বীপ জ্বলছে, জ্বল জ্বল করে।
পারমিতা আসবেই !!
না এসে পারবেনা। ভালবাসার আগুন যে হাতে নিয়েছে, পুড়ে না যাওয়া পর্যন্ত ছাড়বেনা। ভয় পেলে ভালোবাসা হয় কি ?
কাঁদতে হবে; এ,আর এমন কি ! পুড়তে হবে; এ, আর কঠিন কি !!
মাটি পুড়ে ইট হয় লাল দগদগে আগুন থেকে ! কান্নায় স্বচ্ছতা আসে; চোখের কোলে দাগ বসে যায় ! কাজলের কালো দাগের মতো।

-প্রানেরও আশা ছেড়ে স্বপেছি প্রান


আর পিছু ফেরা হলোনা আমার শব্দটা ঝাপিয়ে পড়েছে আমার গায়ে..............
ধারালো ছুড়ির ফলাটা পুরো ঢুকে গেছে পেটের মাঝখানে। গলগল করে রক্ত বেরুচ্ছে। তীব্র যন্ত্রণা। মৃত্যুর স্বাদটা ভয়ংকর মনে হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব ঝাপসা হচ্ছে। ঝাপসা থেকে আরো ঝাপসা। ঝাপসা থেকে ধোয়াটে; ধোয়াটে থেকে ক্রমশই কুন্ডলী পাকাচ্ছে। ঘুড়ছে বিশ্বলয় আমার চারপাশে। চারপাশ থেকে চারপাশের স্মৃতিকে টেনে এনে মিশিয়ে ফেলছে সব কিছুতেই ভজঘট।
মনে পড়ছে ছোটবেলায় একবার হাত কেটে রক্ত দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আজ হাত ভরতি রক্ত; জমাট বাধছে। পৃথিবীটা দুলছে। চোখে ভাসছে আম বাগানের ভাষণ একদিন দেশ গড়বো নেতাদের তুমুল করতালি। পুলিশ বলছে ঘুষ খাবো দেখি ঠেকায় কি করে।

-আমি শুধু পোষ্টার হয়ে ঝুলে রইবো দেয়ালে দেয়ালে


রবি বললো দেখতে পারছো না?
অপূর্ন বললো না,তো। পুরোটা পথে দেখবার মতো কেউ নেই শুধু একসাইডে একটা পাগল বসে আছে। রবি হাত উচিঁয়ে বললো তোমার প্রিয় মানুষটাকে চিনতে পারছো না অপূর্ন !!!

না অপূর্ন সেদিন চিনতে পারেনি। অপূর্ন সেদিন মিনিট খানেক স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে ছিলো; কোথায় সুমিত !!!
পাগলটার কাছে গিয়ে দাড়াতেই অপূর্ন অবশেষে চিনতে পেরেছিলো এটাই তার ভালোবাসার জীবন্ত ভাস্কর্য সুমিত। কান্নার আওয়াজে পথের মানুষ ভীড় করে দাড়িয়েছিলো;যেন ম্যাজিক হচ্ছে।
সুমিতের দু হাত জড়িয়ে অপূর্ন কেঁেদছে কিন্তু সুমিত তবুও চিনতে পারেনি ওকে।
পুরো পাগল মুখভর্তি চুলের বাহার। পাগলটা কাঁেদনা ক্ষিদে পেলেও শুধু খাবার চায়। পুরো রাস্তার মানুষ গোল হয়ে দাড়িয়ে। অপূর্ন’র হাত থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছে পাগল সুমিত।
অপূর্ন বলে উঠে,
এই সুমিত আমাকে দেখ আমি তোমার অপূর্ন ?
এই দেখ তোমার শাড়ি পড়ে এসেছি আজ। তুমি না বলেছিলো এই শাড়ি যেদিন পড়বো সেদিন সারাদিন তোমার সাথে ঘুড়তে হবে। আজ আমি সারাদিন ঘুড়বো তোমার হাত ধরে। না সেদির অপূর্ন ’র হাত সুমিত ধরেনি। চিনতেই পারেনি।

-অপূর্ন

কে আপনি ?
আর আমার জীর্ন কুঠিরে কি হেতু আগমন ?
সামান্য আলো জ্বাল্লাম। একদম চুপ। ভেজা কালোপেড়ে একটা শিফন শাড়ী জড়িয়ে সে।
নাকফুলটা চকচক করে জ্বলছে। মাথার চুল ভেজা। কফি কালার আধাঁরে,পুরো মুখ দেখবার জো নেই। চুলে ঢাকা একাংশ। শরীরটাও ভেজা।
তরল কন্ঠের কথা বেরুলো;
-“আমাকে কিছুক্ষণের জন্য একটু আশ্রয় দিন”

-মধ্য রাতের শূণ্য দোলনায়

রুমকী বলল নিশীথ দা তুমি নাকি বলেছো, বিয়ে করবে না। তোমার কি কোন গোপন প্রেম-ট্রেম আছে নাকি। নিশীথ বলল না। কি ,যে বলো না তুমি , ছন্নছাড়াদের আবার প্রেম হয় না,কি। রুমকি ঝাঝ কন্ঠে বলে আজকাল সব হয়;সত্যি করে বল দেখি নিশীথ কানে হাত দিয়ে বলে না। আবার ক্ষেপে যায় রুমকী তাহলে বিয়ে করবে না কেন তুমি। দিদিকে ভালো লাগে না তোমার।
ওদের কে বোঝাবে ঘরজামাই হবার লোক এই ছন্নছাড়া নিশীথ নয়।

- এই নগরের ছন্নছাড়া


-তোমাকে ভালোবাসতে হবে না। তুমি থাকো তোমার সাদাকালো জীবন নিয়ে, রঙ্গিন করতে যাবোনা আমি।
আমি মুখবন্ধ।
-দাড়িয়ে আছো কেন ; বাসায় যাও ঠান্ডা লেগে যাবে।
আমি ফের মুখবন্ধ;
বৃষ্টিতে কাকভেজা থেকে;পুকুর ভেজা হতে বাকি আর থাকেনা আমার; যদি পারতাম তো ভেতর থেকে মনটা ভেজাতাম স্নিগ্ধতার জলে।
রিনির প্রেম আমাকে ধরাশায়ী করে বিছানায় ফেলে রাখলো এক সপ্তাহ।

- প্রেম হলো প্রেমের মতো

কদম গাছটার নিটে হাফভাঙ্গা ছাতা নিয়ে দাড়িয়ে আমি। পেছনের দরজা দিয়ে রিনি বেড়িয়ে এসে চাপা হাসিতে বলে ওরে আমার কেষ্ট রে, তুমি আসছো !! আমি দূরের দিকে চেয়ে বলি তাই তো মনে হচ্ছে,তো কেন ডেকেছিস বল ? আমি বাইরে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি নেই।
বৃষ্টিটা বোধহয় বিশ্রাম নিতে গেছে নয়তো এতোক্ষন একটানা বর্ষণ করে খিদে পেয়ে গেছে তাই আকাশটা এখন ফাঁকা। আমার মনের ভেতর জলরঙা চিন্তাটা বলছে, ছবিটা আাঁকা বোধহয় আর হলোনা। আমি ভাবছি সেই জলরঙে....

-জোনাক জ্বলা রোডে

মুছে শ্রীলক্ষী বলে উঠলো, আমার ভালোবাসার কোন মূল্য নেই তোমার কাছে ?
-সুকান্ত হা-দুখানা প্রসারিত করে বললো শ্রী তুমি দেখনি; সদ্য ফোটা ফুল কেমন শোভা পায় ফুলদানীতে কিন্তু সে ফুল যদি চুপসে যায় তাহলে ফেলে দিতে হয় আবার কেউবা ভালো লেগে গেলে রেখে দেয় বইয়ের ভাজে কিন্তু কেউ কি সেটা আবার ঘরের শোভা বাড়াতে ঘরে তুলে; সেটা তুলে না কেননা সেটা পুরোনো হয়ে যায়; তুমিও আমার কাছে এখন পুরোনো হয়ে গেছ।
আমি ছায়া মাড়াতে পারি;কিন্তু ছায়া কি আমাকে মাড়াতে পারে কখনো। সত্যি বলতে আমার ইচ্ছে ছিলো সব লুটে নেব কিন্তু তার বিনিময়ে অনেকদিন ভালোবাসবো। আর তাছাড়া শ্রী তোমার তো এমন কোন ক্ষতি হয়ে যায়নি;তোমার দেহ আছে,মন আছে নতুন করে কাউকে ভালোবেসে কাছে ডাকো;শান্তি পাবে।

-শ্রীহীন কাহন


সিথী চোখ মুছে বললো রোহিত দা শেষ বারের মতো তোমার হাতটা একটু স্পর্শ করতে দেবে; আমি তোমার কিছুই তো পেলাম না; না হয় এই বোবা স্পর্শটাই নিলাম; আমি তো কিছুই দিতে পারলাম না তোমায় না; হয় এই চোখের পানিই দিলাম; এই চোখ কাঁদলো যখন তোমার চোখের পানে চেয়ে; তখনও যখন তোমার ভাবান্তর হলো না; তাহলে আমার আর কিছুই করার থাকলো না রোহিত দা। আমি পূন্য পথের শূণ্য যাত্রী হয়েই রইলাম; রোহিত দা আমি তারা হতে পারলাম না; তোমাকে দেখতে পাবার আশা আমাকে পোড়াবে, জ্বালাবে; আমি তাই আধার হলাম; তুমি ঠিক যেদিন পৌছে যাবে ঈশ্বরের ভান্ডারে সেদিন তোমায় ঠিক কেড়ে নেব; আমাকে ফেরাতে পারবেনা তুমি।
রোহিত দা তুমি আমাকে অন্য কারো পায়ে অঞ্জলী দিতে বলো; এক ফুল কি কখনো দুই দেবতার পূজোয় দেয়া যায় ? রোহিত দা আমার মনটা তো মানুষের মন তাই সহজে ভেঙ্গে যায়; যদি মনটা মানুষের না হতো তা, হলে না হয় একটা অপদেবতার পায়েই ফুল দিতাম।

-ভালোবাসা পড়ে আছে ঝিলের ধারে সবুজ বনে


-ও পাশের কারো বাড়ি থেকে শাড়ি নিয়ে আসি!
- কি বুদ্ধি বোকার!! বে-কার তালপাতা আর কি? লোক না জানালে হচ্ছেনা বুঝি? নিজের শুকনো কাপর দিন?
- আপনি এক মিনিট দাড়ান?
- দাড়িয়েই তো আছি এবার কি পটের মুর্তি হতে বলছেন?
অরুপ ছুটে গেল ভজহরির ঘরে ওর প্যাটরা খুলে কালোরঙ্গা একটা শাড়ি পেল; তাই নিয়ে এল।
ব্যাপার কি ঘরের ভেতর মেয়েছেলের শাড়ি; বলি কিছু-টিছু কেস্ আছে নাকি?
অরুপ মাথা চুলকে বলে আরে নাহ্, ভজহরির বউ কদ্দিন আগে যে এসছিলো, ফেলে গেছে আর কি?
শাড়ি চেঞ্জ করতে গেলাম, ভাষ্কর্য হয়েই এখানটায় থাকবেন যেন।
সিগারেট জ্বালালো অরুপ, ধোয়া ছাড়লো মুখ টিপে টিপে। দয়মন্তির গলায় যা ঝাজ। যাই হোক ‘এই সময় সিগারেট খাওয়া তার নেশা’।

আধারের অনুভব


তুমি কখনো চিঠিতে লিখতে না। তোমার কখনো মন খারাপ হয় না কি-না। আজকাল আমারও আর মনটন খারাপ হয় না। এই পঁচিশ বছরে তুমি চিঠি লিখেছো ছয়টি আর আমি পাচঁটি ‘তার মানে এখনো একটি চিঠি তোমার পাওনা রয়ে গেছে’। আমি চিরকালই তোমার কাছে ঋণী রয়ে গেলাম অনি?
পঁচিশ বছর আগে সেই ছিমছাং নদীর ধারে তুমি দাড়িয়ে বলছিলে এই নদী যে দিন সাঁতরে উপারে যেতে পারবো সেদিন নাকি আমি রাজা হবো! তখন ছোট ছিলো কত কি-যে বলতে।
তুমি হয়তো জানেনা আমাকে নদী পাড়ি দিতে হয়নি আমি এমনিতেই রাজা হয়ে গেছি তবে সেটা মনে মনে আমার রাজত্ব শুধু কাগজে কলমে।

অনিলা তুমি ভালো নেই


অনেক ভালো গল্পের ভীড়ে হয়তো আমার গল্পগুলো হারিয়ে গেছে তারপরও মনে মনে আনন্দ পাই এই ভেবে নিজে তো কিছু লিখতে পেরেছি অন্তত মনের ভেতরের গল্পগুলোকে কলমের কালিতে ফুটিয়ে তুলতে তো পেরেছি সেই বেশি। এই লেখা পড়বার অনেকেই হয়তো ঠোটের কোন হাসি স্টক রেখে ভাবছেন উনি তো গল্প লিখেছেন না যেন, রাষ্ট্র জয় করেছেন!! এইসব ছাইপাশ ডানে-বামে অনেকেই লিখতে পারে বোকাচন্দ! তো যাই হোক আমিও ঠোটের কোন হাসি স্টক রেখেই বললাম গল্প লিখতে চেষ্টা করি ভালো যে কতটুকু হয় সেটা যারা পড়ে তারাই বলতে পারে....

আমার লেখা গল্পগুলোর লিংক

আমার লেখা ১ম গল্পঃ নিতু
আমার লেখা ২য় গল্পঃ রুদ্র
আমার লেখা ৩য় গল্পঃ ভালোবাসার শ্রাবণ

ভালোবাসার নীল নেশায়
রক্তে আঁকা বর্ণমালায় মিশে যাচ্ছি ক্রমশই
নীড় ছোট ক্ষতি নেই আকাশতো বড়
শেষ থেকে শুরু কিংবা বিন্তির স্বপ্নভঙ্গ
পুরুষ কেন এমন হয়
নাইসম্যান ক্লথ হাউজ
চোখ খুললাম হাত দেখি ভরতি বকুল নেই
প্রানেরও আশা ছেড়ে স্বপেছি প্রান
লাঙ্গল হাতে জেসমিন
আমি শুধু পোস্টার হয়ে ঝুলে রইবো দেয়ালে দেয়ালে
যে নগরে কুড়ি থেকে কুড়ি হাজারে সম্ভ্রম কেনা যায়
কান্নাটা ফিরে ফিরে আসছে
কখন সকাল হবে
অপূর্ন
মধ্য রাতের শূণ্য দোলনায়
এই নগরের ছন্নছাড়া
লবঙ্গ লতিকা
সন্ধ্যার গায়ে জোস্না মেখে আমি খুজে যাই
বনলতা স্ট্রীট বনাম জীবনানন্দ এভিনিউ
বন্ধুত্বের সুমিষ্ট ঝরনা হতে ওরা অনেক উচুতে স্বপ্ন গেঁথেছিল
জোনাক জ্বলা রোডে
শ্রীহীন কাহন
চোখের আঙ্গিনায় চোখ পড়ে রয়
ভালোবাসা পড়ে আছে ঝিলের ধারে সবুজ বনে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
আধারের অনুভব
রুদ্রকিরন
অনিলা তুমি ভালো নেই
এটা কোন প্রেমের গল্প নয়
স্বাধীনতার গেটে থমকে আছে লালপরির স্বপ্ন

-------------------------------------০-------------------------------------------

২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×