সেই ছোট বেলায় আমার এক জেঠার (বাবার বড় ভাইয়ের) বাড়িতে মাটির ঘরের দেয়াল ঘেসে একটি বিষেশ পুর্তলিকার বেড করা ছিলো। ছোট ছোট গোলাপের মতো গাঢ় রঙের ফুলগুলি সারা বেড জুড়ে যখন ফুটতো তখন শুধু তাকিয়েই থাকতে হতো। কতবার সেখান থেকে একটি দুটি গাছ তুলে এনে লাগিয়েছি আমি আমার বাসায়।
আমরা বলতাম ঘাস ফুল। ফুল ছাড়া এদের গাছ দেখতে ঘারের চেয়ে বেশী কিছু মনে হওয়ার কারণ নেই। তাই ঘাস ফুল নামটাই এদের জন্য মামান সই। তাছাড়া টাইম ফুলও বলতাম, কারণ এরা নির্দিষ্ট সময় ধরে ফোটে।
এই পুর্তলিকার কত রকমের প্রজাতি আছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তার ফুলের ধরন, রং, গঠনে অনেক পার্থক্য আছে। লাল, গোলাপি, সাদা, খয়েরি, বেগুনি, মিশ্র ইত্যাদি অজস্র রঙের পর্তুলিকা আছে। পার্থক্য আছে গাছের ও পাতার মধ্যে। পার্থক্য আছে ফুলের পাপড়ির সংখ্যা ও আকারের মধ্যেও। কারো কারো সাইন্টেফিক নামও আলাদা। আজকে যে ফুলটির ছবি দিচ্ছি সেটি হচ্ছে -
পুর্তলিকা
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : পর্তুলিকা, পুত্তলিকা, ঘাস ফুল, টাইম ফুল, গুল দোপেহেরি (উর্দু),
Common Name : Wingpod Purslane, Portulaca, Moss rose
Scientific Name : Portulaca umbraticola
প্রথমে বীজ থেকে এই ফুলের গাছ হয়। তারপর একটু বড় হলে ডাল ভেঙ্গে লাগিয়ে দিলেই নতুন গাছ হতে থাকে। তবে চারা করার জন্য ২ ইঞ্চি ডাললাগানোই সবচেয়ে ভালো। ডাল মাটিতে লাগানোর আগে পানিতে এক দিন ভিজিয়ে রাখলে সেখানে শিকার গজানো সহজ হয় এবং সহজেই চারা হয়। তবে প্রথম দুই একদিন ছায়ার ব্যবস্থা করতে হয়। এভাবেই ফুল গাছের সংখ্যা বাড়ানো হয়। খবু অল্প দিনের মথায় গাছে ফুল আসে। তবে গাছ বেশি বড় হয়ে গেলে মাথা চিকন হয়ে যায় এবং ফুলের পরিমানও কমে যায়। তখন গাছের আগা কেটে দিলে আবার নতুন ডাল জন্মে ও ফুলের পরিমানও বারে।
ঝুরঝুরে মাটিতে পর্তুলিকা ভালো জন্মে। সামান্য শুকনো গোবর সার দিলেই হয়। পর্তুলিকা গাছ যতো ভালো রোদ পাবে গাছে ততো বেশি ফুল ফুটবে এবং ফুলের রঙও ততো সুন্দর হবে।
ছবি তোলার স্থান : আশ্রম, নাগরি, গাজীপুর, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ৩০/০৫/২০২২ ইং
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী,
এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা)
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত অকন্দ
সুলতান চাঁপা, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৪
রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪, রাতের গোলাপ - ০৫
অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
জারবেরা-২
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দাদমর্দন-৫, দোলনচাঁপা-২
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫
বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪
শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল,
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৭, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৮
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৯, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১০, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১২
=================================================================