প্রথমেই বলে নেই, শিরনামে যদিও আমি লিখেছি বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, তথাপি এটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে এই ফুলের বাংলা কোনো নাম এখনো রাখা হয়নি। তবে এর খুবই কাছের আরেক প্রজাতি Cassia javanica এর বাংলা নাম রাখা হয়েছে লাল সোনাইল। এই নামটি রেখেছিলেন অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা। সাধারন চোখে এদের আলাদা করতে পারা খুবই কঠিন। আসলে বলা ভালো অন্ততো চারটি ফুল রয়েছে এই প্রজাতির যাদের Scientific নাম আলাদা (Cassia x nealiae, Cassia javanica subsp. agnes, Cassia renigera, Cassia agnes) হলেও ফুলের আকার, ধরন, রং, প্রকৃতি প্রায় একই রকম। এদের আলাদা করতে পারাটা খুবই কঠিন।
তো যাইহোক, আজকে আমরা যে ফুলটি দেখছি সেটি আসলে Cassia renigera ফুল। আমি মোটামুটি ৯০% নিশ্চিত যে এটি Cassia renigera, তবে বাকি ১০% সম্ভবনা আছে Cassia grandis হওয়ার। তা Scientific নাম যাইহোকনা কেনো, এই পোস্টে একে আমরা বার্মিজ গোলাপি সোনাইল নামেই ডাকবো। যদি কখনো এর কোনো বাংলা নাম পাওয়া যায় তখন এটি বদলে দিতে হবে।
Common Name : Pink Cassia Java Cassia, Pink And White Shower, Apple Blossom Cassia, Apple Blossom Tree, Pink Shower, Nodding Cassia, Burmese pink Cassia, Burmese Senna, Common Pink Cassia, Deciduous Cassia, Rainbow Shower Tree, Coral Shower Tree, Pink shower tree, Horse cassia, Stinking-toe.
Scientific Name : Cassia renigera / Cassia grandis
বার্মিজ গোলাপি সোনাইল বহুবর্ষজীবী মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ। এই গাছ দ্রুত বর্ধনশীল। অল্প কয়েক বছরের মর্ধেই বেশ বড় হয়ে উঠে এবং ফুল ফুটতে শুরু করে। গাছ গুলি মাঝারি আকৃতির হয়। সধারনত ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। গাছ মোটামুটি ছড়ানো হয়। আসলে এই গাছের ফুল, পাতা, গাছের আকৃতি, পাতার বিন্যাস সব কিছুই দেখতে দৃষ্টিনন্দন।
শীতকালে গাছের পাতা ঝরতে শুরু করে। গ্রীষ্মের শুরুতে কচিপাতার সঙ্গে হালকা গোলাপি রঙের ফুল গাছের ডাল জুড়ে ঘনো হয়ে ফোটে। গাছের প্রায় সব ডালেই সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে অসংখ্য ফুল ফোটে। প্রায় গোটা গাছটাই ফুলে ফুলে ভরে ছেয়ে যায়। তাজা ও বাসি ফুলের রং আলাদা হয়। ফলে তাজা ও বাসি ফুল মিলেমিলে চমৎকার বর্ণ বৈচিত্রের সৃষ্টি করে। ফুলের আকর্ষণে মৌমাছি, প্রজাপতি আর ছোট পাখিরা ছুটে আসে।
ফুল প্রায় ৩ সেন্টিমিটার চওড়া। ফুলে সুবাস রয়েছে। ফুলের পাপড়ি ও পুংকেশর অসমান।
বার্মিজ গোলাপি সোনাইল গাছের ফল লম্বা, গোল লাঠির মতো। অনেকটাই সোনালু বা বান্দর লাঠির মতোই। ফলের ভিতরে ছোট ছোট প্রচুর বীজ থাকে। গাছের বংশবিস্তার ঘটে বীজের মাধ্যমে।
ছবি তোলার স্থান : হাতিরঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৮ই মার্চ ২০১৭ ইং
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল লতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লালকাঞ্চন
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================