somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ্যা লোকাল জার্নি ফ্রম কলকাতা টু ঢাকা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর শেষ পর্ব)

১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আগের রাতে দিল্লী থেকে এসে অনেক হ্যাপা পোহানোর পর হোটেল খুঁজে পেয়ে “ছোলা, ডিমভাজি আর আটার রুটি” দিয়ে ডিনার সেরে রাত আড়াইটায় যখন ঘুমাতে গেলাম ক্লান্ত শরীরে, গভীর ঘুমে ঢলে পরার কথা; কিন্তু সারারাত ভালমত ঘুম হল না। চারটার দিকে একবার, ফের সাড়ে চারটা… এভাবে করে বারবার ঘুম ভেঙ্গে গেল। পাঁচটার দিকে আমার ছোটভাইকে ডেকে দিলাম, ও ঘুম থেকে উঠে ব্যাগপত্তর নিয়ে চলে গেল মারকিউস ষ্ট্রীটের বাস কাউন্টারে, সকাল ছয়টার বাস ধরতে। আগের পর্বেই বলেছি আমাদের দশজনের দলের দুজন দিল্লী থেকেই ঢাকা ফিরে গেছে এবং বিথী আপারা দুইজন আমাদের থেকে গতকাল রাতেই বিদায় নিয়ে তাদের জন্য খুঁজে পাওয়া হোটেলে উঠে পরেছিলেন। আমাদের বাকী ছয়জন আজ এবং আগামীকাল চারভাগে ফিরে যাবো ঢাকায় আপন ঠিকানায়। আর এই যাত্রায় আমি একা ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম, একেবারে ভেঙ্গে ভেঙ্গে। “কম খরচে ভারত ভ্রমণ” সিরিজে ঢাকা টু কলকাতা লোকাল ট্রান্সপোর্ট এবং বনগাঁ-কলকাতা ট্রেনের পরামর্শ দিলেও নিজে ভেঙ্গে ভেঙ্গে কখনো এই রুটে যাত্রা করা হয় নাই। তাই ভাবলাম এবার ট্রাই করা যাক ফার্স্টহ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স এর জন্য।

যাই হোক, আমি ফের ঘন্টা খানেক বিছানায় গড়াগড়ি করে তৈরি হয়ে নিলাম, সাথে বন্ধুর ছোট ভাই শাওন'কে নিয়ে নিলাম, ওর আরামের ঘুম নষ্ট করে। এই ট্যুরে শাওন অনেক সেক্রিফাইস করেছে, যা চোখে দেখা যায় না, ব্যাখা করা যায় না। ওর ঢাকা ফেরার প্ল্যান পরের দিন। যাই হোক, আমি আর শাওন হোটেল থেকে চলে এলাম নিউমার্কেট এলাকায়। কিছু টুকটাক কেনাকাটা বাকী ছিল সেগুলো করে ফেলা, সাথে আমার এদিনের বাসে করে ঢাকা ফেরার প্ল্যান, তাই খোঁজ নেয়া, বেনাপল পর্যন্ত যদি বাসের একটা সিট পাওয়া যায়...

এখানে এসেই নিউমার্কেট ফুলের মার্কেট এর আগে একটা রোড সাইড টঙ্গের দোকানে দেখলাম গরম গরম লুচি ভাজা আর বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে, আমি আর শাওন বসে পড়লাম সেটা দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে নিতে। খুবই সুস্বাদু সেই লুচি-ডাল আমি খেলাম দু'প্লেট। এরপর কিছুটা হাঁটাহাঁটি করে চা পান করলাম, নিউমার্কেট কাঁচা বাজারের ভেতরের একটা চায়ের দোকান থেকে, সেই রকম সুস্বাদু চা। যদিও কলকাতায় খুব কম চা পাণ করা হয়েছে, বেশীরভাগই মারকিউস ষ্ট্রিটের কস্তুরী’র পাশের দোকানের মাটির কাপের চা। সেটাও ভালই, কিন্তু এই দিনের পাণ করা চা’টা খুবই টেস্টি ছিলো।

আরও কিছুক্ষণ ইতিউতি ঘোরাঘুরি করে সাড়ে আটটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর দোকানপাট খুলতে লাগলো একটা দুটো করে। এরমধ্যেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে নিয়ে আমি দৌড় দিলাম হোটেলে, কারন শ্যামলী পরিবহণের কলকাতা-চট্টগ্রাম ভায়া ঢাকা'র বাসে আমি যাব বেনাপল পর্যন্ত। এই বাসেই পরদিন শাওন ফিরবে ঢাকা, সম্পূর্ণ একা। এই ট্রিপই ছিলো শাওনের প্রথম ভারত ভ্রমণ। আমার ইচ্ছে ছিলো বনগাঁ লোকালে করে বেনাপোল পর্যন্ত যাওয়া, কিন্তু কাল রাত্রের ধকলের কারণে আজ আর সেপথে পা বাড়াই নাই। মারকিউস ষ্ট্রিট থেকে সকাল দশটায় শ্যামলী পরিবহনের একটা বাস ছেড়ে যাবে বেনাপোল দিয়ে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। সেই বাসে একটা সিট অনেক কষ্ট করে যোগাড় করা গেল বেনাপোল পর্যন্ত যাওয়ার।

ঠিক দশটায় আমি যখন বাসে উঠে বসলাম বাসে, তখন বাস ছেড়ে দিয়েছে। এই বাসে করে কলকাতা-পেট্রাপোল রুটের সেইরকম রাস্তার কল্যানে দুপুর তিনটা'র পরে পৌঁছলাম বেনাপোল। বাস থেকে নেমেই রুপি সব টাকায় কনভার্ট করে নিয়ে টুকটাক জুস, চকলেট কিনে নিয়ে, প্রায় দৌড়ে দৌড়ে দুই পাশের ইমিগ্রেশন আর কাস্টমস পার হয়ে গেলাম (দুই পাশে শ'দুয়েক ফাও উৎকোচ প্রদান করতে বাধ্য হয়েছি :( )। এখানে দুটো মজার ঘটনা ঘটলো। আমি বাংলাদেশ অংশের কাস্টমস চেকিং এর ফর্মালিটিস শেষ করে যখন বের হচ্ছি তখন অন্য আরেক কাস্টমস অফিসার আমাকে ডাক দিলে ফেরত আসতে। ভর দুপুরে তখন আমি ছাড়া আর দু’চারজন ভারত ফিরতি যাত্রী কাস্টমস-ইমিগ্রেশন শেষ করছিলো। উনার ডাকে ফেরত আসলাম, উনি কর্ণারে বসা এক মহিলা কর্মকর্তাকে দেখিয়ে বললেন, আপনাকে বড় অফিসার ডাকছে। আমি হাসিমুখে বললাম, “চলেন যাই উনার কাছে”। এটা বলেই আমি সোজা হেঁটে চলে গেলাম ঐ অফিসারের ডেস্কে, উনি তখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন ডেস্কে বসে। আমি গিয়েই বললাম, “ম্যাডাম আপনি নাকি আমাকে ডেকেছেন?”। উনি অবাক চাহনি দিতেই আমি আমার পেছনে থাকা ঐ কর্মকর্তাকে দেখিয়ে বললাম, “উনি বললেন…”। ভদ্রমহিলা একটু সামলে নিয়ে আমাকে আবার ব্যাগ স্ক্যানিং বেল্টে দিতে বললেন। ব্যাগ দিলাম, মনিটরে উনি দেখে বললেন, “কি আছে ব্যাগে?”। জানালাম যা আছে, জিজ্ঞাসা করলাম খুলে দেখাতে হবে কি না? উনি আমাকে বললনে, “ঠিক আছে আপনি যেতে পারেন।” উৎকোচের আশা করা সেই পুরুষ কর্মকর্তার মুখখানি হয়েছিলো দেখার মত।

যাই হোক, সেখান থেকে বের হয়ে মূল রাস্তায় উঠার আগে বসে থাকা এক পুলিশ কন্সটেবল আমাকে আটকালো। প্রথমে বললো পাসপোর্ট দেখাতে, ইমিগ্রেশন সিল হয়েছে কি না, তা চেক করবে। আমার পাসপোর্ট হাতে নিয়ে সে পাতার পর পাতা উল্টাতে লাগলো। এরপর জেরা শুরু করলো, আমি বিমানে গিয়েছি, বাই রোডে ফিরছি কেন? আমি জানালাম, আপনি ভুল করছেন, আমি বাই রোডে এইবার গিয়েছি, বিমানে আগের যাওয়া পাতা আপনি দেখছেন। আমার উত্তর শুনে পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে আমার পিঠে থাকা ব্যাকপ্যাকের দিকে চোখ দিলো। ব্যাকপ্যাকের পানি রাখার বোতলের পকেটে দুই পাশে দুইটা “ফিয আপেল জুস” এর বোতল ছিলো। আমাকে জিজ্ঞেস করলো, “এইগুলো কি? বিয়ার নিয়ে যাচ্ছেন?” আমি হেসে বললাম, “জ্বী না, আপেল জুস। খাবেন নাকি?” এরপর আর কথা বাড়ালো না।

সেখান থেকে সামনে এগিয়ে প্রথমে বেনাপোল এর বাস কাউন্টারগুলোতে খোঁজ করলাম ঢাকাগামী কোন বাস আছে কি না। এদিন আমার লক্ষ্য ছিল যে কোন উপায়ে রাত দশটা-এগারোটার মধ্যে বাসায় পৌঁছানো। তার সাথে আরেকটি ব্যাপারও মাথায় ছিল, সবাই বলে আমি হলাম লেজি শৌখিন ট্যুরিস্ট, আমি নিজেও স্বীকার করি। ভারত ট্যুরের বেশীরভাগ সময়ই ঢাকা ফিরেছি বাই এয়ার, অথবা স্পেশাল সৌহার্দ বাসে করে। এবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে সুপার লোকাল স্টাইলে ফেরার প্ল্যান ছিল।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে বের হয়ে অটো করে চলে এলাম বেনাপোল বাস টার্মিনালে। এখানে এসে শুনি দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট যাওয়ার কোন বাস এখান থেকে ছাড়ে না। আছে ঢাকার বাস, ছাড়বে বিকেলের পরে। কিন্তু সেই বাসে গেলে ঢাকা পৌঁছাতে পৌঁছাতে পরদিন ভোর হয়ে যাবে। এবার একটু খোঁজ করে জানা গেল, সাতক্ষীরা মোড়ে গেলে বাস পাওয়া যাবে। লোকাল বাস ধরে চলে এলাম আধঘন্টার মত সময়ে সাতক্ষীরা মোড়। এখানে এসে জানা গেল, এখানে নয়, যশোর নিউমার্কেট বাস স্ট্যান্ডে গেলে বাস পাওয়া যাবে। ওকে, নো প্রবলেম। জলে যখন নেমেছি, পানিতে সিক্ত যতই হই, সমস্যা কি?

এবার আরেকটি লোকাল বাসে করে প্রায় ঘন্টাখানেকের যাত্রা শেষে ঝিটকা বা এরকম নামের কোন জায়গায় নেমে ফের ব্যাটারি রিকশা করে প্রায় মিনিট বিশেক যাত্রা করে চলে এলাম জায়গামত। নেমেই শুনি মাইকে চেঁচাচ্ছে, আড়াই ঘন্টায় ফেরীঘাট সার্ভিস… এই বাস ছেড়ে গেল… এটাই শেষ বাস। দ্রুত টিকেট করে বাসে উঠার পর আরও আধঘন্টা অপেক্ষার পর বাস ছাড়ল সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ। মন কিছুটা খারাপ হল, এতো দৌড়ঝাঁপ করেও সন্ধ্যা হয়ে গেল যশোর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই… :’(

দৌলতদিয়া ঘাটে যখন বাস পৌঁছলাম তখন ঘড়িতে নয়টা। বাসে পরিচয় হল একটা বছর বিশেকের ছেলের সাথে, দারুণ অমায়িক আর মিশুক সেই ছেলেটা খুব সাহায্য করল, পেশায় একজন বিজিবি সদস্য, বাড়ি মানিকগঞ্জ। আমার প্রায় পনের কেজি ওজনের ব্যাগ আমার কাছ থেকে অনেকটা জোর করেই ফেরী পর্যন্ত বয়ে নিয়ে গেল। ওর বুদ্ধিতেই বাস হতে নেমে রিকশা নিয়ে সরাসরি ০১ নম্বর ফেরীঘাটে চলে এলাম তার সাথে। আমরা রিকশা হতে নেমে দেখি ফেরী প্রায় ছাড়ে ছাড়ে বলে। আমরা উঠার সাথে সাথে ফেরী ছেড়ে দিল। ফেরীতে একেবারে শেষে ছিল "সাকুরা পরিবহন" এর একটি বাস, সেটার কন্ডাক্টর এর সাথে দেড়শ টাকার চুক্তিতে উঠে বসলাম, বাস যাবে গাবতলী মাজার রোড পর্যন্ত। ফেরী যখন ঘাটে ভিড়ল, তখন রাত সাড়ে নয়টা। সাকুরা পরিবহণের গাড়ি এবং এর ড্রাইভারে কল্যাণে দেড় ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে গেলাম গাবতলী। এর মাঝে মানিকগঞ্জে সেই ছেলেটি বিদায় নিয়ে কন্টাক্ট নাম্বার বিনিময় করে নেমে গেল বাস হতে। গাবতলী পৌঁছে আমি পেয়ে গেলাম একটা সাত নম্বর বাস, সেই বাসে করে সাইন্সল্যাব এসে নামলাম রাত বারোটায়। রিকশা পেতে একটু দেরী হওয়ায় যখন বাসায় ঢুকলাম, তখন ঘড়িতে রাত সাড়ে বারোটা।

সময়টা ছিলো ২০১৬ সাল, পদ্মা সেতু আর কালনী সেতু হয়ে যাওয়ার পর বেনাপোল থেকে ঢাকা চার থেকে পাঁচ ঘন্টার পথে হয়ে গেছে। অনেক প্যারাময় যাত্রা হলেও আমি খুব উপভোগ করেছি সেই কলকাতা থেকে ঢাকা ফেরার লোকাল ট্রান্সপোর্ট জার্নিটা। আর এই জার্নির কথা কেন বলি, এই পুরো ট্যুরটাই ছিলো প্যারাময়, সাথে অতি অবশ্যই স্মরণীয়।

আর এই পর্বের সাথে শেষ হচ্ছে আমার ২০১৬ সালের ভারত ভ্রমণ এর “গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর” সিরিজ। খুব শীঘ্রই নিয়ে আসছি ২০১৭ সালে ভ্রমণ করা কলকাতা-চেন্নাই-কোদাইকানাল-কোয়িম্বেতর-উটি-মাইসুর-ব্যাঙ্গালুরু ট্যুরের উপাখ্যান নিয়ে “দক্ষিণ ভারতে একাকী ভ্রমণে”।

অফটপিকঃ ও হ্যাঁ, রনী কিন্তু বাসায় ফিরেছিল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ, আমার দু'ঘন্টা আগে, যদিও রওনা হয়েছিল চার ঘণ্টা আগে, রয়েল কোচের হুন্দাই গাড়ীতে করে। কারন, ওরা ফেরীঘাটে প্রায় তিন ঘন্টার বেশী সময় বসে ছিল।

উৎসর্গঃ আমার ভারত ভ্রমণের এই সিরিজটি ব্লগার "কামরুন নাহার বীথি" আপাকে উৎসর্গ করছি। উনি আমার এই ট্যুরে ট্যুরমেট ছিলেন। গত পহেলা জানুয়ারী রাত এগারো ঘটিকায় বীথি আপা আল্লাহ্‌র ডাকে সারা দিয়ে পরপারে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে ছেড়ে। আল্লাহ্‌ তার শোকার্ত পরিবারকে এই শোক সইবার ধৈর্য দাণ করুন। আর আপাকে পরপারে আল্লাহ্‌ সকল গুনাহ (যদি থাকে) মাফ করে তার কবরে আজাব মাফ করুন এবং আখেরাতে বেহেশত নসীব করুন।


প্রথম পর্ব থেকে বীথি আপার এই ট্যুরে যুক্ত হওয়ার ঘটনাটা আবার তুলে ধরলামঃ
ঈদের কয়েকদিন আগে আমি কোন একটা কাজে নীলক্ষেত মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি, একটি অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো, কল রিসিভ করতে অপরপাশ থেকে অচেনা কণ্ঠস্বর। আমাদের দলের সাথে যুক্ত হতে চায় এই ট্রিপে। “সামহোয়্যার ইন ব্লগ” এ তখন পর্যন্ত আমার পূর্বপরিচিত কেউ ছাড়া আর কারো সাথে পরিচয় ছিলো না। “সাদা মনের মানুষ” খ্যাত কামাল ভাই এর সাথে পরিচয় ভ্রমণ বাংলাদেশ থেকে। সেই কামাল ভাই এর কাছ থেকে খবর পেয়ে ফোন দিয়ে প্রিয় ব্লগার কামরুন নাহার বীথি আপা। উনি এবং ভাইয়া যুক্ত হতে চাচ্ছেন আমাদের সাথে। আমি একদিন সময় নিয়ে উনাকে কনফার্ম করলাম উনাদের যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা। এরপর উনাদের এয়ার টিকেট এর ব্যবস্থা করা হলো। দল গিয়ে দাড়ালো দশজনের। সিদ্ধান্ত হল চারজনের একটা দল ঈদের দিন রাতে রওনা হয়ে যাবো কলকাতার উদ্দেশ্যে। একদিন পরে বাকী ছয়জন রওনা হবে, যেহেতু কোরবানী ঈদের ছুটি, তাই অনেকেই সারাদিনের কোরবানীর হ্যাপা পোহানোর পর সেদিন রাতেই রওনা হতে রাজী হলো না। ফলে আমরা যে চারজন আগে রওনা হবো, তারা একরাত কলকাতা থেকে পরেরদিন সরাসরি বিমানবন্দর চলে যাবো। অপর দলও সরাসরি বেনাপোল বর্ডার হতে দমদম বিমানবন্দর চলে আসবে। এরপর ঢাকা থেকে সকলের কলকাতার বাসের টিকেট এবং আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে অপেক্ষার পালা চলতে লাগলো...

ভ্রমণকালঃ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর, ২০১৬ এর সকল পর্বঃ
* যাত্রা শুরুর আগের গল্প (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০১)
* কলকাতায় অপেক্ষা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০২)
* ফ্লাইট মিসড তো ট্যুর ক্যান্সেলড... টেনশনিত অপেক্ষার শেষে (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৩)
* আগ্রার পাণে যাত্রা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ০৪)
* আগ্রার ঘাগড়ায়, দেখা হলো না নয়ন জুড়িয়া (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৫)
* তাজমহলে পদধূলি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৬)
* আগ্রা ফোর্ট - বহু ইতিহাসের সাক্ষী (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৭)
* কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা "ফাতেহপুর সিকরি" ভ্রমণ (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৮)
* পিঙ্ক সিটি জয়পুর ভ্রমণে চলে এলাম "হাওয়া মহল" - (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ৯)
* "সিটি প্যালেস - জয়পুর" অনবদ্য রাজকীয় কীর্তি (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ১০)
* “যন্তর মন্তর” ফুঁ (থুক্কু) টু “জল মহল” (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ১১)
* আম্বার ফোর্ট - জয়পুরের মূল আকর্ষণ এবং ঐতিহাসিক মূল্য বিচারে রাজাস্থানের প্রধান দূর্গ (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ১২)
শুরুর মতই শেষের আগেও শুরু হলো যত প্যারা... (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল ট্যুর - পর্ব ১৩)



এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×