অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : অতিমুক্ত, অতিমুক্তক, অভীষ্টগন্ধক, কামী, কামুক, চন্দ্রবল্লী, পুণ্ড্রক, পুষ্পেন্দ্র, বাসন্তী, বাসন্তীদূতী, বাসন্তীলতা, বিমুক্ত, ভদ্রলতা, ভূজপ্রিয়া, ভূমিমণ্ডপভূষণা, ভ্রমরোৎসব, মণ্ডক, মণ্ডপ, মাধবিকা, লতামাধবী ইত্যাদি।
Common Name : Hiptage
Scientific Name : Hiptage benghalensis
নীলাম্বরী শাড়ি পরি নীল যমুনায় কে যায়?
যেন জলে চলে থল কমলিনী ভ্রমর নূপুর হয়ে বোলে পায় পায়।।
কলসে কঙ্কনে রিনিঠিনি ঝনকে,
চমকায় উন্মন চম্পা বনকে,
দলিত অঞ্জন নয়নে ঝলকে, পলকে খঞ্জন হরিণী লুকায়।।
অঙ্গের ছন্দে পলাশ মাধবী অশোক ফোটে,
নূপুর শুনি বনতুলসীর মঞ্জরী উলসিয়া ওঠে।
মেঘ বিজড়িত রাঙা গোধূলি
নামিয়া এলো বুঝি পথ ভুলি,
তাহার অঙ্গ তরঙ্গ বিভঙ্গে কুলে কুলে নদী জল উথলায়।।
----- কাজী নজরুল ইসলাম -----
আমরা অনেকেই মধুমঞ্জরী লতাকে ভুল করে মাধবীলতা নামে চিনি। আমাদের বাংলাদেশে মধুমঞ্জরীই মাধবীলতা নামে বেশি পরিচিত। অথচ দুটি আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন ফুল। শুধুকি তাই! প্রায় একই রকম নামে ৪টি ফুল আছে যাদের নিয়ে অনেকেই প্যাচ লাগিয়ে ফেলে। নিচের ছবিতে পাশাপাশি সেই চারটি ফুলের ছবি আর তথ্য রইলো।
আমি মোটামুটি নিশ্চিত আমাদের মধ্যে গড়ে ৮০% লোক এই আসল মাধবীলতা ফুল কখনো দেখিনি। বাংলাদেশে মাধবীলতা বেশ রেয়ার হয়ে গেছে। তাই নামে চিনলেও একে দেখার সুযোগ খুব কম লোকেরই হয়েছে।
তেমনি আজো উদিছে বিধু, মাতিছে মধুযামিনী,
মাধবীলতা মুদিছে মুকুলে--
বকুলতলে বাঁধিছে চুল একেলা বসি কামিনী
মলয়ানীল-শিথিল-দুকূলে।
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
মাধবীলতা ফুল ফোটার সময় বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতু হলেও কখনো কখনো বর্ষা পর্যন্ত ফোটে। তবে সমস্যা হচ্ছে ফুল ফোটা শুরু হলে খুব অল্প দিনের মধ্যেই সমস্ত ফুল ফুটে যায়। ফলে ফুল দেখার সুযোগ কমে যায়। তাই রবীন্দ্রনাথ কবিতার ভাষায় খিলেছেন-
মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল ফাগুন-দিনের স্রোতে।
এসে হেসেই বলে, "যা ই যা ই যাই।'
পাতারা ঘিরে দলে দলে তারে কানে কানে বলে,
"না না না।'
নাচে তা ই তা ই তাই॥
আকাশের তারা বলে তারে, "তুমি এসো গগন-পারে,
তোমায় চা ই চা ই চাই।'
পাতারা ঘিরে দলে দলে তারে কানে কানে বলে,
"না না না।'
নাচে তা ই তা ই তাই॥
বাতাস দখিন হতে আসে, ফেরে তারি পাশে পাশে,
বলে, "আ য় আ য় আয়'॥
বলে, "নীল অতলের কূলে সুদূর অস্তাচলের মূলে
বেলা যা য় যা য় যায়।
বলে, "পূর্ণশশীর রাতি ক্রমে হবে মলিন-ভাতি,
সময় না ই না ই নাই।'
পাতারা ঘিরে দলে দলে তারে কানে কানে বলে,
"না না না।'
নাচে তা ই তা ই তাই॥
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
মাধবীলতা নাম থেকেই বুঝা যায় মাধবী হচ্ছে লতানো গাছ, মূলত বৃক্ষারোহী লতানো গাছ। অন্য বড় কোন গাছকে আশ্রয় করে ছড়িয়ে পরে। মাধবীলতা দীর্ঘজীবী গাছ। মাধবীলতা গাছ যখন অনেক বছরের পুরনো হয় তখন বেশ কাষ্ঠল মোটা হয়ে উঠে। গাছে কোন কাটা থাকে না।
আজ মানসের সরোবরে
কোন মাধুরীর কমলকানন দোলাও তুমি ঢেউয়ের 'পরে।
তোমার হাসির আভাস লেগে বিশ্ব-দোলন দোলার বেগে
উঠল জেগে আমার গানের কল্লোলিনী কলরোলা॥
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
মাধবীলতার ফুল গুচ্ছবদ্ধ ও বিন্যাস সুসংবদ্ধ। মুকুলগুলো সূক্ষ্ম রোমে ভরা। ফুল সাদা রঙের, পাঁচটি পাপড়ি এবং তার মধ্যে পঞ্চম পাপড়িটির গোড়ার দিক হলদেটে। মাধবীলতা ফুল সুগন্ধযুক্ত।
বেনুবন মর্মরে দখিনবাতাসে,
প্রজাপতি দোলে ঘাসে ঘাসে--
মউমাছি ফিরে যাচি ফুলের দখিনা,
পাখায় বাজায় তার ভিখারীর বীণা,
মাধবীবিতানে বায়ু গন্ধে বিভোল।
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
ফুল থেকে ফল হয়, বীজ থাকে ২/৩টি এবং তা রোমশ। ফল দেখতে বেশ সুন্দর, মনে হয় ভিন্ন আরেকটি ফুল।
গাছের পাতা বিপরীতমুখী, আয়তকার, বোঁটার দিক থেকে আগা ক্রমশ সরু, সাধারণত ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি লম্বা হয়। মাধবীলতা অযত্নেও বাড়ে, বীজ থেকে চারা হয়, ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেও চারা পাওয়া যায়।
মাধবীলতা গাছ বেশ কম দেখা যায়। দেখতে চাই যেতে পারেন রমনা পার্কে, আর আছে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে।
তথ্য সূত্র : বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহীত ও পরিমার্জিত।
ছবি তোলার স্থান : রমনা পার্ক, ঢাকা।
ছবি তোলার তারিখ : ২৭/০২/২০১৮ ইং
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অলকানন্দা, আকন্দ, আমরুল,
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা
গাঁদা, গামারি, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া,
ঘোড়া চক্কর
জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা,
পপী, পুন্নাগ
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মধুমঞ্জরি
রঙ্গন, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধাচূড়া, রাণীচূড়া
লতা পারুল
শাপলা (সাদা), শিউলি, শিবজটা, সুলতান চাঁপা
জবা - ১, জবা - ২, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, গোলাপী জবা
=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩
অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অলকানন্দা (বেগুনী)-২, অলকানন্দা (বেগুনী)-৩, আমরুল-২,
কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গাঁদা-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গোলাপি আমরুল-২,
ঝুমকোলতা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
তারাঝরা- ২, দাদমর্দন-২
নাগলিঙ্গম-২, নাগলিঙ্গম-৩
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪,
বাগানবিলাস-২, বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩,
রাধাচূড়া-২, রাধাচূড়া-৩, লতা পারুল-২
গামারির হলুদ বন্যা, আরো কিছু গামারি, শিমুল গাছে আগুন, কদম ফুলের ১০টি ছবি, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভোমড়, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২২ ভোর ৪:৩০