somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কল্প-গল্প : মধ্যরাতের চায়ের দোকান

১৬ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১।
মাহি রোজ সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে এই গলি দিয়েই হেঁটে যায়। কিন্তু আজ রাতে হঠাৎই তার চোখে পড়ল—একটি পুরনো চায়ের দোকান, যার সাইনবোর্ডে লেখা "মধ্যরাতের চা"।

"এখানে তো কখনো চায়ের দোকান ছিল না!" মাহি নিজেকে জিজ্ঞেস করল।

ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা পুরান ঢাকার এলাকার এই গলির প্রতিটি কোণ-প্রান্ত সে চিনে গেছে! আজ সকালেও-তো এখানে কোনো চায়ের দোকান ছিল না। কীভাবে হঠাৎ সন্ধ্যায় উদয় হল এই দোকান? মাহি ভীষণভাবে ধাক্কা খেয়ে নিজেকে ধাতস্থ করতে থাকে।

"শুনছেন?" গলা চড়ায় মাহি।

দোকানদার মার্জিত পোশাকে চা তৈরি করতে ব্যস্ত। একবার মুখ উঁচু করে কাচের জানালা দিয়ে উকি দেয়, আবার কাজে মনোযোগ দেয়।

মাহি কিছুটা বিরক্ত হয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকে। চোখে পড়ে অস্বস্তিকর এক নীরবতা। কাঠের বেঞ্চগুলোতে বসে আছে কয়েকজন মানুষ—কেউ ব্রিটিশ আমলের পোশাকে, কেউ আধুনিক জিন্স-টিশার্টে। সবাই নিঃশব্দে চা পান করছে, আর আনমনে কি যেন ভাবছে।

"বসো। প্রথমবার এসেছ, তাই না?" পৌঁঢ় চেহারার দোকানদার হাসিমুখে এগিয়ে আসে। তার চোখে যেন গভীর সময়ের ছাপ।

মাহি প্রথমে ভেবেছিল লোকটি রাগী হবে, কিন্তু তার অমায়িক ব্যবহারে মুগ্ধ হয়।

"হ্যাঁ!" বলে মাহি।

"আমাদের গলিতে আপনাদের এই দোকান-তো কখনো দেখিনি!" চোখে-মুখে বিস্ময় ফুটে ওঠে তার।

দোকানদার হাসে। "এই দোকান সবার জন্য নয়।" বলে আবার কাজে মনোযোগ দেয়।

"কী চা খাবে? রং চা নাকি দুধ চা?" গরম পানি দিয়ে চায়ের কাপ পরিষ্কার করতে করতে বলে।

"আমি জিজ্ঞেস করছি, এই দোকান এখানে তো কখনো দেখিনি! আজ সকালেও এই রাস্তা দিয়ে গিয়েছি!" উঁচু গলায় জিজ্ঞেস করে মাহি।

দোকানদারের ঠোঁটের কোণে খেলে যায় রহস্যময় এক হাসি। তার দাঁতগুলো অস্বাভাবিকভাবে সাদা—মানুষের দাঁত এত সাদা হয় নাকি? ভাবে মাহি।

"এক কাপ চা খাও, তাহলে সব বুঝতে পারবে," বলে দোকানদার।

মাহি বুঝতে পারে, দোকানদার নাটকীয়তা পছন্দ করে। এ ধরনের মানুষ কোনো কিছুরই সোজাসুজি উত্তর দেয় না।

"চা দিন," হাল ছাড়ার ভঙ্গিতে বলে মাহি।

"দুধ চা নাকি রং চা?" পুনরায় জিজ্ঞেস করে দোকানদার।

"রং চা," হতাশ গলায় বলে মাহি।

দোকানদার কড়া রং চা এগিয়ে দিয়ে বলে, "স্পেশাল টি। মৃত্যুর স্বাদ নিয়ে তৈরি!"

মাহি চায়ের কাপে চুমুক দিতেই মাথার ভিতর দৃশ্যগুলো ভেসে ওঠে—

সে হাসপাতালের শয্যায়, ডাক্তাররা বলছে "টাইম অফ ডেথ—১২:০৩ AM"

তার শবযাত্রা, মায়ের হৃদয়বিদারক কান্না

"আমি মারা গেছি?!" মাহি চিৎকার করে ওঠে।

২।
“তুমি মারা যাওনি।” বলেই রহস্যময় হাসি দেয় দোকানি!

মাহির উত্তরের অপেক্ষা না করেই বলে “দেয়ার ইজ নো রিয়েল ডেথ!

মাহির বুক কাপতে থাকে “বুঝলাম নাহ!”

“মৃত্যু বলে কিছু নেই বালক! এটাকে নব যাত্রা বলতে পার!”

“মানে” জিজ্ঞেস করে মাহি।

কিছুটা বিরতি নিয়ে বলে দোকানী “মৃত্যু শুধু মানবদেহের সাথে সম্পর্কিত। দেহের মৃত্যু হয়, কিন্তু মানুষের যাত্রা এখানেই শেষ নয়!”

থামে আবার বলে “কোয়ান্ট্রাম মেকানিক্স বলে একটি বস্তু একই সাথে একাধিক অবস্থায় থাকতে পারে - যাকে বলে সুপারপজিশন। কোনো বস্তু ঠিক কোন অবস্থানে আছে তা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা যায় না, কারণ প্রতিটি পর্যবেক্ষণেরই একটি সম্ভাব্য পরিসর বাঁ সময় থাকে থাকে!

মাহি বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তার এখন দুখ পাওয়া উচিৎ নাকি খুশি হওয়া ঠিক বুঝতে পারছে না!

দোকানি হাসে, পূনরায় বলে "তাই মৃত্যুই সব নয়, কোয়ান্ট্রাম মেকানিক্সের ভাষায় একটি পর্যবেক্ষণের সুন্দর সমাপ্ত মাত্র, আরো পর্যবেক্ষণ বাকি আছে!"

তার মাথা দুলতে থাকে! মাথা চুলকে জিজ্ঞেস করতে যাবে ঠিক তখনই দোকানী বলে “ধর মানুষ যখন বলে আমি কে? ঠিক তখনই তার মস্তিস্কে ২০-ওয়াটের একটি শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে, সেই শক্তি মৃত্যুর সময় নিশ্চিহ্ন হয় না। ”

মাহির মাথায় অনেক কিছু ঘুরতে থাকে, মুখ ফসকে ছোট্র করে বলে “বুঝলাম নাহ।"

“শক্তির মৌলিক নীতি হলো, শক্তি কখনো মরে না। এটিকে তৈরি বা ধ্বংসও করা যায় না। কিন্তু এই শক্তি কি এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে স্থানান্তরিত হয়? বলে দোকানী!

প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে মাহি জিজ্ঞেস করে “আপনি কে ? আর এটা কোন জায়গা?”

“আমি ধর কোয়ান্ট্রাম মেকানিক্সের সুপারপজিশনের রক্ষক!” দোকানীর মুখে রহস্যের ছাপ!

আরো কিছু জিজ্ঞেস করতে যায় তখনই দরজায় কলিং বেলের শব্দ! দোকানী এগিয়ে যায় দরজার দিকে!

৩।
দরজা ঠেলে তরুনী ঢুকে ভিতরে। বৃষ্টিতে ভিজে একাকার অবস্থা, হাতে ছাতা ভাজ করতে করতে বলে “এই এলাকায় ছয় মাস হয় থাকি। এই চায়ের দোকানতো দেখিনি?”

দোকানী উত্তর না দিয়ে টেবিল দেখিয়ে দিয়ে পূনরায় চা বানাতে গেল। তরুনী অবাক হয়ে দোকানের চারপাশটা দেখতে দেখতে মাহির টেবিলের দিকে এগিয়ে যায়।

ওদিকে মাহি গভীর বিষাদ নিয়ে বসে আছে। সে স্মৃতিতে চোখ বুলায়। মাহি একটি স্কুলে পদার্থ বিজ্ঞান পড়ায়, বয়সে তরুন । জীবনে কি সুন্দর একটা স্বপনই না ছিল তার। সব কিছুই কেমন জানি এলোমেলো হয়ে গেল । বাবা নেই, মার চেহারাটা আর দেখা হবে না তার, ভাবতেই বুকের ভেতরটা কেমন জানি ধক করে উঠল । মার সাথে বিয়ের কনে দেখতে যাবার কথা ছিল আজ । তাই স্কুল শেষে তাড়াতাড়ি বের হয়েছিল । বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় সর্বনাশা গাড়িটা রাস্তা মনে করে ওর ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিল। তারপর সব শেষ । আচ্ছা ওর মা এখন কি করছে ? মাহি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ল।

"এই দোকানকি আগে দেখেছেন?" একটি চেয়ার নিজের কাছে টেনে বসতে বসতে বলল তরুনী।

মাহির সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।

তরুনী পূনরায় বলে “শুনতে পারছেন, আমি এই এলাকায় ছয় মাস হল থাকি কিন্তু এই দোকান কখনই দেখিনি!”

এবার তরুনীর কথায় চিন্তায় ছেদ পড়ল মাহির। তার দিকে তাকিয়ে বলল “আপনি কোথায় থাকেন?”

“এইতো এই সিলেটে শহরেই থাকি ছ-মাস হল, কিন্তু কখনই এই দোকানটি দেখিনি। “

ধাক্কা খায় মাহি কারন সে ঢাকায় থাকে, সে ভাবছিল এই দোকানটি ঢাকায় তার এলাকায়! আসলেই কি তারা এই পৃথিবীর কোন দোকানে আছে? নাকি সময় এবং স্থানের বাইরে কোথাও যেখানে সময়, স্থান বলতে কিছুই নেই। আছে শুধু কোয়ান্ট্রাম মেকানিক্সের সুপারপজিশন!

“কি ব্যাপার কিছু বলছেন না?” হাতে তুড়ি মেরে মাহির দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে বলে তরুনী!

“আপনি মারা গেছেন।“ ভনিতা না করেই বলে মাহি।

তরুনী ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে “আপনার মাথায় সমস্যা আছে?”

ততক্ষনে দোকানী চা নিয়ে আসে। এগিয়ে দেয় তরুনীর দিকে।

"চা টা খান তাহলেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে" বলেই দোকানের ফাক দিয়ে আনমনে তাকায় মাহি।

৪।
"ঘটনাটি কিভাবে ঘটল?" জিজ্ঞেস করে মাহি।

তরুণী ততক্ষণে চায়ে চুমু দিয়ে রেখে দিয়েছে কাপটি। তার সব কিছুই মনে পড়ছে। তার চোখে পানি! মাহির কথা তার কানে ঢুকছে না।

"আমি গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছি। তারপর আর কিছু মনে নেই। আপনি এলেন কিভাবে?" পুনরায় বলে মাহি।

"এখন কান্না করে লাভ নেই!" শান্তনার ভঙ্গিতে বলে মাহি।

তরুণী বলে, "জীবনটা এভাবে থেমে যাবে ভাবিনি!" দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

"তারপর বিয়ে করেছেন?" পরিস্থিতি কিছুটা হালকা করার জন্য বলে মাহি।

লোকটির প্রশ্ন শুনে তরুণীর প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। এই রকম পরিস্থিতিতে কেউ কি বিয়ের কথা জিজ্ঞেস করতে পারে! লোকটার কমন সেন্স বলতে কিছুই নেই! রাগে চুপ করে রইল তরুণী।

"আমার প্রশ্ন শুনে কি মাইন্ড করলেন! আসলে ভয় বা চিন্তা করেই বা কি হবে বলেন! কপালে যা আছে তাই হবে! আমরা এখন সুপার পজিশনে আছি। যা হবার পরে দেখা যাবে! কি বলেন?"

"আপনি মনে হয় খুব ফুর্তিতে আছেন! কোন কথা বলবেন না আমার সাথে।" কিছুটা রেগে বলল তরুণী।

"আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন? টেক ইজি! আমরা কিই বা করতে পারি এখানে! আমাদের কোন কিছুতেই হাত নেই।"

তরুণী এবার চোখ গরম করে তাকাল মাহির দিকে। মাহি কিছু বলতে গিয়েও ভয়ে কিছু বলল না!

"আচ্ছা আমাদের এখন কি হবে?" বলল তরুণী।

"জানি না! ভয় লাগছে?" জিজ্ঞেস করে মাহি।

"হ্যাঁ! জানেন আমি বাবা-মার একমাত্র মেয়ে। যখন যা চাইতাম তাই তারা দিতেন। আমার জন্য তারা অনেক করেছেন। তাদের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে, কেমন জানি ভয় লাগছে আমার। এই জগতটা এত নীরব কেন? আমাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে!" বলেই তরুণী কেঁদে উঠল।

মেয়েটার জন্য মাহির কেন জানি গভীর মায়া অনুভূত হল। পরম মমতায় মেয়েটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে চেয়েও কি মনে করে যেন দিল না। এভাবেই কথা বলতে বলতে ওরা দুজন দুজনের অনেক কথা শেয়ার করল। অপেক্ষায় কেটে গেল অনেকটা সময়। আস্তে আস্তে ওদের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকল। হঠাৎ দোকানদার দূর থেকে ডেকে বলল, "তোমাদের দুইজনের নামে চিঠি এসেছে।"

কেঁপে উঠল দুজন। নিশ্চয়ই কোন একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে, তাদের কি কোথাও নিয়ে যাবে? আচ্ছা ওদের কি পালানো উচিত? না এখান থেকে পালানোর কোন উপায় নেই! তাদের যে যেতেই হবে! নিয়তি কাউকেই পরোয়া করে না। সে তার আপন গতিতে বয়ে চলে গন্তব্যের দিকে।

৫।

মাহি চিঠিটি নিয়ে পড়তে পড়তে এগিয়ে আসছে নিজেদের টেবিলে। চিঠিটি পড়েই উত্তেজনায় ঘামছে মাহি!

"কি হয়েছে?" জিজ্ঞেস করল তরুণী।

"এভরিথিং ইজ ফেয়ার হিয়ার।"

"মানে?"

"চিঠিটি পড়ে দেখেন! আপনি যদি মনে করেন আপনার এই জগতে আসাটা ভুলবশত হয়েছে বা এখনই আসাটা ফেয়ার হয়নি তাহলে আপিল করতে পারেন!"

"একটু বুঝিয়ে বলবেন?" কৌতূহলী হয়ে বলল তরুণী।

"প্যারালাল জগত বলে একটা কথা আছে। আপনার আমার মত অবিকল মানুষ প্যারালাল জগতে বাস করে। এমনও হতে পারে ভুলবশত আমাদের এখানে আনা হয়েছে। হয়তবা অন্য জগতের আমাদের মত কাউকে আনতে গিয়ে আপনাকে আর আমাকে এখানে আনা হয়েছে!"

তরুণীর চোখ দুটি খুশীতে চক চক করে উঠল। যেন অতল সাগরে এক টুকরো কাঠ পেলে আঁকড়ে ধরার জন্য।

"যদি ভুলবশত আমাদের নিয়ে আসা হয়। তাহলে আবার ফিরত দিয়ে দিবে।" বলে মাহি।

থামে মাহি, বলে "কিন্তু?"

"কিন্তু কি?" জিজ্ঞেস করে তরুণী।

"আমরা এখানকার কিছুই মনে করতে পারব না।" বলে মাহি।

তরুণীর কেন জানি মনটা খারাপ হয়ে গেল! আচ্ছা সে যদি আগের জগতে ফিরে যায় তাহলে কি মাহিকে ভুলে যাবে? এই প্রথম একটা মানুষকে তার ভাল লেগেছে অথচ নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিণতি, জীবনে ফিরে গেলে তাকে দেখলেও আর মনে করতে পারবে না। মাহির মত প্রাণবন্ত মানুষ জীবনে দ্বিতীয়টি দেখেনি তরুণী! আচ্ছা তার মত মাহিও কি তাকে একই ভাবে ফিল করছে! কে জানে!! ভাবে তরুণী।

"আমার নাম রিয়া।" নাম না জিজ্ঞেস করলেও বলে তরুণী।

মাহি তাকায় রিয়ার দিকে। রিয়ার চোখ ছল ছল করছে!

৬।

তিন বছর পর।

ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় চায়ের দোকানে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ধাক্কা খেল দুজন ছেলে-মেয়ে। ছেলেটি উঠে মেয়েটিকে পাশ কাটিয়ে যাবার সময় কেন জানি যেতে পারল না! মেয়েটিকে কেমন জানি চেনা চেনা মনে হল তার! মনে হচ্ছে জন্ম জন্মান্তরের পরিচিত তারা!

"হাই, আমি মাহি। আপনাকে কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে, মনে হচ্ছে আমরা আগে থেকেই পরিচিত!" বলল ছেলেটি।

"আমি রিয়া!" বিস্ময়ে চেয়ে আছে রিয়া। ওর কাছেও ছেলেটিকে কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে। বুকের ভিতরটা কেমন জানি টিক টিক করছে!

কবি সাহিত্যিকেরা প্রায় তাদের লেখায় লেখেন এমন মেয়ে বা ছেলেকেই বিয়ে কর যাকে দেখলেই মনে হয় অনেক দিনের চেনা! আমাদের জীবনে এমন কেউ না কেউ আসে যাকে দেখলে মনে হয় জন্ম জন্মান্তরের পরিচিত আমরা। কে জানে এর মাঝেও লুকিয়ে আছে এমনই কোন আত্মিক বন্ধন বা অজানা কোন কাহিনী।

বিঃদ্র – চায়ের দোকানে সেই রাতে মাহি এবং রিয়া দুজনই আপিল করেছিল ! মানুষের বড় বৈশিষ্ট্য তারা সমস্ত আশা শেষ হবার পরও আশা করতে পারে । তারা ভাগ্যক্রমে সেই যাত্রায় ফিরে এসেছিল এই পৃথিবীতে। (সমাপ্ত)

আমার লেখা সায়েন্স ফিকশানঃ

কল্প গল্প
কল্প-গল্প : অনন্ত নীহারিকার মাঝে (পর্ব দুই এবং শেষ)
কল্প-গল্প : অনন্ত নীহারিকার মাঝে (১ম পর্ব )
কল্প-গল্প : যান্ত্রিক ভালোবাসা
কল্প-গল্প : বৃত্ত
কল্প-গল্প : মানুষ থেকে অতিমানব হয়ে উঠার গল্প
কল্প-গল্প : বিটা ওয়ানের ভালবাসা
কল্প-গল্প : কেথির জন্য ভালবাসা
কল্প-গল্প : সত্যিকারের ইথান
কল্প-গল্প : এপিসোড নাম্বার তেরো
কল্প-গল্প : স্যাম্পল নাম্বার তিরানব্বই
কল্প-গল্প : গামা লেভেল
কল্প-গল্প : আলফা-স্পেস
কল্প-গল্প : নিয়ন
কল্প-গল্প: ওমেগা ক্যারেকটার


আমার ১ম উপন্যাসঃ
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব এক )
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব দুই)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব তিন)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব চার)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব পাঁচ)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব ছয়)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব সাত)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব আট)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব নয়)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব দশ)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব এগার)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব বার এবং সমাপ্ত)

আমার ২য় উপন্যাসঃ
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব এক )
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব দুই)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব তিন)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব চার)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব পাচ)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব ছয়)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব সাত)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব আট)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব নয়)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব দশ)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: ডায়েরি (পর্ব এগারো এবং শেষ)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×