

ছবি - bing.com
রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফার রূপরেখা ও আমার ভাবনা। - লিংক -
Click This Link
২৪ এর বৈষম্যবিরোধী সফল আন্দোলনের পর বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী আলোচিত বিষয় হলো সংস্কার তথা রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক সংস্কার। এ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,''জনগণের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গঠনের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের বিকল্প নেই'' এবং '' রাষ্ট্র সংস্কারকে কার্যকর করতে হলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়টিও উপেক্ষা করার সুযোগ নেই''। বর্তমানের আলোচিত ও জনদাবীর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দূরদর্শী রাজনীতিবিদ হিসাবে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি দলীয় রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। যা দেশে প্রচলিত হানা-হানির রাজনীতির পরিবর্তে সকল দলের মিলিত প্রয়াসে ও বিভেদমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে, তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাজনীতিতে বিএনপির নতুন সম্ভাবনার সম্ভাবনার বার্তা জনগনের মাঝে আশা জাগাচছে দেশের পরিবর্তীত পরিস্থিতিতেও।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় তারেক জিয়ার সাম্প্রতিক সময়ের কিছু সিদ্ধান্ত যেমন মানুষের মাঝে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপিকে নতুনভাবে এবং পরিবর্তিত দলের নেতা হিসাবে জনগনের মাঝে তার গ্রহন যোগ্যতা তুলে ধরছে, ঠিক তেমনি এসবের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি আমজনতার মাঝে নতুন বার্তা পৌছে দিয়েছেন। যেখানে দল-মত নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহনে শোষন ও বিভেদ মুক্ত বাংলদেশে গড়ার সাথে সাথে বৈষম্য বিহীন এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় রয়েছে।
তারেক জিয়ার ঘোষিত নতুন বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো - ''বিএনপি সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ,আইন ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সমন্বয় করা, পরপর দুই টার্মের বেশি কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা'' ।
আর এসব কাজের লক্ষ্যে আমজনতা তথা দেশের সকলের কাছে নিজের ও দলের গ্রহনযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে তারেক রহমান সাম্প্রতিক সময়ের কিছু সাহসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা দিয়েছেন। তার এসব পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠছে - এই পদক্ষেপগুলো কি তাহার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নাকি বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের সূচনা? নাকি ধর্ম-বর্ণ,দল-মতের উপরে উঠে বাংলাদেশের সার্বজনীন নেতা হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রয়াস?
১।''দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক'' উপাধি ও জন্মদিন পালন না করা - তারেক রহমান বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নিজের নামের আগে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' উপাধি ব্যবহার করতে নিষেধ করার পাশাপাশি, নিজের জন্মদিন পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তিনি দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
২। দলীয় নেতা-কর্মীদের জনসাধারণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করার জন্য বলা - তারেক রহমান নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ''চলুন আমরা শপথ নিই, এমন কোনো কাজ করব না যা জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করে''। তারেক রহমানের এই বক্তব্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের লক্ষ্যে একটি সুস্পষ্ট বার্তা রয়েছে - রাজনীতি জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যম, ক্ষমতা দখলের নয়। তাছাড়াও তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও দলের প্রতি তার দায়বদ্ধতা এবং নেতৃত্বের পরিণত মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।
৩। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ছোট করে না দেখা - তারেক রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, ''যদি কেউ মনে করেন, যাদের আমরা প্রধান প্রতিপক্ষ মনে করতাম, তারা আর নেই বা দুর্বল হয়ে পড়েছে, আর আমরা সহজেই ক্ষমতায় চলে যাব - তাহলে এই চিন্তা পরিহার করুন''। এই কথায় তার দূরদর্শিতা প্রকাশিত হয়। তারেক রহমান মনে করিয়ে দিয়েছেন,''রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখা ভুল বরং সংগঠনের ভিত শক্ত করা এবং জনগণের আস্থা অর্জন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত''।
৪। দেশে প্রচলিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটানো - তারেক রহমানের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বক্তব্য হলো,'' আসুন দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং এমন একটি নতুন অধ্যায় রচনা করি, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের জন্য আর কোনো পরিবার ধ্বংস হবে না''। এটি শুধু একটি বক্তব্য নয় বরং রাজনীতিতে মানবিকতার মূল্যায়নের এক অসামান্য দৃষ্টান্ত। দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রতিহিংসা শুধু দলের ক্ষতি নয় বরং গোটা জাতিকে পেছনে টেনে ধরেছে।তিনি চান এমন একটি পরিবেশ, যেখানে ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব।
৫। পিছন ফিরে না তাকানোর, প্রতিশোধ পরায়ণ না হওয়া ও কারো নিজের হাতে আইন তুলে না নেবার আহববান - তারেক রহমান বলেন,'' আমাদের আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। পলাতক স্বৈরাচার জাতীয় জীবনের ১৫টি বছর কেড়ে নিয়েছে। সেই দুঃস্বপ্নকে দূরে ঠেলে দিয়ে দেশের জনগণের সামনে একটি বৈষম্যহীন নিরাপদ মানবিক বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির আগামী দিনের লক্ষ্য''। বিগত সতেরো বছরের বিরামহীন আন্দোলনে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ ও দলের প্রতি তাদের অবিচল আস্থার জন্য তারেক রহমান সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,''আপনার আত্মত্যাগ আর অবদান মুষ্টিমেয় হঠকারীর অপকর্মে ক্ষতিগ্রস্ত হতে কেন দেবেন? সতর্ক থাকুন, সচেতন হোন, প্রতিরোধ করুন''।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন,''আপনারাই বিএনপির প্রাণ। শত নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হয়েও আপনারা জাতীয়তাবাদের আদর্শ বিচ্যুত হননি। আমি জানি, অতীতে বছরের পর বছর ধরে আপনাদের অনেকেই মাফিয়া সরকার এবং তাদের দোসরদের দ্বারা নির্যাতন-নিপীড়ণের শিকার হয়েছেন''। তিনি আরো বলেছেন,''তবে বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনাদের প্রতি আমার একটি অনুরোধ - অতীতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার কারণে আপনারা কেউ প্রতিশোধ পরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। বরং অন্যায়-অবিচারের শিকার হলে আইনগত পদক্ষেপ নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, কেউ যেন হয়রানিমূলক হামলা-মামলার শিকার না হন''।
৬। জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা - বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন,''স্বাধীনতার পরপর জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে ব্যবহার না করে যে সুযোগ সেদিন হাতছাড়া করা হয়েছে, আগামী দিনে আমরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা দেখতে চায়''।
তারেক রহমান আরো বলেন,''আমরা দেখেছি দলীয় সরকারে কীভাবে একটি দলের লোকজন বিচরণ করে সর্বত্র; আর অন্য সবার অবস্থান হয়ে পড়ে তুচ্ছ আর গৌণ। ফলে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর সেবা থেকে দেশ বঞ্চিত হয়। এদেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যারা অংশগ্রহণ করেছেন; তারা সকলে আগামীতে দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন, যাতে দেশ তাদের অবদানের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়''। তিনি বলেন, '' আমি বিনয়ের সঙ্গে শুধু আমাদের আগামীর পরিকল্পনা আর সদিচ্ছার কথা জানাতে পারি, কারণ আমরা জানি-দেশের মানুষের সমর্থনই কেবলমাত্র আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে''।
তারেক রহমানের এই সিদ্ধান্তগুলো শুধু বিএনপির জন্য নয় বরং দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধারার সূচনা হতে পারে। তিনি নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেয়ে দলের কল্যাণ এবং জনগণের আস্থা অর্জনকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। এমন নেতৃত্ব রাজনীতিতে সুস্থ পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি গণতন্ত্রের বিকাশেও ভূমিকা রাখবে। যদি দলের নেতাকর্মীরা তার এই আহ্বান অনুসরণ করেন এবং নিজেদের দায়িত্বশীল আচরণে পরিবর্তন আনেন, তবে বিএনপি আরও সংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। একইসঙ্গে, রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিহিংসার চক্র ভেঙে একটি মানবিক, সহনশীল ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি সম্ভব। তারেক রহমানের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে।
বিএনপির দলীয় শাসনের ধারাবাহিকতা যদি দেখি তাহলে আমরা দেখব এর প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রথম নেতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও পরিচালনার জন্য ঘোষনা করেছিলেন '১৯ দফা'র, পরবর্তীতে খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির 'ভিশন-২০৩০' এবং বর্তমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ২৭ দফা কর্মসূচির সংশোধন ও সম্প্রসারণ করে ৩১ দফার প্রণয়ন করা হয়েছে।বিগত ১৩/০৭/২০২৩ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখার ঘোষণা করেন। ঘোষিত রূপরেখায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা এবং পরপর দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল এবং বর্তমানে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি জনগনের সামনে সারাদেশে গণসংযোগের মাধ্যমে তা ব্যাপকভাবে তুলে ধরা ও সে লক্ষ্যে জনমত গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এবং ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসের অধীনে দেশে অন্তবর্তী সরকার আসার পর আমজনতা আশা করছে, ''সকল প্রকার অতয়াবশ্যকীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার শেষে নিরপেক্ষ নির্বাচনের,যেখানে সকল মানুষ নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এর ফলে দেশ পাবে এক নতুন সরকার যেখানে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে-থাকবে।আর এরই লক্ষ্যে দেশের সকল রাজনৈতিক দল নিজেদের লক্ষ্য স্থির করছে বা কিভাবে তারা নির্বাচনে জয়লাভ করলে দেশ পরিচালনা করবে তা জনগনের সামনে তুলে ধরছে এবং সে বিষয়ে জনমত গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ গোছাচ্ছে ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো। এজন্য গত বছরের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ নিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব সমাবেশে নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনপি উপস্থাপিত ৩১ দফা নিয়ে দেশে-বিদেশে ও জনগনের মাঝে হবে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা ও পর্যালোচনা। জনগন যদি বিএনপিকে ৩১ দফার আলোকে এবং তারেক জিয়ার আহববানে সাড়া দিয়ে-ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার ভার তাদেরকে দেয় তথা তারা নির্বাচিত হয় বা জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে শাসকের আসনে বসায় এবং তারা পরিবার-দল-মত-স্বার্থের উপরে উঠে তাদের ঘোষিত ৩১ দফার সফল বাস্তবায়ন করতে পারে তবে আমরা আশাবাদী বৈষম্যহীন এক নতুন বাংলাদেশ পাবার । তবে এর জন্য অনেক কিছু করার (ত্যাগ-সমঝোতা) প্রয়োজন হতে পারে এবং এই ৩১ দফার সফলতার জন্য দেশে প্রচলিত সকল রাজনৈতিক দল ও এর নেতাদের মাঝে মিল ও একমত হওয়া অতীব জরুরী। কোন দলের একার পক্ষে এ ৩১ দফা বাস্তবায়ন শুধু কঠিনই নয় বরং দুরুহ বলেই মনে হয়। অতীতে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে যেমন অবস্থা (দ্বন্দ্ব-অবিশ্বাস) ছিল তাতে তাদের মাঝে সর্বদলীয় ঐক্য আশা করা কঠিনই ছিল তবে এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার ওয়াদা, বর্তমানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ব্যতীত বাকী সব রাজনৈতিক দল গুলোর ঐক্যমত দেশের ও জনগনের কল্যাণে আশা করা যেতেই পারে। যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই এবং আওয়ামীলীগও হয়তো এতে রাজী হতে পারে নিজেদের প্রয়োজনেই। কোন একদিন আমাদের দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও নেতারা এ বিষয়েও একমত হবে দেশের ও জনগণের প্রয়োজনে এবং সাথে সাথে আওয়ামী লীগও। সেই আশাবাদই আমার, দেশের মংগলের জন্য - একজন সাধারন নাগরিক হিসাবে। আর এসব সুদীর্ঘ পথ সফল ভাবে পাড়ি দিয়ে এদেশে হয়ত নতুন এক শোষন-বৈষম্য-হানাহানি মুক্ত জনসম্প্রীতির বাংলদেশে গড়ে উঠবে অন্তবর্তী সরকার ডঃ মোহাম্মদ ইউনুসের শাসন-নেতৃত্বে ও দূরদর্শী নেতা তারেক রহমানের হাত ধরে।
তথ্যসূত্র -
১। রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা রূপরেখা দিল বিএনপি - https://www.dhakapost.com/politics/207909
২। মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি - নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি - Click This Link
৩। রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে বিএনপি ও যুগপৎসঙ্গীরা - Click This Link
৪। বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা অন্তঃসারশূন্য: ওবায়দুল কাদের - https://www.prothomalo.com/politics/p3hd2mdddy
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৯। রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফার রূপরেখা ও আমার ভাবনা। -
Click This Link
১৮। শেখ হাসিনা বিহীন ১ মাসের বাংলাদেশ - কেমন কাটলো ডঃ ইউনুসের অধীনে।-
Click This Link
১৭।'' বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন '' নাকি " বাংলাদেশে ও তাহার জনগনের জন্য গজব আইন''?
Click This Link
১৬।"শেখ হাসিনার একটানা ১৫ বছরের শাসন বনাম তথাকথিত আওয়ামী উন্নয়ন " -
Click This Link
১৫।" আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ "
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা ।
১ম পর্ব - Click This Link
শেষ পর্ব - Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




