বেশ কয়েক বছর আগের কথা। নরসিংদীর একটি গ্রামের ভিতরে গিয়েছি একটি জমিদার বাড়ি দেখতে। গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা পথ পায়ে চলা মেঠো পথে হেঁটে পৌছতে হয় জমিদার বাড়িটির সামনে। এই মেঠো পথের ধারে একটি বুনফুল ফুটে আছে। নীলচে বেগুনী রঙের সুন্দর একটি ফুল। দেখতে খুবই চমৎকার। তারচেয়েও চমৎকার তার নাম "রুয়েলিয়া"। বাংলা নামটিও বেশ "পটপটি"।
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : এর আরো কোনো আঞ্চলিক নাম আমার জানা না নেই। তবে Scientific নামের প্রথম অংশ রুয়েলিয়া নামেই শহুরে লোকেরা চেনেন একে।
Common Name : Waterkanon, Watrakanu, Minnie Root, Iron root, Feverroot, Popping pod
Scientific Name : Ruellia tuberosa এবং
Scientific Name : Ruellia simplex
রুয়েলিয়া মূলত এক প্রকারের বনফুল। বনফুল না বলে পথ ফুল বললেই বরং বেশী মানাতো। রাস্তা ধারেই ফুটে থাকে রুয়েলিয়া। বর্ষা শুরুর পরই গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং সারাবছরই ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে শীত কালে ফুলর ফোটার পরিমান বেশী থাকে। পড়ির উপরের অংশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত। ফুল ফোটে সকালবেলা এবং দুপুর হলেই ঝড়ে পরে। জংলা-ছায়া ঘেরা পরিবেশে ভালো জন্মায়। সাধারণত দলবেঁধে একসাথে অনেকগুলি গাছ অনেকটুকু যায়গা জুড়ে জন্মে। এরা বর্ষজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। ষোড়শ শতাব্দীতে এই দেশে এসেছে।
আগেই বলেছি ভালো কোনো আঞ্চলিক নাম নেই। বলা হয় এদের ফল বা বীজাধার পরিপক্ক হলে পট-পট শব্দ করে ফেটে যায় বলে একে পটপটি নামে ডাকে বাংলার গ্রামাঞ্চলের লোকেরা। ফলের আকার প্রায় ১ ইঞ্চি লম্বা, প্রতিটি ফলে প্রায় ৮ থেকে ১০ টির মতো বীজ থাকে। ফল পরিপক্ক হওয়ার পর পানির সংস্পর্শে এলে শব্দ করে ফেটে যায় ও বীজ ছড়িয়ে পরে। সেই বীজ থেকেই কোনো রকম যত্ন ছাড়াই চাড়া গজায় এবং এভাবেই চলতে থাকে।
রুয়েলিয়া বনফুল হলেও বাগানে এর কদর একেবারে কম নয়। অনেক প্রকারের রুয়েলিয়া দেখতে পাওয়া যায়। তাদের ফুলের আকার, গড়ন, রং এবং গাছ ও গাছের পাতার মধ্যেও অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে আজকে আমরা আলোচনা করছি মূলতো রুয়েলিয়া টিউবারোসা নিয়ে। এদেরই আমেদের দেশে বেশী দেখা যায়। এই গাছগুলির পাতা উপবৃত্তাকার। তবে প্রায় একই রকম দেখতে রুয়েলিয়া ফুলের আরো প্রজাতি আছে যাদের পাতা দেখতে সরু ও বেশ লম্বা। পাতার আগা বর্শার ফরার মতো চোখা। এদের ফুলের আকার আকৃতি একই রকম হলেও এরা বেগুণী, গোলাপী, হালকা গুলাপী, সাদা ইত্যাদি বিভিন্ন রং এর হয়ে থাকে। এদের Scientific Name : Ruellia simplex. এটি ভাড়াও Ruellia nudiflora নামের ফুলটিও বেশ দেখতে পাওয়া যায়।
গাছের শিকড় মূত্রনালীর পাথর অপসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। একটি মূত্রবর্ধক, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক, গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভ এবং গনোরিয়া চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। পাতার রস কণ্ঠনালীর রোগে ব্যবহার করা হয়।
ছবি তোলার স্থান ও সময় : বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় ছবিগুলি তুলেছি আমি।
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
ফুলেদের কথা
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী,
এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, গামারি, গামার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু
ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি)
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা,
ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া
তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা
ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা
ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত অকন্দ
সুলতান চাঁপা, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
=================================================================
ফুলেদের ছবি
ফুলের রাণী গোলাপ - ০১, ফুলের রাণী গোলাপ - ০২, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৪
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৫, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৬, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৭, ফুলের রাণী গোলাপ - ০৮
ফুলের রাণী গোলাপ - ০৯, ফুলের রাণী গোলাপ - ১০, ফুলের রাণী গোলাপ - ১১, ফুলের রাণী গোলাপ - ১২
ফুলের রাণী গোলাপ - ১৩, ফুলের রাণী গোলাপ - ১৪
রাতের গোলাপ - ০১, রাতের গোলাপ - ০২, রাতের গোলাপ - ০৩, রাতের গোলাপ - ০৪, রাতের গোলাপ - ০৫
অর্কিড-২, অর্কিড-৩, অর্কিড-৪, অর্কিড-৫
কচুরিপানা ফুল-২, কসমস-২, কসমস-৩, কসমস-৪, কসমস-৫, কসমস-৬, কর্ণফ্লাওয়ার-২,
গ্লুকাস ক্যাসিয়া-২, গ্লুকাস ক্যাসিয়া-৩, গোলাপি আমরুল-২,
ডালিয়া-২, ডালিয়া-৩, ডালিয়া-৪,
দাদমর্দন-২, দাদমর্দন-৩, দাদমর্দন-৪, দাদমর্দন-৫, দোলনচাঁপা-২
পপী-২, পপী-৩, পপী-৪, পপী-৫
বোতল ব্রাশ-২, বোতল ব্রাশ-৩, বোতল ব্রাশ-৪
শিমুল গাছে আগুন, অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল,
=================================================================
গাছেদের কথা
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০২, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৩, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৪
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৫, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৬, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৭, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৮
গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ০৯, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১০, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১১, গাছ-গাছালি; লতা-পাতা - ১২
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৫