গোলাপকে ফুলের রাণী বলা হয়। গোলাপ পাঁপড়ির গড়ন ও বিন্যাসের নান্দনিকতা মানুষকে আকৃষ্ট করে। সুগন্ধী গোলাপের ঘ্রাণও মানুষের ভালোবাসার কারণ। ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাসের জন্য গোলাপ বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত।
পৃথিবীতে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ প্রাজাতির গোলাপ ফুল রয়েছে। এই সমস্ত প্রজাতির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপ-প্রজাতি। সব মিলিয়ে প্রায় ৫৫০টি আলাদা আলাদা গোলাপের অস্তিত্ব রয়েছে পৃথিবী জুড়ে।
গোলাপের রয়েছে আকারেরর ভিন্নতা, সেই সাথে আছে রং এর ভিন্নতাও।
যেমন - গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা, সবুজ ইত্যাদি। তাছাড়া "গার্ডেন রোজ" নামে বিভিন্ন হাইব্রিড গোলাপেরও উৎপাদন হচ্ছে। যেগুলো একই সাথে একই ফুলের পাপড়িতে দুই বা ততোধিক রঙের হতে পারে।
গোলাপের আদি নিবাস এশিয়া মহাদেশে। অল্প কিছু প্রজাতির আদি বাস ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ও উত্তরপশ্চিম আফ্রিকা মহাদেশে। গ্রীক উপকথায় আছে প্রেমের দেবী ভেনাস এর পায়ের রক্ত থেকে গোলাপ এর জন্ম। আরব দেশীয় কাহিনীতে আছে সাদা গোলাপকে বুলবুলি পাখি আলিঙ্গন করায় বুলবুলি পাখি গোলাপ এর কাটায় আহত হয়ে বুলবুলি পাখির রক্ত থেকে সাদা গোলাপ থেকে লাল গোলাপ এর জন্ম। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীতে আছে বিষ্ণু ব্রহ্মাকে পদ্ম-ই শ্রেষ্ঠ ফুল বললে ব্রহ্মা বিষ্ণুকে স্বর্গে নিয়ে সেখানে হালকা রঙের একটি সুগন্ধি গোলাপ দেখান। গোলাপ সমন্ধে এইরকম অনেক গল্প আছে।
গোলাপ ফুল যে সৌন্দর্যের প্রতীক, তাই নয়। এর রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। গোলাপের পাপড়ি থেকে জ্যাম,জেলি প্রস্তুত করা হয়। পার্সি,চীন ও ভারতে গোলাপজলের প্রচলন ঘটে। সুগন্ধির জন্য গোলাপজল ব্যবহার করা হয়। গোলাপ ফুলের সুবাসকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করা হয়। যেমন:পারফিউম,সাবান ইত্যাদি। গোলাপে গেনারিয়ল নামে একটি অ্যারোম্যাটিক অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ পাওয়া যায়। যা এর সুগন্ধের জন্য দায়ী।
সূত্র : উইকিপিডিয়া
১, ৪ ও ৫ নাম্বার ছবি তোলার স্থান : বোটানিক্যাল গার্ডেন, মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২ নাম্বার ছবি তোলার স্থান : মোঘল গার্ডেন, শ্রীনগর, কাশ্মীর, ভারত।
৩ নাম্বার ছবি তোলার স্থান : বাড্ডা, ঢাকা, বাংলাদেশ।
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১
ফুলের রাণী গোলাপ - ০২
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৩