উৎসর্গ : এই সমস্ত বালখিল্য কাজে আমারই মতো সমান আগ্রহবোধ করেন যিনি সেই প্রিয় ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাইকে এই পোস্টটি উৎসর্গ করা হলো।
কলিকাতার কানাই কর্মকারের কনিষ্ঠা কন্যা কাকলী কর্মকারে কথা সেই কোন কাল থেকেই আমরা শুনে এসেছি।
অনেক বছর আগে ২০১০ সালে হঠাত কি মনে করে ক সর্বস্ব ৩ লাইনের সেই লেখাটুকুকে ভেঙ্গে-চুড়ে বা বলা ভালো টেনে-হিচড়ে বেশ বড় একটা রূপ দিয়ে ছিলাম। প্রজন্ম ফোরামে সেই লেখাটি সম্ভবতো প্রথম প্রকাশ করেছিলাম। পরে সেখান থেকে অনেক যায়গায় নামে বেনামে ছড়িয়ে পড়েছে লেখাটি। লেখাটি ছিলো এমন -
কলিকাতার কবিভাবাপন্ন, কাব্যানুরাগী কানাই কর্মকারের কোমলকন্ঠি-কাজলাঞ্জন কনিষ্ঠা কন্যা কাকলী কর্মকার, কপাল কুঞ্চিত করিয়া কঙ্কন কচলাইয়া কচলাইয়া, কাকা কেদার কর্মকারকে কানে কানে কোমল কন্ঠে কহিলো-
কাকা, কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোকিল কাকুতি করিতে করিতে কুহু কুহু করিলেও কলিকাতার কতিপয় কালো কাক, কোকাইতে-কোকাইতে কোন কারণে, কুলক্ষণে কা-কা করে?
কাকেরা কা-কা করিয়া কাহাকে কাকা কহিতেছে?
কুহেলী কালো কাকেদের কাকাবা কে?
কটুভাষী, কৃপণ কেদার কাকা কটাক্ষে কটমট করিয়া কহিলেন- কন্যা, কপাল কুঞ্চিত করিতেছো কেনো? কোকিল কুহু কুহু করিলেও কাক কা-কা করিবেই, কেনোনা কা-কা করাই কাকের কাজ, কাজেই কাক কা-কা করে। ক্লিষ্ট-কপট-কটু কণ্ঠি কালো কাকের কপালে কা-কা করাই কঠিন কর্তব্য।
কাকেদের কাকা কোনো কালেই কেহনা।
সূত্র : পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে নিজ
২০২০ সালের জুনে সামুতে বিবাহ বিভ্রাট - ১ পোস্ট করার পরে আমাদের সকলের প্রিয় সাড়ে চুয়াত্তর ভাই কমলাকান্তের কৃষ্ণ কন্যাকে নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে মন্তব্যের ঘরে আমি উপরের আমার লেখা অংশ টুকু দিলে সাড়ে চুয়াত্তর ভাই তার প্রতি উত্তরে লেখেন -
কোকিলকে কেউ কৃতজ্ঞ কখনই কহিবে কও? কাকের কক্ষে কিশোর কাল কাটাইয়া কাককে করে কলঙ্কিত। কলিকাতার কানাই কর্মকারের কোমল কণ্ঠি কনিষ্ঠা কন্যা কাকলি কর্মকার কলিকাতার কতিপয় কালো কাকের কা কা কলরবে কোঁকানোতে ক্লান্ত কেন কও? কলিকাতার কেউ কেউ কাকের কা কা কেও কদর করে। কুঞ্জে কৃষ্ণ-কালো কোমল কণ্ঠের কোকিলের কুহু কুহু, কখনও কখনও কিঞ্ছিত ক্লান্তিকর কেউ কেউ কহেন। কাকের কাজ কাকে করিবে। কাকলি কর্মকার কটাক্ষ করার কে।
সেই একই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে আমি ক সর্বস্ব আরো একটি সংগৃহীত গদ্যাংশ পেশ করেছিলাম। সেটি হচ্ছে-
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল-
"কাকা, কড়ই কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত। কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে- কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন।
কিন্তু কাকা, কষ্মীনকালে কেউ কী কখনো কহিয়াছেন? কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্খিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল?
কাজে-কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতুহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিত কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন। কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কিচ্ছা কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল-
"কাবেরী কোলের কেয়া-কুঞ্জে কোয়েলের কলকাকলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল কা-কা করে"?
কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন-
"কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো"।
সূত্র : কংগৃহীত থুক্কু সংগৃহীত
সাড়ে চুয়াত্তর ভাই এর প্রতি উত্তরে লেখেন -
কপিলা কর্মকারের কাকী ক্লান্ত কণ্ঠে কহিল কুষ্টিয়ার কাতান কাপড়ের কদর কমিয়াছে কে কয়? কুমিল্লার কলাতলির কুলিন কুলের কতিপয় কুচ কুচে কালো কায়িক কিশানি, কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী, কেতাদুরস্ত কিন্তু কুৎসিত কিশোর কবিরা কর্ণাটকের কাতান কাপড় কিংবা কাশ্মীরী কম্বল কিনিয়া কাদিতেছে ক্লান্তিতে, কষ্টে কপাল কুঁচকাইয়া। কুষ্টিয়ার কাতান কাপড়ের কার্যকর কৌশলের কল্যাণে কর্ণাটকের কাতান কুপকাত। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি কলেজের কনিষ্ঠ কেরানী কার্ত্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কণ্ঠি কন্যা কপিলা কর্মকারের কৃষ্ণকায় কাহিল কাকী কর্দমাক্ত কলস কাঁখে করিয়া কর্ণাটকের কাতানের কদর কমাতে কালো কেশী কন্যা কমলাকে কর্কশ কণ্ঠে কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিল ‘কুষ্টিয়ার কাতান কাপড়ের কদর কমা কল্পনাতীত’।
যেই পোস্টে ক নিয়ে এতো কচলাকচলি হচ্ছিলো সেই পোস্টে সাড়ে চুয়াত্তর ভাই লিখেছিলেন -
কমলাকান্তের কৃষ্ণ কন্যা (শব্দের ব্যবহার ও বাক্য গঠন চর্চার উপর পোস্ট)
কাঠুরিয়া কমলাকান্ত কষ্ট করিয়া কাঠ কাটিয়া কামাই করে। কমলাকান্তের কৃষ্ণবর্ণ কেশযুক্ত কৃষ্ণকায় কিন্তু কমনীয়, কোকিল কণ্ঠি কন্যা কুমুদিনী কল্পনা কুমারী কুঁড়েঘরের কাছে কাপড় কাঁচে। কমলাকান্ত কন্যাদানের কথা কল্পনা করিয়া ক্লান্ত, ক্লিষ্ট, কাতরভাবে কাটায় কাল। কমলাকান্তের কালো কন্যার কন্যাদানের কথায় কেউ কেউ কেবলই কানাঘুষা করে। কমলাকান্তের কষ্ট, কাতরতা কন্যা কুমুদিনী কল্পনা কুমারিকে করে কেবলই কুণ্ঠিত। কলিকাতার কবি কল্লোল কুমার কিরণ কমলাকান্তের কালো কেশযুক্ত কৃষ্ণকলি কন্যা কুমুদিনী কল্পনা কুমারিকে কায়মনোবাক্যে কামনা করিয়া কবিতায় কাটায় কাল। কার্তিকেই কমলাকান্ত কন্যাদান কার্যনিষ্পত্তি করিল। কন্যাদান কার্যসাধন করিয়া কালান্তরে কাঠুরিয়া কমলাকান্ত কষ্ট করিয়া কাটায় কাল কাঠ কাটিয়া, কন্যার কল্পনায়।
এই সবই গেলো পুরনো কথা। ক নিয়ে এতো কপচানোর পরে নতুন কোনো ক-কপচানি না দিলে খারাপ দেখায়। তাই বেশ কিছুটা সময় কাটাকাটি করে নিচের গদ্যাংশটুক তৈরি করা গেলো।
করনা কালিন কষ্টের কঠিন কাল কাটাইয়া কৃষ্ণকায় কাদম্বরী কাকী কনিষ্ঠা কন্যা কনকপ্রিয়াকে কহিলেন- করনার কষ্টের করুণ কাহিনী কহিব কাকে?
কাকীর কনিষ্ঠা কন্যা কনকপ্রিয়া কহিল- কেন কঞ্চন কাকাকে কও!
কনকপ্রিয়া কাঞ্চন কাকার কাছে করনায় কাতর কাদম্বরীর করুন কাহিনী কাঁদিতে কাঁদিতে কহিলো।
কাঞ্চন কাকা কনকপ্রিয়া কাছে কাদম্বরীরর করুন কাহিনী কর্ণগোচর করিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিল - করুণাময়ের কাছে কাদম্বরীর কুসল কামনা করি। কৃপাময় কৃপা করিয়া কাদম্বরীর কল্যাণ করুন।
কনকপ্রিয়ার কনীনিকায় ক্যাচ করিলো কাজিন কিরণ কর্মাঙ্গনের কোনের কাননে কসরত করিতেছে।
কনকপ্রিয়া কাব্যকে কহিলো- কিরে কি করিস?
কিরণ কহিল- কসরত করিতেছি।
কনকপ্রিয়া কহিল- কলেজ কামাই করিয়া কসরত করিবার কথা কে কহিয়াছে? কসরত কম করিয়া কোন কাজ-কর্ম কর।
কিরণ কহিল- কি কাজ করিবো? কাজ করিবই কিভাবে? কখনো কোনো কাজ করিনাই। কাজ করে কামলায়। কিরণ কেন কষ্টের কাজ করিবে? কওতো কনকপ্রিয়া কেনো কু-বুদ্ধী কইতেছে কানে?
কিরণের কটু কথায় কনকপ্রিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে কহিলো। কাকাকে কাজের কাথা কহিলে কোনো কথা কয়না। কজের কথা কহিলে কিরণ কেবল কটু কথা কয়। কিরণ কন্ঠে কলকল করিয়া কেবল কর্কশ-কটু কথা কয়। কুটু কথায় কান্না পায়। কিরণ কইতেছি- কঠিন কর্কশ কথা কম কইবে, কেমন?
আজ তবে এই পর্যন্তই রইলো।
=================================================================
বাংলা ভাষার সৌন্দর্য
প্রবাদ-প্রবচনে "অতি"
বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনে চাঁদ
চাঁদ নিয়ে আরো ৫৯টি প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা বাগধারা-প্রবাদ-প্রবচনে তাল
তাল নিয়ে আরো ৪৩টি প্রবাদ-প্রবচন
অন্ধ নিয়ে ২০টি প্রবাদ-প্রবচন
অন্ধ বা কানা নিয়ে আরো ১৫৫টি প্রবাদ-প্রবচন
কপাল নিয়ে ৫১টি প্রবাদ-প্রবচন
কুকুর নিয়ে ৩৭টি প্রবাদ-প্রবচন
গাধা নিয়ে ২৮টি প্রবাদ-প্রবচন
গাধা নিয়ে আরো ৫৯টি প্রবাদ-প্রবচন
বানর নিয়ে ৬৭টি প্রবাদ-প্রবচন
বাঘ নিয়ে ১৩২টি প্রবাদ-প্রবচন
সাপ নিয়ে ১১০টি প্রবাদ-প্রবচন
হাতি নিয়ে ১৫২টি প্রবাদ-প্রবচন
ভাল্লুক নিয়ে ২৪টি প্রবাদ-প্রবচন
ঢাকাবাসীকে ডেকে কই, নাক-মুখ ঢাকা কই!!!, দেখা-দেখি, হট্টবিলাসিনী (১৮+), শুক্তিবাক্য
ব্যাসবাক্য সহ কতিপয় সমাস, আধুনিক বাক্য সংকোচন, নতুন শব্দার্থ, নতুন বিপরীত শব্দার্থ, অ তে অজগর, A for Apple
প পদ্য....., এ-পলাশ সে-পলাশ নহে, বিবাহ বিভ্রাট - ১, বিবাহ বিভ্রাট - ২
পরিচিত শব্দের ভিন্ন রকম অর্থ - ১, পরিচিত শব্দের ভিন্ন রকম অর্থ - ২
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৭