somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা

২৭ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিস্তি-১৬

এই পাঁচদিনই মনে হইতাছে পাঁচ বছর। আমার ইচ্ছা করতাছে এখনই তোমার কাছে চইলা আসি।
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় অহনা। আস্তে আস্তে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে। পারভেজের কথার উত্তর দেয় না। নিরুত্তর দেখে পারভেজ বলে-
কি ব্যাপার, কি হইছে তোমার?
কই কিছু হয় নাই তো।
অবশ্যই কিছু হইছে। তা নাহইলে কথার উত্তর দেও না ক্যান?
আমার ঘুম পাচ্ছে।
অহনা, তোমার কি শরীর খারাপ।
না।
তাহলে এইভাবে কথা বলতাছো ক্যান?
বললাম না, আমার ঘুম পাচ্ছে।
পারভেজ বুঝলো অহনার কিছু একটা হয়েছে। কারণ এর আগে পারভেজ যতবার ফোন করেছে অহনা উত্তর দিয়েছে হেসে হেসে। প্রাণ খুলে। আজ তার মুখ থেকে কথা বেরুচ্ছে না। যা দু’একটা বেরুচ্ছে মনে হচ্ছে তা খুব কষ্টে। মানুষের মনে কষ্ট থাকলে কথায় তা প্রকাশ পায়। কেউ ধরতে পারে কেউ পারে না। পারভেজের সে গুণ আছে। যদিও সে মেট্রিক ফেল। বিদেশে যাওয়ার পর আরও কিছুটা চালাক-চতুর হয়েছে। যখনই অহনার কাছে ফোন করে পারভেজ তখন সে খুব মজা করে কথা বলে। একেকবার একেক নামে সম্বোধন করে। আজ যে নামে ডাকে কাল অন্য নামে।
প্রথম কিছুদিন অহনা আপত্তি করেছে। কিন্তু পরে দেখলো ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। এতে সেও খুব আনন্দ পায় তাই সমান তালে সে-ও চালিয়ে যায় একইভাবে। যেমন ফোন করে পারভেজ বলছে-
কেমন আছো জান।
অহনা এর জবাব দিচ্ছে- ভাল আছি প্রাণ।
আবার ঘুরিয়ে পারভেজ বলছে- ভাল আছো আঙ্গুরি?
জবাবে অহনা বলছে- ভাল আছি কুদ্দুস।
পরক্ষণেই পারভেজ বলছে- মনডা বালানি রাহেলা আপা।
অহনা জবাব দিচ্ছে- বালাই মোখলেস ভাই।
শইলডা বালানি বানেছা বেগম।
বালাই আ...বু...ল মিয়া।
আবুল শব্দটা উচ্চারণ করতো একটু সুর ধরে। ফোন রাখার আগে পারভেজ বলছে- আইজ তাহলে রাখি আঞ্জুমান।
অহনা জবাব দিচ্ছে- আল্লাহ হাফেজ ছালামত। এরপর দু’জনে হো হো করে হেসে উঠতো।
আজ অহনার কথায় তেমন রস নেই। কেমন তেতো লাগছে পারভেজের কাছে। তাই কথা না বাড়িয়ে সে বললো-
ঠিক আছে ঘুমাও তাইলে। কাইল কথা বলবো।
আচ্ছা।
ফোন রেখে লম্বা হয়ে শোয় অহনা। বুকের ভেতর খুব কষ্ট হচ্ছে তার। হৃদয় পুড়ে যাচ্ছে। মন থেকে উগরে আসছে কান্না। যেমন করে বমি আসে। থামানোর চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। পারভেজের ব্যাপারে তার মনে কিঞ্চিৎ সন্দেহ বাসা বেঁধেছে। নীদের হাজব্যান্ড এবং তার হাজব্যান্ড একই শহরে থাকে। তার হাজব্যান্ড কতটা সৎ। সে নিজেকে কতটা কন্ট্রোলে রাখতে পেরেছে। যদি নীদের হাজব্যান্ডের মতো সে-ও...। আর ভাবতে পারে না অহনা। সে এখন কি করবে। এমন হাসিখুশি, উচ্ছ্বল মেয়েটা এভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মনে কত আনন্দ ছিল মেয়েটার। উচ্ছ্বাস ঝরে পড়তো সবসময়। এমন প্রাণবন্ত একটা মেয়ে...। ওহ্‌ খোদা এ তোমার কেমন বিচার। ঠেলে অশ্রু ঝরছে তার। বালিশ ভিজে যাচ্ছে। কিছুতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না। নীদ যখন হাজব্যান্ডের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোর কথা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতো তখন পারভেজের কথা খুব মনে পড়তো অহনার। মনে পড়তো বিয়ের পরে দিনগুলোর কথা। প্রতিটি মুহূর্তের স্মৃতি ভেবে উঠতো চোখে। আজও তার চোখে ভেসে উঠছে সেই সুখের ক্ষণগুলোর কথা। বিশেষ করে বাসর রাতের স্মৃতি চোখ বুজলেই ভেসে ওঠে-
রাত তখন ১২টা ৩৫। বউ সেজে খাটের ওপর বসে আছে অহনা। কাঁচা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বাসর। বিছানায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে কাঁচা ফুল। গোলাপের লাল পাপড়িগুলো বিছানার চাদরটাকে আরও লাল করে তুলেছে। টিউব লাইটের সাদা উজ্জ্বল আলো আর বেলি ফুলের লম্বা মালাগুলোয় পুরো ঘরটা ঝকমক করছে। হালকা একটা সুবাস ভাসছে বাতাসে। দুরু দুরু বুকে বসে আছে অহনা। কত শত ভাবনা মনে। স্বামী এসে কি করবে। কিভাবে স্বামীর সঙ্গে কথা শুরু করবে। কে আগে শুরু করবে। আরো কত কি।
রাত আরও গভীর হয়। শহুরে বাড়িতে যদিও মধ্যরাত পর্যন্ত লোকজন জেগে থাকে। টিভি দেখে। আগে জানতাম- আরলি টু বেড, আরলি টু রাইজ। আর এখন লেট টু বেড, লেট টু রাইজ। তবে সেদিন চারদিক নীরব, নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। কেবল তাদের বাসায় আত্মীয় স্বজন দু’একজনের কথা শোনা যাচ্ছে। ছাদের ওপর নিপুণ ও তার বন্ধুরা গান বাজাচ্ছে। ঢাকায় পারভেজের বাসা না থাকায় অহনাদের বাড়িতেই বিয়ে ও বাসর হয়েছিল। শহরের বিয়েতে এখন সারারাত ডেক সেটে গান বাজানো হয়। কেউ কেউ ব্যান্ড দল নিয়ে আসে। সারারাত গানবাজনা চলে। ছেলেমেয়েরা নাচানাচি করে। আশপাশের মানুষের ঘুম সেদিনের জন্য হারাম। কেউ কিছু বলতেও পারে না। এটা এখন রেওয়াজ হয়ে গেছে।
এমন একটা পরিবেশে অহনা যখন ভাবনার রাজ্যে বিচরণ করছে। তখনই ঘরে ঢুকলো পারভেজ। আর অমনি বিদ্যুৎ চলে গেল। অন্ধকার হাতড়ে খাটের কোণায় গিয়ে পৌঁছলো পারভেজ। ডান হাত বাড়িয়ে ডানে-বায়ে ঘুরিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো তার নতুন বউ কোথায় বসে আছে। তবে স্পর্শ করতে না পেরে কিছুটা হতাশ হয়ে ধপ করে বসে পড়লো। মুখে রাজ্যের বিস্ময়। যেন এই দেশের ছেলে নয় পারভেজ। বিরক্তি নিয়ে বলছে- ও মাই গড। কোনদিনই কি এই দেশের উন্নতি হইবো না। ক্ষমতায় গিয়ে এরা করে কি! খালি চুরির ধান্দায় থাকে। জানো অহনা, আমাদের ইতালিতে লোডশেডিং কি জিনিস সাত বছরেও দেখি নাই।
কথাটায় খুব মজা পেল অহনা। কত সহজে পারভেজ ইতালিকে আমাদের দেশ বলছে। তবে স্বামীর গ্রাম্য ভাষায় কথা বলাটাকে পছন্দ হলো না। কেমন ক্ষেত ক্ষেত মনে হচ্ছে। অন্ধকারে মুখটাকে একটু বিকৃত করে অহনা। খুব গরম লাগছে। দু’জনের গায়েই মোটা কাপড়। পারভেজের পড়েছে শেরওয়ানী আর অহনা তিন কেজি ওজনের বেনারসি। ঘেমেটেমে একাকার। কিছুক্ষণ পর পর পারভেজ হাফ ছাড়ছে- ওহ্‌ অসহ্য।
কোন কথা বলছে না অহনা। পারভেজ কিছুক্ষণ পর পর নানা রকম উক্তি করছে। সে আশা করছে স্ত্রী তার সঙ্গে কথা বলুক। কিন্তু সাড়া পাচ্ছে না । অনেকটা হতাশ হয়ে তাই বললো- কি দুর্ভাগ্য। বাসরঘরে ঢুকে বউয়ের চেহারা দেখার সৌভাগ্য হইলো না।
পারভেজ লক্ষ্য করলো- চুরির টুংটাং শব্দ হচ্ছে। খাট থেকে অহনা নামছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এবার সে দুই হাত সামনে প্রসারিত করে ডানে-বামে হাতড়ালো। উদ্দেশ্য যদি স্ত্রী’র নাগাল পাওয়া যায়। কিন্তু পেলো না। হতাশ হয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
অন্ধকার সয়ে এসেছে চোখে। এখন আবছা ছায়ার মতো কিছু অনুমান করা যায়। পারভেজ দেখে- পা টিপে টিপে একটা ছায়া আসছে তার দিকে। সে উঠে দাঁড়ায়। কিছু একটা ভাবে। এরপর এগিয়ে যায় ছায়ার দিকে। কিছুদূর এগোতেই মুখোমুখি ধাক্কা। অহনাও হয়তো এমনটাই চাইছিল। তা নাহলে ইচ্ছা করলে সংঘর্ষ এড়ানো যেত। কারণ সে-ও দেখেছে আবছা একটা ছায়া তার দিকে এগিয়ে আসছে।
অহনাকে জড়িয়ে ধরেছে পারভেজ। দু’জনের শরীর ঘামে ভেজা। ভাগ্যিস সুগন্ধি সেপ্র করা ছিল। তা নাহলে ঘামের যে বিশ্রি গন্ধ।
অহনা নিজেকে ছাড়াতে চাইছে। তবে সে আবেদন জোরালো নয়। পারভেজের বুকে মুখ লুকায় অহনা। ঠিক এ সময় বিদ্যুৎ চলে এলো। লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে সে। কুঁকড়ে যেতে চায়। নিজেকে ছাড়িয়ে দৌড়ে খাটের কাছে চলে যায়। দু’জনের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক।
শেরওয়ানীর ভেতর থেকে নিজেকে বের করে ফেলে পারভেজ। অহনাকেও কাপড় পরিবর্তন করতে বলে। অহনা চুপ করে বসে আছে। নড়ছে না। একবার, দু’বার তিনবার বলার পর আস্তে করে বলে- আমি পারবো না।
কি পারবে না।
চেঞ্জ করতে।
তাহলে বেনারশি পরেই শোবে নাকি?
না।
আশ্চর্য, বদলাবেও না আবার পরে থাকতে পারবে না তবে কি করবে?
আপনি বাইরে যান।
ওরে লজ্জাবতী তাহলে এই কথা।
হো হো করে হেসে উঠে পারভেজ। বলে-
এ মুহূর্তে বাইরে যাওয়া সম্ভব না। বাতি নিভাইয়া দেই তুমি চেঞ্জ করো।
বাতি নিভিয়ে দিল পারভেজ। অহনা কাপড় বদলে নিল। গা থেকে গহনা খুলে ফেললো। অহনা যখন বদল করছে তখন- কিছুক্ষণ পর পর তাড়া দিচ্ছে পারভেজ। বলছে- বাতি জ্বালাবো।
অহনার উত্তর- না। এক মিনিট না যেতেই আবার- বাতি জ্বালাবো। একই উত্তর- না।
প্রায় ত্রিশ মিনিট হয়ে গেছে অন্ধকারে। যদিও পাশের রুমগুলোতে আলো থাকায় তাদের রুমটায় আবছা আলো আছে। কাপড় বদল ও গহনা খোলার পর অহনা বলে- বাতি জ্বালান।
আবছা আলোয় অহনার কাছে গেল পারভেজ। দু’কাঁধে হাত রেখে বলে- আর বাতি জ্বালাতে হবে না। চলো বিছানায় শুয়ে গল্প করি।
অহনা বলে- ইশ্‌ শখ কত। এত রাতে গল্প করবে। আমার ঘুম পাচ্ছে। আমি এখন ঘুমাবো।
ঘুমাতে হইলেও তো বিছানায় যেতে হবে নাকি? চলো।
অহনা নড়ছে না। পাজা কোলে করে অহনাকে খাটের ওপর নিয়ে গেল পারভেজ। ওকে খাটের ওপর বসিয়ে পারভেজ শুয়ে পড়ে লম্বা হয়ে। বলে- আমারও খুব ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমাইলাম। সকাল দশটার আগে ডাক দিবা না।
এরপর আর নড়াচড়া নেই। অহনা বসে আছে চুপ করে। অপেক্ষা করছে স্বামী কিছু বলবে। কিন্তু পারভেজ পড়ে আছে একটা লাশ হয়ে। হাত-পা সোজা। কিছুক্ষণ পর নাক ডাকার শব্দ। কিছুটা অবাক হলো অহনা। সত্যি সত্যিই কি ঘুমিয়ে পড়েছে স্বামী। একবার ভাবে- হাত দিয়ে ধাক্কা দেবে। আরেকবার ভাবে পানি ঢেলে দেবে ওপরে। একবার ওই রকম প্রস্তুতি নিয়েও ফিরে এলো। বাসর রাতে এমন একটা কাজ করা কি নতুন বউয়ের উচিত হবে। আবার ভাবে- খুব উচিত হবে। এই রাতে যদি স্ত্রীকে বসিয়ে রেখে স্বামী নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে তবে এর চেয়ে জঘন্য কিছু করলেও অনুচিত হবে না। কি করবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না অহনা। বেশ কিছু সময় ধরে নানা রকম চিন্তা করলো। সে সবের কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারলো না। অগত্যা নিরাশ হয়ে সেও ঘুমাবার প্রস্তুতি নিলো। অহনা যখন শুয়ে পড়লো তখনই ঘটনাটা ঘটলো।
ওরে আমার সোনাবউ রে; শখ কত, বাসর রাতে ঘুমাতে যায়। বলেই অহনাকে জড়িয়ে ধরলো পারভেজ। বললো- সবাই ভুল করতে পারে। আমি সে দলে নাই। তুমি কি ভাবছো বাসর রাতের বিড়াল আমি মারবো না? এই রাত জীবনে বারবার আসে না। কাজেই...।
অহনার ওপর চড়াও হলো পারভেজ। যদিও এমন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিল না সে। বরং স্বামীর নির্লিপ্ততায় মনে খুব কষ্ট হচ্ছিল তার।
পারভেজ এগোয় খুব ধীরে সুস্থে। মেয়ের মানুষের গায়ে একটা গন্ধ আছে। যেটা পুরুষ পায়। পৃথিবীর কোন সুবাস নেই ওই গন্ধের ধারেকাছে। গন্ধটা খুব ভাল লাগে পারভেজের। সে অহনার বুকে মুখ গুঁজে প্রাণভরে নিশ্বাস নেয়। অহনা শামুকের মতো গুটিয়ে আছে। জড়োসড়ো, কুকড়িমুকড়ি। কোথাও একটা জট লেগে আছে যেন। সেই জট ছাড়াবার চেষ্টা করে পারভেজ।
দরজায় নক শুনে অহনার ঘোর কাটে। বাবা তাকে ডাকছে-
মা অহনা, ঘুমিয়ে পড়েছিস মা।
না বাবা, এসো।
দরজা খোলাই ছিল। ঠেলে ঢোকেন জাফর সাহেব। ধড়ফড়িয়ে বিছানায় থেকে নামে অহনা।
কি হয়েছে বাবা। তুমি ঘুমাওনি।
ঘুম আসছে না।
কেন বাবা, শরীর খারাপ লাগছে?
বাবার হাত ধরে বসায়। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে- কেমন লাগছে বাবা।
আচ্ছা মা, তোর কি মনে আছে আলোর গতি সেকেন্ডে কত মাইল? মনে করতে পারছি না। গতকাল রহমান সাহেব জানতে চাইলো- খালেদাকে কবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি বললাম- সেপ্টেম্বর ২০০৭। অবাক কাণ্ড কি জানিস? কিছুতেই তারিখটা মনে করতে পারলাম না।
বাবা এখানে শোও। আমি তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেই। ঘুম চলে আসবে।
কিন্তু আলোর গতিটা। সামির পরীক্ষায় এসেছে। কিন্তু উত্তর দিতে পারে নাই। দেখিস এবারও পরীক্ষায় খারাপ করবে।
না বাবা। এবার ও পরীক্ষায় খুব ভাল করবে। নিপুণ ওকে খুব ভালভাবে গাইড দিচ্ছে। ওসব নিয়ে তুমি ভেবো না। এখন একটু ঘুমাও।
তেল নিয়ে এলো অহনা। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তেল দিয়ে দিল জাফর সাহেবের মাথায়। বাতি নিভিয়ে দিয়ে শিয়রের কাছে বসে মাথায় বুলাতে লাগলো। মসজিদে তখন ফজরের আজান হচ্ছে। জাফর সাহেব ঘুমাবার চেষ্টা করছেন।

চলবে

ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা কিস্তি-১
ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা কিস্তি-২
ধারাবাহিক উপন্যাস নগ্নবেলা কিস্তি-৩
নগ্নবেলা কিস্তি-৪
নগ্নবেলা-৫
নগ্নবেলা-৬
নগ্নবেলা-৭
নগ্নবেলা-৮
নগ্নবেলা-৯
নগ্নবেলা-১০
নগ্নবেলা-১১
নগ্নবেলা-১২
নগ্নবেলা-১৩
নগ্নবেলা-১৪
নগ্নবেলা-১৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×