"আমার কিন্তু স্বপ্ন দেখতে আজও ভাল লাগে ।"
যে মানুষ স্বপ্ন দেখতে জানে না, সে কখনো অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে পারে না। আমার এই পোস্টে যার লেখা নিয়ে আলোকপাত করছি তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন এবং তার লেখনীতে আমাদের স্বপ্ন দেখতে প্রলুব্ধ করেন। হ্যা, আজ বলছি সামহোয়্যার ইন ব্লগের অন্যতম সেরা গল্পকার মামুন রশিদ ভাই এর কথা। যিনি আমাদের সমাজ, জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন অত্যন্ত সুক্ষ চোখে। সেই পর্যবেক্ষণ থেকেই জীবনের কথা, হাসি কান্নাগুলোকে তুলে আনেন গল্পের খাতায়। জীবন ঘনিষ্ঠ গল্পের কাহিনী, অনন্য শব্দচয়ন আর তার যথোপযুক্ত ব্যবহার ও বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনে মামুন ভাই এর প্রতিটি গল্প পেয়েছে প্রাণের ছোঁয়া। মামুন ভাইয়ার গল্পগুলোর একটা বিশেষ দিক লক্ষণীয়। মামুন ভাইয়ের গল্পগুলো অনেকটা পাহাড়ি ঝর্নার মত বহমান। ঝর্না যেমন পাহাড়ের গা বেয়ে ধীরে ধীরে চলতে থাকে শুধু মাত্র পাহাড়ের চূড়া থেকে ভুমিতে নেমে আসার আগে তীব্র বেগে নেমে আসে। ঠিক তেমনি মামুন ভাইয়ের গল্পগুলো শান্ত ভাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে গল্পের গতি আর রঙ বদলাতে থাকে।
♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥
গল্পঃ অন্তর্যাত্রা ।
মামুন ভাইয়ের লেখা গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ভালো লাগা একটি গল্প অন্তর্যাত্রা। এই গল্পে তিনি তুলে এনেছেন কর্পোরেট ফ্রেমে বন্দী এবং যান্ত্রিক সভ্যতার দাসত্বে মুখ থুবড়ে পড়া জীবনের গল্প।
গল্পের প্রধান চরিত্র সৈকত, যাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে গল্পের যান্ত্রিক জীবন। কর্মজীবী স্ত্রী সূতপা এবং দুটি সন্তান নিয়ে সৈকতের সুখী নাগরিক সংসার। যাদের জীবনের প্রতিটি কর্মকাণ্ড কর্পোরেট সভ্যতার শিকলে শৃঙ্খলিত। গল্পে লেখক সৈকত এর চরিত্রটিকে একাধিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। কখনো স্বামী, কখনো পিতা, কখনো উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা, কখনো বন্ধু আবার কখনো সন্তান। প্রতিটি চরিত্র যেখানে যান্ত্রিক সভ্যতার কাছে দাসত্ব স্বীকার করে নিয়েছে সেখানে ব্যাতিক্রম শুধু সন্তানসত্ত্বা। যে স্বত্বা যন্ত্র মানব নয়, কর্পোরেট শৃঙ্খল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি স্বত্বা। গল্পের বর্ণনায় উঠে এসেছে ইট পাথরের সভ্যতার খুঁটিনাটি বিষয়, কখনো এসেছে মেকি সুখী হবার প্রচেষ্টার কথা। গল্পের বর্ণনা তে যেমনটি লিখেছেন-
প্রতি মাসেই কারো না কারো সৌজন্যে পার্টি হয় । মাঝে মাঝে আমরা দলবেঁধে ক্লাবে নাইট পার্টিতে এটেন্ড করি, নিজেদের বৌদের কোমড় জড়িয়ে নাচি । পৃথিবী শুদ্ধ লোকেদের দেখাতে চাই, দেখ আমরা কত সুখি! নেচে গেয়ে ক্লান্ত হয়ে হার্ডড্রিন্কস পান করি, পরষ্পরের সুস্বাস্থ্য কামনা করে ।
গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে যৌনতার কথা। মামুন ভাইয়ের লেখার যারা নিয়মিত পাঠক তারা অবশ্য জানেন, যৌনতার দুই-একটি ইঙ্গিত মাঝেমধ্যে আসলেও যৌনতাকে হাইলাইট করে কখনো কিছু লিখেন না তিনি। গল্পে যেমনটা এসেছে -
সিমি বছর দুয়েক ধরে আমার পিএস হিসাবে আছে । নিজেকে উত্থিত যৌবনা হিসাবে প্রকাশ করার জন্য যা করা সম্ভব সবই করে । ড্রেস আপে সে কখনই স্থুল নয়, বরং সুক্ষ ভাবে নিজের ফিগার আর শরীরের সংবেদনশীল বাঁক গুলো প্রকাশ করাকে সিমি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে । প্রথমে চুপচাপ রিজার্ভ একটা ইমেজে নিজেকে প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করলেও এখন সে আমার সাথে যথেষ্ট খোলামেলা । দৃষ্টি দিয়ে ভোগ করার পুরো অধিকারই সিমি আমায় দিয়েছে । নিঃশ্বাসের উঠানামার সাথে তার বুকের প্রতিবার দুলে উঠা যখন আমি ভোগ করি, রহস্যময় এক হাসিতে ছুঁয়ে যায় সিমির মুখ । সে হাসিতে প্রণয়ের আহবান স্পষ্ট হলেও এর বেশি আমি এগুইনা ।
গল্পের এই পর্যন্ত আলোচনা দেখে যদি কেউ ভেবে থাকেন গল্পটি শুধু মাত্র নাগরিক বন্দী জীবনের কথা তাহলে ভুল করবেন। কারণ গল্পের শেষ অংশে রয়েছে বিশাল এক বিস্ময়। কর্পোরেট শৃঙ্খল ভেঙ্গে নিজের শিকড়ের কাছে, মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার কথা। শুধুমাত্র শেষ অংশ দিয়ে নাগরিক ক্লিষ্ট জীবনের গল্পটাতে লেখক এনে দিয়েছেন সোঁদা মাটির গন্ধ। এখানেই লেখকের সবচেয়ে বড় সার্থকতা। গল্পের শেষ লাইন দুটিই যথেষ্ট চোখে পানি এনে দেয়ার জন্য।
কর্পোরেট ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার লিফ্টিং আর মডার্ণ লাইফস্টাইল সব কিছু পেছনে ফেলে আমি আমার মায়ের শরীরের ঘ্রান শুঁকি । আমার পূত্র-কণ্যা নয়, যেন আমিই জড়িয়ে ধরেছি আমার মা'কে, পরম মমতায় ।
♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥
গল্পঃ জীবনের সপ্তসুর ।
জীবনের সপ্তসুর শুধুমাত্র মামুন ভাই এর লেখা সেরা গল্পগুলোর একটা নয়। এই গল্পটি ব্লগে আমার পড়া অন্যতম সেরা গল্প। জীবনের সপ্তসুর একটি সার্থক ছোট গল্প।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল আম গাছটা অনেক আগেই তার যৌবন হারিয়েছে । এক আকাশ বিস্তৃত ডালপালা আর ঘন কালচে সবুজ পাতার অরণ্যে মাত্র দু'চারটা আম লিকলিক করে ঝুলছে । পাড়ার দস্যু ছেলেদের ছোঁড়া মাটির ঢেলার নিখুঁত ঢিল ঝপাৎ করে শব্দ তুলে ব্যর্থ মনোরথে ভূ-পৃষ্ঠে ফিরে আসে, গাছের আম দেখার ভাগ্য তাদের কদাচিৎ হয় । বিশাল বেড়ের এই গাছ বেয়ে উঠাও কম ঝক্কি নয় । ভেজা মরা বাকলে শ্যাঁওলা জমে একেতো পিচ্ছিল, তার উপর গোছাগোছা পরগাছা আর মরা ফার্নের আড়ালে চোরাই কোটরে গিরগিটি আর সাপের বাসা । পক্ষীকুলের ঠোকর খাওয়া কোন আম যখন বাতাসে ঝরে পড়ে, ছেলেপুলেদের মাঝে শুরু হয় কাড়াকাড়ি ।
কল্পনার রঙ এবং বর্ণনার তুলির আঁচড়ে গল্পের শুরুতেই শান্ত একটি গ্রামের প্রতিচ্ছবি এঁকেছেন লেখক। গল্পের কাহিনী যতই এগিয়েছে লেখকের বর্ণনা জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় ততই প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। গল্পের মাঝে উঠে এসেছে দুরন্ত কৈশোর জীবন, হাওড় পাড়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলের মানুষগুলোর করুণ অভিজ্ঞতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বর্ণনা যেমনটা এসেছে গল্পে -
জইল্যা ডাকাত লুটের খবর পেয়ে একটা ছোট নৌকা নিয়ে মাকালকান্দি পৌছায় । কিন্তু তার পৌছতে দেরি হয়ে যায় । ততক্ষণে লুটেরা বাহিনী ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে । চারপাশে পড়ে থাকা আহত মানুষের গোঁঙানি আর বেঁচে থাকাদের আর্তনাদে জইল্যা ডাকাতের মন আর্দ্র হয়ে উঠে । হাতে থাকা বৈঠা দিয়ে বাকি লুটেরাদের সে পেটাতে শুরু করে । একটা ঘর থেকে ছোট বাচ্চার আর্তনাদ ভেসে আসছিল । সেখানে মেঝেতে রাখা হারমোনিয়ামের উপর মুখ থুবরে পড়ে আছে এক মহিলার লাশ । দুইতিন বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে তার মৃত মা'কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করছে । মেয়েটাকে দেখে জইল্যার খুব মায়া হয় । বাচ্চাটাকে কোলে নেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু সে তার মৃত মা'কে কিছুতেই ছাড়বে না ।
গল্পটি পড়ার সময় বারবার আমাদের বাংলার চিরায়িত ঐতিহ্যের অংশ পালা গানের কথা মনে পড়ছিল। পালা গানে যেমনটা হয়- গানের মূল অংশে আসার আগে বাউল গল্প বলার ভঙ্গিতে কাহিনী বর্ণনা করতে থাকেন। তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা সুরে বাদ্যযন্ত্র বাজতে থাকে। গানের মূল অংশে আসা মাত্রই সবগুলো বাদ্যযন্ত্র একসাথে বাজতে শুরু করে। ঠিক তেমনি লেখক গল্পটিতে মূল কথা বলার আগে পারিপার্শ্বিক বর্ণনার আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু মূল বক্তব্যে এসে গল্পটি নিজেই নিয়েছে এক অনন্য রূপ। গল্পটি মূলত আলো আর তার পালক পিতা জইল্যা ডাকাতের নিঃস্বার্থ ভালোবাসার গল্প। যে ভালোবাসায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নি রক্তের বন্ধন কিংবা ধর্মের বেড়াজাল। গল্পের শেষে আলোই তার বাবার কাছ থেকে তার মায়ের শেষ স্মৃতি হারমোনিয়ামটা চাওয়ার পর উত্তরে জইল্যা ডাকাতের একটি লাইন গল্পটির মূল অংশ যা গল্পটিকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
"এইটা খালি তোর মায়ের স্মৃতি না, এইটা আমার মায়েরও একমাত্র স্মৃতি" ।
♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥ ♥
একজন সাধারণ !
গল্পের শিরোনাম দেখে যদি ভেবে নেন কোন সাধারণ মানুষের গল্প এটি তাহলে আমি বলব আপনি বড় একটি ভুল করছেন। গল্পের শিরোনাম একজন সাধারণ হলেও গল্পটি আসলে একজন অসাধারণ ব্যক্তির। যে অসাধারণ ব্যক্তিটি প্রচার বিমুখ। শত সহস্র সাধারণের ভিড়ে থেকে অসাধারণ কাজ করে চলছেন। আমাদের সমাজে এই ধরনের লোকের সংখ্যা কিন্তু কম নয় যারা আড়ালে থেকে সমাজের জন্য কাজ করে চলছেন। হতে পারে সে আমাদের পাশের বাড়ির সেই মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক, হতে পারে সে এক সামান্য দিনমজুর কিংবা হতে পারে পাড়ার মোড়ের টং দোকানের দোকানদার। এদের কাউকেই আমরা চিনতে পারি না কারণ তারা কখনো আমাদের সামনে এসে তাদের ভালো কাজের প্রতিদান চান না। তেমনই একজন এই গল্পের প্রধান চরিত্র শাফায়েত সাহেব। স্কুল মিস্ট্রেস স্ত্রী রাবেয়া খানম এবং এক সন্তান ইয়ামিনকে নিয়ে ছোট্ট মধ্যবিত্ত সংসার।
সারা জীবন সংসারের ঘানি টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। শেষ সময়ে তার যথোপযুক্ত চিকিৎসাও করাতে পারেন নি তিনি। কিন্তু শাফায়েত সাহেব এর জীবনটা এমন হবার কথা ছিল না। তিনি তাঁর অন্যান্য ভাইবোনদের মত থাকতে পারতেন প্রাচুর্যে ঘেরা একটি সমাজে। শাফায়েত সাহেব বিত্তবান ফ্যামিলির সন্তান ছিলেন। শাফায়েত সাহবের ছেলেবেলা কাটে আরমানিটুলার একান্নবর্তী বাড়িতে। আরমানিটোলার বাড়িটা ডেভেলপারের হাতে তুলে দিয়ে অন্য সব অংশীদাররা যার যার মত কেউ নতুন ঢাকায় নিজের বাড়িতে আর কেউ প্রবাসে সেটল করেছেন । সেখানে শাফায়েত সাহেব তাঁর অংশের টাকা দিয়ে ছিন্নমুল পথশিশুদের জন্য শহরের উপকন্ঠে একটা টেকনিকেল স্কুল গড়ে তুলেন ।
গল্পে লেখক শাফায়েত সাহেব এর মহানুভবতার পাশাপাশি আমাদের সমাজের কুৎসিত মুখোশ উন্মোচন করেছেন অন্যন্ত সুচারুভাবে। শাফায়েত সাহেব এর প্রতিষ্ঠিত ভাই বোনেরা জীবিত শাফায়েত সাহেব এর সামান্য খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করে নি । তারাই শাফায়েত সাহেব এর মৃত্যুর পর ব্যস্ত হয়ে উঠেন শেষ সৎকার অনুষ্ঠান নিয়ে। যাদের কাছে মৃত্যু মুখ্য নয় মুখ্য হয়ে উঠে আনুষ্ঠানিকতা। তবে শাফায়েত সাহেবের অসাধারণ ভাইয়েরা শাফায়েত সাহেবের মত একজন সাধারণের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ান যখন জানতে পারেন তাদের এই সাধারণ ভাইটি ১৯৯০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জন্য মরণোত্তর শরীর দান করে গিয়েছিলেন।
কিন্তু আমরা কয়জন শাফায়েত সাহেবের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ পূর্বে তাঁর কবিতায় লিখে গিয়েছিলেন -
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই-- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণগগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি--যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
আমাদের সমাজটা আজো সোনার তরী হয়েই আছে। সেখানে সোনার ফসল ঠিকই জায়গা হয় কিন্তু ফসলটা যে কষ্ট করে তৈরি করে তাঁর জায়গা কখনোই হয় না সোনার তরীতে।
►►►►►►►►►►►►►►►►►►►►►►►►►
মামুন ভাইয়ের লেখা অন্যান্য গল্পগুলোঃ
বিয়োগান্তিক !
ঈভ টিজার!
জানালার ওপাশে..
গল্পঃ জীবনের সপ্তসুর ।
গল্পঃ কাল বোশেখ !
একজন সাধারণ !
ম্যাগনোলিয়া, ছড়াও সুধা মন মধুপে!
বিহ্বলতায় শিশিরকণা !
গল্পঃ আবর্তন!
সাবধান হও পারমিতা!
গল্পঃ অমানিশাকাল ।
গল্পঃ ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা পরাজিত ঈশ্বর
গল্পঃ অন্তর্যাত্রা ।
ধীরে ধীরে ধীরে বও ওগো উতল হাওয়া
ডার্ক স্টোরিঃ কন্ট্রাক্ট ব্রীজ
হাসি-কান্নার এক জোড়া ঈদ গল্পঃ ঈভ টিজার এবং স্কুলড্রেস
ছোটগল্পঃ বোকা মানুষ ।
গল্পঃ গোয়াইটুলি বাই লেইন ।
ছোটগল্পঃ হাইবারনেশন ।
সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে স্নানঘাটের সিঁড়িতে ।
খালিছ ভাইয়ের আত্মত্যাগ (সড়ি, বস্ত্রত্যাগ) :``>>
কে হায়, হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগায় :-< :-&
খালিছ মিয়া ভাই, জিন্দাবাদ
গত কাল রাতে ইলেকট্রিসিটি ছিল না :-& :-& :-&
http://www.somewhereinblog.net/blog/mamun653/29659453
উল্কি... কৈশোরে মন হারানোর একটি ট্যাট্টু গল্প ।
আমি কোন সাহিত্য সমালোচক নই, একজন সাধারণ পাঠক মাত্র। সাহিত্য সমালোচনা করার মত জ্ঞান আমার নেই। পড়তে ভালোবাসি। তাই সাহিত্যের বিশাল রত্নভাণ্ডার থেকে মুক্তো খুঁজে দেখার চেষ্টা করি। আর পড়ে ভালো লাগাগুলো একান্ত নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করি। আমার এই লেখাগুলো সাহিত্য সমালোচনা কিংবা রিভিউ হিসাবে না দেখে একজন সাধারণ পাঠকের পাঠ- প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখাই সমীচীন হবে।
উৎসর্গঃ মামুন রশিদ ভাই। যিনি শুধুমাত্র গল্পকার হিসাবেই সফল নন, একজন সফল ব্লগারও বটে। নিজের লেখার পাশাপাশি উৎসাহ দিয়ে চলছেন সহব্লগারদের। এমনি ভাবেই সব সময় ব্লগ এবং আমাদের পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।