নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark, sentery Rose Bay, Tellicherry Bark
Scientific Name : Holarrhena pubescens

মহাকবি কালীদাস তার মেঘদূত মহাকাব্যতে কুর্চিকে বলেছেন কূটজ -

"স প্রত্যগ্রৈঃ কুটজকুসুমৈঃ কল্পিতার্ঘায তস্মৈ
প্রীতঃ প্রীতিপ্রমুখবচনং স্বাগতং ব্যাজহার .."



আসন্ন শ্রাবণ মাস, দয়িতা জীবন।
কেমনে বাঁচাবে, তাই, করিল মনন।।
দূত করি পয়োমুচে দয়িতা সদন।
স্বকীয় কুশল বার্ত্তা করিবে প্রেরণ।।
কুটজ কুসুমে অর্ঘ্য সাজাইয়া ক্ষণে।
মেঘেরে স্বাগত দেয় বিনম্র বচনে।।




কুরচির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম পরিচয়ের কথা তিনি লিখে গেছেন এই ভাবে -
অনেককাল পূর্বে শিলাইদহ থেকে কলকাতায় আসছিলেম। কুষ্টিয়া স্টেশনঘরের পিছনের দেয়ালঘেঁষা এক কুরচিগাছ চোখে পড়ল। সমস্ত গাছটি ফুলের ঐশ্বর্যে মহিমান্বিত। চারি দিকে হাটবাজার; এক দিকে রেলের লাইন, অন্য দিকে গোরুর গাড়ির ভিড়, বাতাস ধুলোয় নিবিড়। এমন অজায়গায় পি. ডব্লু. ডি-র স্বরচিত প্রাচীরের গায়ে ঠেস দিয়ে এই একটি কুরচিগাছ তার সমস্ত শক্তিতে বসন্তের জয়ঘোষণা করছে-- উপেক্ষিত বসন্তের প্রতি তার অভিবাদন সমস্ত হট্টগোলের উপরে যাতে ছাড়িয়ে ওঠে এই যেন তার প্রাণপণ চেষ্টা। কুরচির সঙ্গে এই আমার প্রথম পরিচয়।

সেই শুরু, এরপরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অনেক অনেক কবিতায় কুর্চির বন্দনা করেছেন।



ভ্রমর পদ্মকে ভুলে কুর্চির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। সে অপরাধে অপরাধী হয় কুর্চি। অপরাধ তার আরও ছিল। স্বর্গের নন্দনকাননে শ্বেতশুভ্র ফুলের প্রতীক ছিল কুর্চি। কুরচি আন্দোলিত হত নৃত্যরতা অপ্সরীর মণিবন্ধে। এক বেদেনী তাকে চুরি করে নিয়ে আসে পৃথিবীতে। কুর্চির এই কাহিনী নিয়ে মস্ত একটি কাব্য রচনা করেছেন রবীবাবু -

কুরচি, তোমার লাগি পদ্মেরে ভুলেছে অন্যমনা
যে ভ্রমর, শুনি নাকি তারে কবি করেছে ভর্ৎসনা।
আমি সেই ভ্রমরের দলে। তুমি আভিজাত্যহীনা,
নামের গৌরবহারা; শ্বেতভুজা ভারতীয় বীণা
তোমারে করে নি অভ্যর্থনা অলংকারঝংকারিত
কাব্যের মন্দিরে। তবু সেথা তব স্থান অবারিত,
বিশ্বলক্ষ্মী করেছেন নিমন্ত্রণ যে প্রাঙ্গণতলে
প্রসাদচিহ্নিত তাঁর নিত্যকার অতিথির দলে।
আমি কবি লজ্জা পাই কবির অন্যায় অবিচারে
হে সুন্দরী। শাস্ত্রদৃষ্টি দিয়ে তারা দেখেছে তোমারে,
রসদৃষ্টি দিয়ে নহে; শুভদৃষ্টি কোনো সুলগনে
ঘটিতে পারে নি তাই, ঔদাস্যের মোহ-আবরণে
রহিলে কুণ্ঠিত হয়ে।

তোমারে দেখেছি সেই কবে
নগরে হাটের ধারে, জনতার নিত্যকলরবে,
ইঁটকাঠপাথরের শাসনের সংকীর্ণ আড়ালে,
প্রাচীরের বহিঃপ্রান্তে। সূর্যপানে চাহিয়া দাঁড়ালে
সকরুণ অভিমানে; সহসা পড়েছে যেন মনে
একদিন ছিলে যবে মহেন্দ্রের নন্দনকাননে
পারিজাতমঞ্জরির লীলার সঙ্গিনীরূপ ধরি
চিরবসন্তের স্বর্গে, ইন্দ্রাণীর সাজাতে কবরী;
অপ্সরীর নৃত্যলোল মণিবন্ধে কঙ্কণবন্ধনে
পেতে দোল তালে তালে; পুর্ণিমার অমল চন্দনে
মাখা হয়ে নিঃশ্বসিতে চন্দ্রমার বক্ষোহার-'পরে।
অদুরে কঙ্কররুক্ষ লৌহপথে কঠোর ঘর্ঘরে
চলেছে আগ্নেয়রথ, পণ্যভারে কম্পিত ধরায়
ঔদ্ধত্য বিস্তারি বেগে; কটাক্ষে কেহ না ফিরে চায়
অর্থমূল্যহীন তোমা-পানে, হে তুমি দেবের প্রিয়া,
স্বর্গের দুলালী। যবে নাটমন্দিরের পথ দিয়া
বেসুর অসুর চলে, সেইক্ষণে তুমি একাকিনী
দক্ষিণবায়ুর ছন্দে বাজায়েছ সুগন্ধ-কিঙ্কিণী
বসন্তবন্দনানৃত্যে-- অবজ্ঞিয়া অন্ধ অবজ্ঞারে,
ঐশ্বর্যের ছদ্মবেশী ধূলির দুঃসহ অহংকারে
হানিয়া মধুর হাস্য; শাখায় শাখায় উচ্ছ্বসিত
ক্লান্তিহীন সৌন্দর্যের আত্মহারা অজস্র অমৃত
করেছে নিঃশব্দ নিবেদন।

মোর মুগ্ধ চিত্তময়
সেইদিন অকস্মাৎ আমার প্রথম পরিচয়
তোমা-সাথে। অনাদৃত বসন্তের আবাহন গীতে
প্রণমিয়া উপেক্ষিতা, শুভক্ষণে কৃতজ্ঞ এ চিতে
পদার্পিলে অক্ষয় গৌরবে। সেইক্ষণে জানিলাম,
হে আত্মবিস্মৃত তুমি, ধরাতলে সত্য তব নাম
সকলেই ভুলে গেছে , সে নাম প্রকাশ নাহি পায়
চিকিৎসাশাস্ত্রের গ্রন্থে, পণ্ডিতের পুঁথির পাতায়;
গ্রামের গাথার ছন্দে সে নাম হয় নি আজও লেখা,
গানে পায় নাই সুর। সে নাম কেবল জানে একা
আকাশের সূর্যদেব, তিনি তাঁর আলোকবীণায়
সে নামে ঝংকার দেন, সেই সুর ধুলিরে চিনায়
অপূর্ব ঐশ্বর্য তার; সে সুরে গোপন বার্তা জানি
সন্ধানী বসন্ত হাসে। স্বর্গ হতে চুরি করে আনি
এ ধরা, বেদের মেয়ে, তোরে রাখে কুটির-কানাচে
কটুনামে লুকাইয়া, হঠাৎ পড়িস ধরা পাছে।
পণ্যের কর্কশধ্বনি এ নামে কদর্য আবরণ
রচিয়াছে; তাই তোরে দেবী ভারতীর পদ্মবন
মানে নি স্বজাতি বলে, ছন্দ তোরে করে পরিহার--
তা বলে হবে কি ক্ষুণ্ন কিছুমাত্র তোর শুচিতার।
সূর্যের আলোর ভাষা আমি কবি কিছু কিছু চিনি,
কুরচি, পড়েছ ধরা, তুমিই রবির আদরিণী।




কুর্চির আদি নিবাস ভারতবর্ষে। এটি হিমালয়ে ১৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পাওয়া যায়। এরা মাঝারি আকৃতির বৃক্ষ। এদের কাণ্ড সরল, অজস্র ঊর্ধ্বমুখী এলোমেলো শাখায় আর পাতায় প্রায় ঝোপালো গাছ। কুর্চি পত্রঝরা বৃক্ষ, শীতে পাতা ঝরে পত্রহীন হয়ে পরে কুর্চির ডালগুলি। ফাল্গুনের শেষভাগে ছাড়া ছাড়া ভাবে গুচ্ছে গুচ্ছে সাদা কুর্চি ফুল ফুটতে শুরু করে। গ্রীষ্মব্যাপী গাছে ফুল থাকে। বসন্তে নিষ্পত্র কুর্চির ডালে ডালে শোভা পায় তুষারধবল ফুল। আর তারপরেই গ্রীষ্মে সবুজ পাতার সাথে লুকোচুরি করে মিলে মিশে মায়াবী রূপে আকর্ষিত করে পথিককে। কুর্চি দীর্ঘস্থায়ী প্রস্ফূটনে জানান দিতে থাকে নিজের অস্তিত্ব। সেটি আরো প্রখর হয় সন্ধ্যায় কুড়চির সুগন্ধি যখন ছড়িয়ে পরে। কুর্চি ফুলের ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার লম্বা পাঁচটি করে সাদা পাপড়ি থাকে।



কুর্চি আয়ুর্বেদের একটি ঔষধি গাছ। কুর্চি গাছের বাকল, ফুল, ফল, বীজ, পাতার নানান ঔষধী গুণ রয়েছে। আমাশয়, রক্তদোষে, বাত, অর্শ্ব, একজিমা, সর্পদংশন, বিছার কামড় ইত্যাদিতে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার গাছের বিভিন্ন অংশ। কুর্চির কাঠ বেশ নরম। এই নরম কাঠ থেকে পুতুল এবং নানা খেলনা তৈরি করা হতো এক সময়।

ছবি ও বর্ণনা : নিজ
ছবি তোলার স্থান : কার্জন হল, ঢাকা, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৯/০৪/২০১৮ ইং




=================================================================

আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে

অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কালো বাসক, কালো বাদুড় ফুল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, ক্যাসিয়া রেনিজেরা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, কাঞ্চনক, কুর্চি, কৃষ্ণচূড়া, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, গুলমোহর, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, ঝুমকা জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা, হাইব্রিড গোলাপী জবা, হাইব্রিড ক্রিম জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
টগর, জংলি টগর, ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগেসর, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীলচূড়া, নীল বনলতা, নীল লতা, নীলাতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, বার্মিজ গোলাপি সোনাইল, ভাট ফুল, ভ্রমরপ্রিয়া
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল, মূলাপাতা
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক, রক্ত শিমুল
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লাল কাঞ্চন, লাল শাপলা, লাল শিমুল
শটি ফুল, শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শিমুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,

অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল

মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, তিল ফুল, বিষকাটালি, পাহাড়ি বিষকাটালি,

বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই সিজনে ঢাকায় অনেক দেখা যায়। সুন্দর মিষ্টি সুঘ্রাণ।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঢাকায় খুব বেশী দেখা যায় তেমন না। তবে একেবারে রেয়াও না।

২| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২২

প্রামানিক বলেছেন: এতো ফুলের নাম পড়তে পড়তে চোখে সরষের ফুল দেখতেছি।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- হা হা হা

৩| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:২৪

করুণাধারা বলেছেন: কুর্চি ফুল কখনো দেখিনি, কিন্তু নাম জানি রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে। আপনার পোস্টের শিরোনাম দেখেই ঠিক করলাম মন্তব্য করবো যে রবীন্দ্রনাথ এই ফুলের উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তারপর দেখি পোস্টের পুরোটাতেই রবীন্দ্রনাথ এই ফুলের কি প্রশস্তি করেছেন আপনি সেসব উল্লেখ করেছেন।

চমৎকার পোস্ট!

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
- শুধু রবী বাবু নয় বরং কালীদাস এর মেঘদূত এর করর্চির কথাও লিখেছি।

৪| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মরুভূমির জলদস্যু,




কুর্চি ফুলের মতোই সুগন্ধ ছড়ানো, লেখায় আর ছবিতে।
"কুর্চি" নামটি আমার খুব প্রিয় তখন থেকেই যখন আমি বুদ্ধদেব গুহ'র " মাধুকরী" বইটি পড়ি। "কুর্চি" নামটির প্রেমে পড়া সে সময় থেকেই।
ভ্রমরও যখন "কুর্চি"র প্রতি আকৃষ্ট হয় , আমি তো কোন ছার!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বুদ্ধদেব গুহ'র " মাধুকরী" বইটি আমি মাসের পর মাস সময় নিয়ে ২ পাতা ২ পাতা করে (কিপটেমি করে) পড়েছিলাম, যাতে দ্রুত শেষ না হয়ে যায়। প্রকৃতির এমন ছোঁয়া অন্যের লেখা খুব কমই পাওয়া যায়।
- আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য।

৫| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: ফুলটি যেহেতু পাহাড়ি ফুল,কালিদাসের মেঘদূতে থাকতেই হবে।কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আসলো কি ভাবে।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পাহাড়ি ফুল তো বলিনাই আমি। বলেছি পাহাড়ের অনেক উচ্চতাতেও কুর্চি জন্মাতে পারে। তাইবলে সমতলে কেনো জন্মাবে না?
- রবীন্দ্রনাথের কবিতায় কুর্চি কি ভাবে আসলো সেটা পোস্টেই লেখা আছে।

৬| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে, লেখাটা আগেও একবার পড়েছিলাম না, জলদস্যু? কিংবা হয়তো একই বিষয়ে আবার নতুন লেখা এটি।

কুর্চি ফুল কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। কিংবা দেখলেও হয়তো জানি না - এটাই 'কুর্চি' ফুল।

এই ফুলের সাথে আমার প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। তারপর থেকেই আজ পর্যন্ত এই কবিতা আমার লং ড্রাইভের সঙ্গী।

পোস্ট ভালো লেগেছে। কালিদাস'র মেঘদূত থেকে কোটেশন দেখে অবাক হয়েছি।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার স্মৃতি বিশ্বাসঘাতকতা করে নাই। এটি সেই একই পোস্ট, একই দিনে ফুলের ছবিগুলি তোলা হলেও শুধু ছবিগুলি আলাদা, বাকি সব একই লেখা।
- মেঘদূত পড়েছি আমি শুধু কর্চির জন্য।

৭| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি অবস্য বিস্তারিত বর্ননা করেছেন।কিন্তু প্রথমে চোখ এড়িয়ে গিয়ে ছিলো।দ্বিতীয়বার পড়তে গিয়ে চোখে পড়লো।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অভিনন্দন আপনাকে।

৮| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: - মেঘদূত পড়েছি আমি শুধু কর্চির জন্য।

তারমানে পড়ার আগেই আপনি জানতেন 'মেঘদুতে' কুর্চির উল্লেখ আছে? হয়তো কোনো রেফারেন্স ছিল।

আমি পড়েছিলাম কারণ বাসাতে 'কালিদাস রচনাসমগ্র' বইটা ছিল। তারপর আবার পড়েছি বাংলা ভাষার প্রতি প্রবল ভালোবাসার কারণে।

২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি যখন নাইন বা টেনে পড়ি তখন ব্ই মেলা থেকে 'মেঘদুতে' কিনে ছিলাম। তখন সেটি পড়ার যোগ্যতা আমার ছিলো না। অনেক পড়ে আবার পড়ার চেষ্টা করেছি, কুলিয়ে উঠতে পারি নাই। যখন কুর্চিকে চিনি তখন জানতে পারি মেঘদূতে আর উপস্থিতীর কথা। তখন আবার পড়ার চেষ্টা করি এবং সফল হই পুরটা পড়তে।

৯| ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী বলেন ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো গাছ আছে। কার্জন হল , কলা ভবন এবং মল চত্বর। অনেক গুলো গাছ আছে। নিশ্চয়ই তাহলে রমনা আর বোটানিক্যাল গার্ডেনেও আছে। তাছাড়া বুদ্ধদেবগুহের কল্যাণে অনেকেই উত্তরার দিকে নিজেদের বাগান সাজিয়েছেন।

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বিশ্ববিদ্যালয়ে এরিয়াতে বেশ কিছু কুরচি গাছ আছে, রমনার নার্সারিদে একটা আছে, পার্কেও আছে, বলধাতে আছে, বোটানিক্যাল গার্ডেনেও আছে। সৌখিন বাগানেও অল্পবিস্তর আছে। তবে পথের ধারে খুব একটা চোখে পড়ে না, যেমন চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়ি, কনকচূড়া, সোনালু, কদম ইত্যাদি।

১০| ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলেই সুন্দর।

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১১| ২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকদিন পর ফুলের পোস্ট। ভালো লাগা রইল জলদস্যু ভাই।

২৩ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এটি পুরনো লেখা, শুধু ছবি গুলি ভিন্ন, তারপরেও অনেকদিন পরে ফুলের পোস্ট তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

১২| ২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কূর্চি ফুল দেখিনি আমি মনে হয় এখনো

অনেকদিন পর ছবি পোস্ট
ধন্যবাদ

২৩ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য

১৩| ০১ লা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩

শায়মা বলেছেন: আমি অনেক অনেক ফুল চিনি কিন্তু আমার ছেলেবেলায় কেনো যেন কূর্চী ফুল চিনিনি। এই ফুলের পাতার ছবি আছে তোমার কাছে ভাইয়া?


আমিও মাধুকরীর কূর্চিকে এ কেমন নাম ভেবেছিলাম। পরে জেনেছি এটা ফুল।

০১ লা জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বেশ কয়েক বছর আগে রেল লাইন ধরে হাঁটার সময় গাজীপুরের দিকে একটি মাঝারি আকারের গাছকে দেখতে পাই একটু দূরে। অপরিচিত গাছ, অপরিচিত ছোটছোট থোকাথোকা সাদা ফুলে সেজে আছে। তখন কুর্চিকে জিনতে পারি নাই আমি।

- শুধু পাতা দেখে কুর্চি গাছ চেনা কঠিন হবে। তবে একবার ফুল সহ চিনে নিতে পারলে পরে শুধু পাতা দেখে চেনা সম্ভব।

ছবিটি নেট থেকে নেয়া

১৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:০২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই অনবদ্য পোস্টখানা কোন ভাবে মিস করেছি। কুর্চি বিতান্ত পড়ে মোহিত হলাম।

মেঘদূতে যে কুর্চিফুলের বর্ণনা আছে এটা জানা ছিলো না। আমি বহুকাল আগে মেঘদূতের যে গদ্য অনুবাদ পড়েছিলাম (খুব সম্ভবত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের অনুবাদ, এবং সেটি অনেক ভালো একটি অনুবাদ), তাতেও একে কুটজ কুসুম বলা হয়েছে কি না সেটা এখন আর মনে নেই।

তবে এই ফুলকে বোধহয় বুদ্ধদেব গুহ বেশি করে বিখ্যাত করেছেন, মাধুকরী উপন্যাসে পৃথুর প্রেমিকার নাম কুর্চি রেখে।

০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মেঘদূতে কুর্চিফুলের বর্ণনা নেই, উল্লেখ আছে মাত্র। সেখানে কুর্চিকে কুটজ বলা হয়েছে।
- সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.